শরীয়তপুর
মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল শরীয়তপুরের জাজিরা
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় সংঘটিত হয়। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সকালে দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা মাঠে উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। অনেককে হাতে বালতি নিয়ে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। তারা বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করছেন, যা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: সেহরিতে রান্না করতে গিয়ে চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩
১১ দিন আগে
শরীয়তপুরে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ: ৩ পুলিশ সদস্যসহ আটক ৪
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় প্রকাশ্যে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন পালিয়ে গেলেও পরে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডামুড্যার দারুল আমান বাজার এলাকায় মোহাম্মদ জুয়েল সরদার (৩২) ও ফয়সাল সরদার (২৪) নামের দুই কাপড় ব্যবসায়ীকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধূসর রঙের একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৯৮৫৮) এবং একটি কালো সুজুকি জিকসার মোটরসাইকেল এসে তাদের গতিরোধ করে। আটজনের একটি দল তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, অপহরণকারীরা নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের হাতকড়া পরিয়ে ভয়ভীতি দেখায় এবং পিস্তল ঠেকিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তাদের মারধর করে লোহার রড, কিল-ঘুষি দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। পরে মাদারীপুরের লেকপাড় এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জুয়েলের ভাই স্বাধীন সরদারের কাছে ফোন করিয়ে মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
প্রথমে ব্যাংক, বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে অপহরণকারীদের ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা পাঠানো হয়। পরে আরও টাকা দাবি করলে কৌশলে তাদের ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলা হয়।
রাত ১টার দিকে অপহরণকারীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে ব্যবসায়ীরা চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মাইক্রোবাস থামিয়ে দেয় এবং তিনজনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও পরে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটকরা হলেন- খুলনা জেলা পুলিশের কনস্টেবল কৌশিক আহমেদ সেতু (৩০), চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল কাউসার তালুকদার (২৯), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল রুবায়েত মীর (২৭), কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা শরীফ হোসেন (৩৫)।
আরও পড়ুন: বরিশালে আগুনে পুড়ল যাত্রীবাহী লঞ্চ
আটক রুবায়েত মীর বলেন, ‘কাউসার আমাদের বস। অপহরণের সময় পাওয়া সব টাকা তার কাছেই আছে। আমি আর কিছু জানি না।’
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান মানিক জানান, ‘অপহরণের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
১৯ দিন আগে
শরীয়তপুরের পদ্মায় বাল্কহেডডুবির ৪০ ঘণ্টা পর দুইজনের লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুরের নড়িয়ার পদ্মায় বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার ৪০ ঘণ্টা পরে নিখোঁজ দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে বেসরকারি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান।
পিরোজপুর জেলার বেসরকারি ডুবড়ি দল অনুসন্ধান অক্সিজেন বোর্ড নামের ডুবুরি দলের সদস্যরা লাশ দুটি উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরের পর থেকে প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বিকাল ৪টার দিকে পানির ১৩০ ফুট গভীরে তলিয়ে থাকা বাল্কহেডের কেবিন থেকে নিখোঁজ শ্রমিক আল-আমীন ও আরিফের লাশ তুলে আনেন ডুবুরি দল।
এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল সরকারিভাবে ২ দিনে ১৮ ঘণ্টা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের সন্ধান পেলেও লাশের সন্ধান করতে পারেনি। তারা তাদের উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করার পরে নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা ও প্রকল্পের শ্রমিকরা পিরোজপুরের এই ডুবুরি দলকে নিজ খরচে এনে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।
বেসরকারি এই ডুবুরি দল তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পরে নৌ পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল তৈরি করেন। উপজেলা প্রশাসন পরে স্বজনদের কাছে লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করেন।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি বিধি মোতাবেক সহায়তা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রূপসায় ১৩ যাত্রীসহ নৌকাডুবি
৩৪ দিন আগে
নিজেদের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল দম্পতির
শরীয়তপুরের জাজিরায় বন্যপ্রাণী সজারুর থেকে নিজেদের ভুট্টাখেত বাঁচাতে নিজেদের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ হারিয়েছে এক দম্পতি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ওই গ্রামের ইদ্রিস খাঁ (৬৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৬০)।
স্থানীয়রা জানান, আজ (শনিবার) সকালে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই ইদ্রিস ও তার স্ত্রী জমিতে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে বিদ্যুতের খুঁটিতে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, নিহত ৩
এ সময় অসাবধানতাবশত ইদ্রিস বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে শেফালীও বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা তাদের দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নকিব আকরাম হোসেন বলেন, ‘লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৫৩ দিন আগে
সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশা কেটে যাওয়ায় দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা পর শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করে বিআইডব্লিউটিসি ঘাট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৪টা থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
বিআইডব্লিউটিসি নরসিংহপুর ফেরিঘাটের উপব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সোমবার রাত থেকে প্রচুর কুয়াশা দেখা দেয়। কুয়াশার মধ্যে দুর্ঘটনা এড়াতে এ রুটে রাত ৪টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে ঘন কুয়াশা কেটে গেলে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়।
বর্তমানে এ নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ছয়টি ফেরি চলাচল করছে বলেও জানান তিনি।
৫৮ দিন আগে
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর, চিকিৎসাসেবা বন্ধ
শরীয়তপুর ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালের পাঁচ কর্মচারীকে এক রোগীর স্বজনেরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বেলা পৌনে ১১টা থেকে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসক ও নার্সেরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
আরও পড়ুন: একদিন পর শেবাচিম হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা চালু
হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন শারমিন নামে এক রোগী। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই রোগীর স্বজন পরিচয়ে রায়হান নামে এক যুবক তার ফাইল আনতে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নার্সদের কক্ষে যান। সেখানে নার্স নাসিমা আক্তার চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে ফাইল নিতে বলেন। তখন রায়হান চার থেকে পাঁচজন সহযোগী নিয়ে ওই নার্সের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং মারতে উদ্যত হন। তখন হাসপাতালের অন্য কর্মীরা এর প্রতিবাদ করেন। ঘটনার ১৫ মিনিট পর রায়হান বেশ কিছু লোকজন নিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী দুলাল ঢালী, বাবুর্চি খালেদ সিকদার, অফিস সহকারী জোবায়ের হোসেন ও ফার্মাসিস্ট বিকাশ কুমার সরকারকে মারধর করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে যান তত্ত্বাবধায়ক হাবীবুর রহমান।
এসময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবীবুর রহমান বলেন, ‘যারা হামলা চালিয়েছেন, তাদের মধ্যে রায়হান নামে একজনকে চিনতে পেরেছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অন্যদের শনাক্ত করা হবে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত জরুরি বিভাগ ছাড়া সব সেবা বন্ধ থাকবে।’
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, ‘হামলার পর আমরা এখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই জরুরি চিকিৎসাসেবা ছাড়া অন্য সব সেবা বন্ধ রেখেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’
আরও পড়ুন: ঢামেক ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বহির্বিভাগ পুরোদমে চালু
হাসপাতালের সিনিয়র নার্স নাসিমা আক্তার বলেন, ‘রোগীর স্বজন পরিচয়ে ফাইল নিতে আসেন এক যুবক। তাকে শুধু বলেছি, এভাবে কোনো রোগীর ফাইল আমরা দিতে পারি না। ওই ফাইল রোগীর চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক নার্সদের কাছে থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে নিতে হয়। আমি চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে ফাইল নিতে বলেছিলাম। তখন তিনি আমার ওপর চড়াও হন ও আমাকে অপদস্থ করেন।’
হাসপাতালের কর্মচারী দুলাল ঢালী বলেন, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই রোগীর স্বজন বাইরে থেকে লোকজন এনে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমারা দুইজন কর্মী আহত হয়েছি। এ ঘটনার বিচার চাই।
এদিকে এই হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বেলা পৌনে ১১টা থেকে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীরা সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেন। তখন জরুরি বিভাগের কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে দুপুর ১টার দিকে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম আবার শুরু হয়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি বিভাগ ছাড়া সব সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দীহ আহমেদ বলেন, হাসপাতালের কর্মচারীদের ওপর হামলার তথ্য পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তাদের ধরতে অভিযান চালানো হবে। চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের নিরাপত্তায় বিজিবি মোতায়েন
২২১ দিন আগে
সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে ২ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে মালেক ও লিটন নামের দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের উত্তর ডামুড্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মালেক শেখ বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার পশ্চিম টেকানী গ্রামের দুলু শেখের ছেলে এবং লিটন বেপারী একই থানার পূর্ব টেকানী গ্রামের আফছার বেপারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অপহরণ-হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মালেক ও লিটন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ট্যাংকের মধ্যে পাইপ বসিয়ে ময়লা অপসারণ করছিলেন। এসময় লিটন অসর্তকতাবশত ট্যাংকের নিচে পড়ে গেলে মালেক তাকে উদ্ধার করতে যায়। কিন্তু তারা দুইজনের কেউই উপরে উঠে না আসতে পারলে বাড়ির লোকজন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মালেক ও লিটনকে উদ্ধার করে। এরপর তাদের ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ডামুড্যা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার প্রদীপ কীর্তনিয়া বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে অনেক বেশি বিষাক্ত গ্যাস ছিল। গ্যাস অপসারণ করে মালেক ও লিটনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, দুইজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বজ্রপাতে ৬ গবাদিপশুর মৃত্যু
