হুমায়ূন আহমেদের আঁকা হারিয়ে যাওয়া চিত্রকর্ম অবশেষে ফিরে পেয়েছে তার পরিবার।
তার মৃত্যুর আগে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা নেওয়ার সময় ২০১২ সালে ছেলে নিসাত হুমায়ূনের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন। সেসময় এঁকেছিলেন ২৪টি চিত্রকর্ম। চিত্রকর্মগুলো পরে নিউইয়র্কবাসী রুমা চৌধুরী ও বিশ্বজিৎ সাহা দম্পতির অনুরোধে নিউইয়র্ক বই মেলায় প্রদর্শনের জন্য তাদের জিম্মায় দেওয়া হয়। শর্ত ছিল প্রদশর্নী শেষে চিত্রকর্মগুলো নিজ দায়িত্বে ফেরত দেওয়া হবে।
পরে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর, তার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেকবার যোগাযোগ করা হলে রুমা চৌধুরী ২৪টি চিত্রকর্মের মধ্যে ২০টি চিত্রকর্ম লেখকের মা আয়েশা ফয়েজকে ২০১৩ সালে ফেরত দেন।
প্রায় এক যুগ পর হঠাৎ করে নিখোঁজ হওয়া একটি চিত্রকর্ম কুমিল্লায় একটি প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হবে বলে জানা গেল। যা হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্য, তার ভক্ত ও সবার মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি করে।
পরে ওই চিত্রকর্ম উদ্ধারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন প্রয়াত লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তিনি বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তভার দেন। পিবিআই কুমিল্লা হতে উক্ত চিত্রকর্মটি উদ্ধার করে এবং আদালতে জমা দেয়।
প্রায় দুই বছর পর বিজ্ঞ সিএমএম আদালত ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তৈল চিত্রটি ফেরত দেওয়ার শর্তে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ দেন।
মঙ্গলবার তৈলচিত্রটি হুমায়ূন আহমেদের পরিবারকে ফেরত দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের পক্ষে নিযুক্ত ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।
তৈলচিত্রটি আদালত থেকে গ্রহণ করেন আইনজীবী গাজী মাহবুব আলম ও আইনজীবী শিহাব উদ্দিন।
মেহের আফরোজ শাওন জানান, হারিয়ে যাওয়া তৈলচিত্রটি ফিরে পেয়ে আমরা খুশি। আদালতের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সুরাহা হওয়ার ফলে আমরা ন্যয়বিচার পেয়েছি। তৈলচিত্রটি ফিরে পাওয়াই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। তবে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা নয়।