শরীয়তপুর
শরীয়তপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশু নিহত
শরীয়তপুরের সখিপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে ইমন হোসেন (৫) ও তাউহিদ (৫) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জান্নাত নামে ৩ বছরের এক শিশুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মাদবর কান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমন হোসেন বাদল সরকারের ছেলে এবং তাউহিদ ইসলাম শাহ-আলম বেপারীর ছেলে। তারা দু’জনেই মাদবর কান্দি সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে তিন শিশু বাড়ির পাশেই খেলাধুলা করছিল। একপর্যায়ে তারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে নামে। কিছুক্ষণ পর তারা নিখোঁজ হলে পরিবার ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজা শুরু করলে কিছু সময় পর পুকুরের পানিতে ভেসে উঠতে দেখা যায় এক শিশুর দেহ। পরে গ্রামবাসী পুকুরে নেমে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে। এ সময় জান্নাত নামে আরও এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আবুল হোসেন নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘শিশু দুটি নিখোঁজ হওয়ার পর হঠাৎ গ্রামবাসীরা পানিতে কিছু একটা ভাসতে দেখে। এরপর পানিতে নেমে এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়। পরে আরেকজনকেও পানিতেই পাওয়া যায়। কিন্তু ততক্ষণে তারা আর বেঁচে ছিল না। তবে জান্নাতকে পুকুরের পাড়ে পেয়েছি জীবিত অবস্থায়। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুল হক বলেন, ‘পরিবারের অসচেতনতায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
৯৩ দিন আগে
শরীয়তপুরে বিএনপি নেতা হত্যা: প্রধান আসামির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিএনপি নেতা খবির উদ্দিন সরদার হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আলমাস সরদারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে জাজিরা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের ওমরদি কান্দি এলাকার জব্বার মাষ্টারের পরিত্যক্ত ভিটা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের উমরদি মাদবরকান্দি এলাকায় মসজিদের মাইকের আজানে ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে অভিযোগ তুলে ইমামকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে আলমাসের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করায় বড়কান্দি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা খবির সরদারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ছিল নিহত আলমাস।
নিহত খবির সরদার বড়কান্দি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দানেশ সরদার বাদী হয়ে আলমাসসহ ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন অভিযুক্ত আলমাস সরদার। তাকেও হত্যা করে গুম করে কোথাও রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী সারা দিন খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহটি ওই পরিত্যাক্ত ভিটার মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে নিহত আলমাসের পরিবারের সদস্যরা এসে লাশটি তার বলে শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা খবির সরদার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলমাস সরদারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯৮ দিন আগে
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু
শরীয়তপুরে বসত বাড়িতে কাঠের কাজ করার সময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে রবিন নলি (২৩) নামে এক কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট ) সকাল ১১টার দিকে নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড দুলুখন্ড এলাকার মৃত কাশেম নলির বড় ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পেশাগতভাবে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন।
সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ১১টায় নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের ইমরান বেপারীর বাড়িতে টিনের চাল পরিবর্তনের কাজ করার সময় হঠাৎ শর্ট সার্কিট হয়ে তিনি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পড়ুন: চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার সাবিরুল নাহার জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট এক কাঠমিস্ত্রিকে স্বজনরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রোগীকে পরীক্ষা করে তিনি রক্তচাপ ও নাড়ির স্পন্দন পাননি। হাসপাতাল পৌঁছানোর আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
১০৭ দিন আগে
শরীয়তপুরে এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদত্যাগের ঘোষণা
শরীয়তপুর জেলা নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) তিনি তার নিজস্ব ফেসবুক পেজে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
তারিকুল ইসলাম তার ফেসবুকে লেখেন, ব্যক্তিগত কারণে এনসিপির সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিলাম।
আরও পড়ুন: ছাত্র উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে: নাহিদ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শরীয়তপুর জেলা প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বলেন, ‘তারিকুল ইসলাম ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের একটি গ্রুপে একজন কিছু আপত্তিকর কথা লিখেছেন। তাই রাগ করে তিনি পদত্যাগ করেছেন। তবে আমাদের কাছে এখনো কোনো পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়া হয়নি।’
১২৫ দিন আগে
শরীয়তপুরে বসতবাড়িতে হামলা, এক নারী নিহত
শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল মাদবর কান্দি এলাকায় বসতবাড়িতে রাতের আধাঁরে হামলা ও আঘাতে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১১ জুন) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাসলিমা বেগম (৫৫) জাজিরা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল মাদবর কান্দি এলাকার বাসিন্দা।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে স্থানীয় নাইম ঢালী ও সজিব বেপারী নামে দুই যুবকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা এবং হাতাহাতি হয়। পরে নাইম ঢালীর মা চম্পা বেগম বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিদের আতঙ্কিত করতে স্থানীয় আকবর ঢালী, খালিদ ঢালী এবং শাহজাহান বেপারী লোকজন নিয়ে বুধবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ মজিবর মৃধার বসতবাড়িতে ঢুকে দরজায় লাথি দিতে থাকে। ওই সময় আতঙ্কিত হয়ে নিহত তাসলিমা বেগম বসতঘরের দরজা আটকে ঘরে ভিতরে বসে থাকেন। পরে শাহজাহান বেপারী ওই বসতঘরের দরজায় লাথি দিয়ে ভেঙে ফেলেন। ভাঙা দরজায় আঘাত পেয়ে তাসলিমা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাস্তা পারাপারের সময় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আকবর ঢালীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। এলাকায় ঝামেলা থাকায় আমি সেখানে বেশি থাকি না।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাতে জামাল মাদবর কান্দি এলাকায় এক নারী মারা গেছেন। তার পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
১৭৫ দিন আগে
শরীয়তপুরে আ. লীগ সমর্থকদের হামলায় যুবদল নেতা নিহত
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর বাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলায় যুবদল নেতা এমদাদ হাওলাদার (৫০) নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৯ জুন) সকালে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ভোজেশ্বর বাজারে হামলায় নিহত হন।
