কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় তিন নাশকতা মামলায় ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে নওগাঁ সদর, মান্দা ও পত্নীতলা থানায় ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে দুই শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে পৃথক তিনটি নাশকতা মামলা করা হয়।
নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলন ঘিরে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীরা এই জেলাকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। আন্দোলন চলাকালে জেলার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর চড়াও হয় তারা। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ব্যবহার করতে হয়েছিল। পরে এসব ঘটনায় ৩৯ জন চিহ্নিত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা হয়।
এখন পর্যন্ত ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন নওগাঁ পৌরসভার বর্তমান মেয়র এবং জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবু সায়েম ও জেলা জামায়াত নেতা ময়নুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত অনেকেই এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। বর্তমানে জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ আছে। পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সঙ্গে পুলিশও কাজ করে যাচ্ছে।’
এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় কারফিউ শিথিলের সময়সীমা বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পযন্ত শিথিল থাকছে কারফিউ। তবে এসময়ও শহর ও গ্রামে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।