এ নিয়ে বিদ্যুত অফিসে লিখিত অভিযোগ করলেও পল্লী বিদ্যুত এখনো তার সরিয়ে নেয়নি।
বাড়ির মালিক প্রবাসী হামেদ মোড়ল। তিনি প্রবাস থেকে ছুটিতে এসে শরীয়তপুরের ইঞ্জিনিয়ার ও সিলেটের ঠিকাদার দিয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে এই দ্বিতীয় তলা ভবনটি নির্মাণ করছেন।
ঠিকাদার কবির মিয়া বলেন, বাড়ির মালিক হামেদ মোড়ল ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এনে বিদ্যুতের তারে টেপ প্যাঁচিয়ে ও পাইপ লাগিয়ে দিয়েছিল। তার পরেও খুব সাবধানে শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়েছি। আল্লাহর রহমতে আমাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
হামেদ মোড়ল বলেন, বিদুতের তার সরিয়ে নিতে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুত অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। তিন মাস পার হয়ে গেলেও পল্লী বিদ্যুত এখনো তার সরিয়ে নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় তলা করতে চাইনি। করোনা মহামারির সময় রাজ মিস্ত্রিরা বসে না থেকে দ্বিতীয় তলার কাজ করে ফেলেছে। পল্লী বিদ্যুত অফিস থেকে লোক এসেছিল। তারা দেখে গেছে। খুঁটি সরানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জি.এম জুলফিকার রহমান বলেন, ‘বিদ্যুতের লাইন হতে ৬-৭ ফুট দূরত্বে ভবণ নির্মাণ করার আইন রয়েছে। ভবন মালিক এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিলেও এটা পাস হতে সময় লাগে। এখনো চারপাশে বন্যার পানি রয়েছে। তিনি সময় না দিয়ে ভবন নির্মাণ করেছেন। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’