সিলেটে খালের পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
৩০৬ দিন আগে
শরীয়তপুরে অস্ত্র-ইয়াবা জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে লিজা আক্তার নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি শর্টগান, ৮ রাউন্ড গুলি ও ৪০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
শনিবার (২৫ মে) ভোরে উপজেলার মূলনা ইউপির বোয়ালিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মোংলায় ১৫ কেজি গাঁজা জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে জাজিরার উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় একটি শর্টগান, ৮ রাউন্ড গুলি ও ৪০ ইয়াবা জব্দসহ লিজা আক্তারকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় আক্কাস ঢালী নামে তার এক সহযোগী পালিয়ে যান। তাকে খুঁজছে পুলিশ। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় অস্ত্র আইন ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে ৫১০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
৪৮ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
৩২৬ দিন আগে
বিষ দিয়ে ২ শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
শরীয়তপুরে জমির ফসল বাঁচাতে গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে অতিথি পাখিসহ দুই শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ উঠেছে এক সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের মধ্য সিড্যা গ্রামের খনার পাড় নামক ফসলি জমির মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এমনকি পাখি নিধন করে তা জমির চারপাশে বেঁধেও রেখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ফাঁদ পেতে অবাধে চলছে পাখি নিধন
গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পাখি মেরে ফেলা মো. শাহজাহান মাদবর সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ঘুঘু, শালিক, বক, চড়ুইসহ অতিথি পাখি খাবারের সন্ধানে মধ্য সিড্যা গ্রামের খনার পাড় নামক ফসলি জমির মাঠে আসে। পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে পুরো ফসলি মাঠ।
জানা যায়, কয়েক দিন ধরে শাহজাহান মাদবর এবং তার লোকজন গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ছিটিয়ে রাখতেন। বিষ খেয়ে পাখি মারা গেলে কৃষকরা তা মাটিতে পুঁতে ফেলতেন। এ ছাড়া তারা বিষে মারা যাওয়া কিছু পাখি জমির চারপাশে সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
আরও পড়ুন: টিয়াসহ ২৩ পাখি উদ্ধার, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ জনের কারাদণ্ড
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা বলেন, শীত মৌসুমে আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখি আসে। কিছু অসাধু ব্যক্তি, যারা প্রকৃতির শত্রু তারা বিষসহ নানা মাধ্যমে পাখিগুলো মেরে ফেলে, যা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন পাখি নিধনকারীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাখি নিধনকারী শাহজাহান মাদবর বলেন, মরা পাখিগুলোর ছবি তুলতে হবে কেন? আমি তো পাখির জন্য গম বপন করিনি। আর এগুলো গণমাধ্যমে দেওয়ার দরকারও নেই।
শাহজাহান মাদবরের পুত্রবধূ হিমু আক্তার বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ দিয়েছিল, সেই বীজ জমিতে বপন করেছে আমার শ্বশুর। জমিতে তিনি ইঁদুর মারার বিষ দিয়েছিলেন, তাতে যে এমন ঘটনা ঘটবে তা আমাদের জানা ছিল না।
আরও পড়ুন: মাগুরায় হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি, চোখে পড়ে না বাসা
বিষয়টি নিয়ে সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাদী জিল্লু বলেন, বিষ দিয়ে পাখি মারার বিষয়টি আমি শুনেছি। সাবেক মেম্বার শাহজাহান মাদবর আমার কাছে এসেছিলেন।
তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তার ফসলি জমিতে তিনি গমের বীজ বপন করেছেন। কে বা কারা বিষ মিশিয়ে পাখি মেরেছে, তা তিনি জানেন না।
তবে বিষ দিয়েই হোক আর যেভাবেই হোক পাখি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। পাখি হত্যা অন্যায় এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, পাখি হত্যাকারীদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সেপটিক ট্যাংকে নামিয়ে কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
৪৬০ দিন আগে
শরীয়তপুর-২ আসনে ভোট কেন্দ্রে আগুন
রাতের আঁধারে শরীয়তপুরের নড়িয়ার একটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কয়েকটি বেঞ্চ পুড়ে গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে শরীয়তপুর-২ আসনের নড়িয়া উপজেলার চরমোহন সুরেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২ ভোট কেন্দ্রে আগুন
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নড়িয়ার ঘরিষার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ৬৫নং চরমোহন সুরেশ্বর স্কুলের জানালা দিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
আগুনের ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সাধারণ জনতা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময় জনতার টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বেলকুচিতে তাঁত কারখানায় আগুন, ক্ষতি প্রায় অর্ধ কোটি
বিষয়টি নিয়ে ঘরিষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান বলেন, আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তিনটি বেঞ্চ পুড়ে যাওয়া ছাড়া ভোট কেন্দ্রটির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, ৩৭৮টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্রের জানালার গ্লাস ভেঙে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। কেন্দ্রটির তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশা করছি একটি সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাসে আগুন, দগ্ধ হেলপার
৪৬৬ দিন আগে