বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে ধরলা নদীর পানি লালমনিরহাটে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার এবং তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হয়।
স্থানীয়রা জানান, নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক আবাদি খেতের ফসল বিনষ্ট হয়েছে। গেল বন্যার ধকল না কাটতেই ফের বন্যার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তা ও ধরলার তীরবর্তী কৃষকরা।
আমজাদ হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বুধবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি কারণে পানি বেড়ে ফসলি জমি ডুবে গেছে।
কৃষক শাহিনুর ইসলাম বলেন, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করেছি। কিন্তু এক রাতে সব ডুবে গেছে পানিতে। এখন আমাদের সংসার চালানো দুস্কর।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত সবগুলো জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। ভারত ও দেশের এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে পানি প্রবাহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বড় ধরনের বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে ছোট ছোট নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে অনবরত বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে পারে।’