নিহত এমদাদ হাওলাদার জপসা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি জপসা গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল শিকদারের ছোট ভাই তুহিন সিকদারের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন এমদাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তার বড় ছেলে রাজিব হাওলাদারও গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক এমদাদ হাওলাদারকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ছেলে রাজিব বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের ছোট বোন ফিনসি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ভাই কারো ক্ষতি করেনি। রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকতে পারে, তাই বলে এভাবে প্রাণ নিতে হবে? আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল শিকদার বা তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
নড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সুরুজ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, ‘ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলছে। থানায় এজাহার দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান। এজাহারের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৭৭ দিন আগে
মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল শরীয়তপুরের জাজিরা
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় সংঘটিত হয়। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সকালে দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা মাঠে উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। অনেককে হাতে বালতি নিয়ে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। তারা বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করছেন, যা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: সেহরিতে রান্না করতে গিয়ে চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩
২৪৪ দিন আগে
শরীয়তপুরে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ: ৩ পুলিশ সদস্যসহ আটক ৪
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় প্রকাশ্যে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন পালিয়ে গেলেও পরে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডামুড্যার দারুল আমান বাজার এলাকায় মোহাম্মদ জুয়েল সরদার (৩২) ও ফয়সাল সরদার (২৪) নামের দুই কাপড় ব্যবসায়ীকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধূসর রঙের একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৯৮৫৮) এবং একটি কালো সুজুকি জিকসার মোটরসাইকেল এসে তাদের গতিরোধ করে। আটজনের একটি দল তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, অপহরণকারীরা নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের হাতকড়া পরিয়ে ভয়ভীতি দেখায় এবং পিস্তল ঠেকিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তাদের মারধর করে লোহার রড, কিল-ঘুষি দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। পরে মাদারীপুরের লেকপাড় এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জুয়েলের ভাই স্বাধীন সরদারের কাছে ফোন করিয়ে মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
প্রথমে ব্যাংক, বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে অপহরণকারীদের ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা পাঠানো হয়। পরে আরও টাকা দাবি করলে কৌশলে তাদের ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলা হয়।
রাত ১টার দিকে অপহরণকারীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে ব্যবসায়ীরা চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মাইক্রোবাস থামিয়ে দেয় এবং তিনজনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও পরে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটকরা হলেন- খুলনা জেলা পুলিশের কনস্টেবল কৌশিক আহমেদ সেতু (৩০), চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল কাউসার তালুকদার (২৯), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল রুবায়েত মীর (২৭), কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা শরীফ হোসেন (৩৫)।
আরও পড়ুন: বরিশালে আগুনে পুড়ল যাত্রীবাহী লঞ্চ
আটক রুবায়েত মীর বলেন, ‘কাউসার আমাদের বস। অপহরণের সময় পাওয়া সব টাকা তার কাছেই আছে। আমি আর কিছু জানি না।’
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান মানিক জানান, ‘অপহরণের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
২৫১ দিন আগে
শরীয়তপুরের পদ্মায় বাল্কহেডডুবির ৪০ ঘণ্টা পর দুইজনের লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুরের নড়িয়ার পদ্মায় বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার ৪০ ঘণ্টা পরে নিখোঁজ দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে বেসরকারি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান।
পিরোজপুর জেলার বেসরকারি ডুবড়ি দল অনুসন্ধান অক্সিজেন বোর্ড নামের ডুবুরি দলের সদস্যরা লাশ দুটি উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরের পর থেকে প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বিকাল ৪টার দিকে পানির ১৩০ ফুট গভীরে তলিয়ে থাকা বাল্কহেডের কেবিন থেকে নিখোঁজ শ্রমিক আল-আমীন ও আরিফের লাশ তুলে আনেন ডুবুরি দল।
এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল সরকারিভাবে ২ দিনে ১৮ ঘণ্টা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের সন্ধান পেলেও লাশের সন্ধান করতে পারেনি। তারা তাদের উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করার পরে নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা ও প্রকল্পের শ্রমিকরা পিরোজপুরের এই ডুবুরি দলকে নিজ খরচে এনে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।
বেসরকারি এই ডুবুরি দল তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পরে নৌ পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল তৈরি করেন। উপজেলা প্রশাসন পরে স্বজনদের কাছে লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করেন।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি বিধি মোতাবেক সহায়তা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রূপসায় ১৩ যাত্রীসহ নৌকাডুবি
২৬৬ দিন আগে
নিজেদের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল দম্পতির
শরীয়তপুরের জাজিরায় বন্যপ্রাণী সজারুর থেকে নিজেদের ভুট্টাখেত বাঁচাতে নিজেদের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ হারিয়েছে এক দম্পতি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ওই গ্রামের ইদ্রিস খাঁ (৬৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৬০)।
স্থানীয়রা জানান, আজ (শনিবার) সকালে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই ইদ্রিস ও তার স্ত্রী জমিতে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে বিদ্যুতের খুঁটিতে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, নিহত ৩
এ সময় অসাবধানতাবশত ইদ্রিস বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে শেফালীও বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা তাদের দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নকিব আকরাম হোসেন বলেন, ‘লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৮৫ দিন আগে