শরীয়তপুর
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর, চিকিৎসাসেবা বন্ধ
শরীয়তপুর ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালের পাঁচ কর্মচারীকে এক রোগীর স্বজনেরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বেলা পৌনে ১১টা থেকে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসক ও নার্সেরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
আরও পড়ুন: একদিন পর শেবাচিম হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা চালু
হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন শারমিন নামে এক রোগী। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই রোগীর স্বজন পরিচয়ে রায়হান নামে এক যুবক তার ফাইল আনতে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নার্সদের কক্ষে যান। সেখানে নার্স নাসিমা আক্তার চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে ফাইল নিতে বলেন। তখন রায়হান চার থেকে পাঁচজন সহযোগী নিয়ে ওই নার্সের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং মারতে উদ্যত হন। তখন হাসপাতালের অন্য কর্মীরা এর প্রতিবাদ করেন। ঘটনার ১৫ মিনিট পর রায়হান বেশ কিছু লোকজন নিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী দুলাল ঢালী, বাবুর্চি খালেদ সিকদার, অফিস সহকারী জোবায়ের হোসেন ও ফার্মাসিস্ট বিকাশ কুমার সরকারকে মারধর করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে যান তত্ত্বাবধায়ক হাবীবুর রহমান।
এসময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবীবুর রহমান বলেন, ‘যারা হামলা চালিয়েছেন, তাদের মধ্যে রায়হান নামে একজনকে চিনতে পেরেছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অন্যদের শনাক্ত করা হবে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত জরুরি বিভাগ ছাড়া সব সেবা বন্ধ থাকবে।’
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, ‘হামলার পর আমরা এখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই জরুরি চিকিৎসাসেবা ছাড়া অন্য সব সেবা বন্ধ রেখেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’
আরও পড়ুন: ঢামেক ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বহির্বিভাগ পুরোদমে চালু
হাসপাতালের সিনিয়র নার্স নাসিমা আক্তার বলেন, ‘রোগীর স্বজন পরিচয়ে ফাইল নিতে আসেন এক যুবক। তাকে শুধু বলেছি, এভাবে কোনো রোগীর ফাইল আমরা দিতে পারি না। ওই ফাইল রোগীর চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক নার্সদের কাছে থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে নিতে হয়। আমি চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে ফাইল নিতে বলেছিলাম। তখন তিনি আমার ওপর চড়াও হন ও আমাকে অপদস্থ করেন।’
হাসপাতালের কর্মচারী দুলাল ঢালী বলেন, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই রোগীর স্বজন বাইরে থেকে লোকজন এনে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমারা দুইজন কর্মী আহত হয়েছি। এ ঘটনার বিচার চাই।
এদিকে এই হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বেলা পৌনে ১১টা থেকে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীরা সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেন। তখন জরুরি বিভাগের কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে দুপুর ১টার দিকে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম আবার শুরু হয়। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি বিভাগ ছাড়া সব সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দীহ আহমেদ বলেন, হাসপাতালের কর্মচারীদের ওপর হামলার তথ্য পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তাদের ধরতে অভিযান চালানো হবে। চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের নিরাপত্তায় বিজিবি মোতায়েন
৩ মাস আগে
সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে ২ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে মালেক ও লিটন নামের দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের উত্তর ডামুড্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল মালেক শেখ বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার পশ্চিম টেকানী গ্রামের দুলু শেখের ছেলে এবং লিটন বেপারী একই থানার পূর্ব টেকানী গ্রামের আফছার বেপারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অপহরণ-হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মালেক ও লিটন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ট্যাংকের মধ্যে পাইপ বসিয়ে ময়লা অপসারণ করছিলেন। এসময় লিটন অসর্তকতাবশত ট্যাংকের নিচে পড়ে গেলে মালেক তাকে উদ্ধার করতে যায়। কিন্তু তারা দুইজনের কেউই উপরে উঠে না আসতে পারলে বাড়ির লোকজন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মালেক ও লিটনকে উদ্ধার করে। এরপর তাদের ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ডামুড্যা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার প্রদীপ কীর্তনিয়া বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে অনেক বেশি বিষাক্ত গ্যাস ছিল। গ্যাস অপসারণ করে মালেক ও লিটনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, দুইজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বজ্রপাতে ৬ গবাদিপশুর মৃত্যু
সিলেটে খালের পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
৬ মাস আগে
শরীয়তপুরে অস্ত্র-ইয়াবা জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে লিজা আক্তার নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি শর্টগান, ৮ রাউন্ড গুলি ও ৪০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
শনিবার (২৫ মে) ভোরে উপজেলার মূলনা ইউপির বোয়ালিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মোংলায় ১৫ কেজি গাঁজা জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে জাজিরার উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় একটি শর্টগান, ৮ রাউন্ড গুলি ও ৪০ ইয়াবা জব্দসহ লিজা আক্তারকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় আক্কাস ঢালী নামে তার এক সহযোগী পালিয়ে যান। তাকে খুঁজছে পুলিশ। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় অস্ত্র আইন ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে ৫১০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
৪৮ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
৬ মাস আগে
বিষ দিয়ে ২ শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
শরীয়তপুরে জমির ফসল বাঁচাতে গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে অতিথি পাখিসহ দুই শতাধিক পাখি নিধনের অভিযোগ উঠেছে এক সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের মধ্য সিড্যা গ্রামের খনার পাড় নামক ফসলি জমির মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এমনকি পাখি নিধন করে তা জমির চারপাশে বেঁধেও রেখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ফাঁদ পেতে অবাধে চলছে পাখি নিধন
গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পাখি মেরে ফেলা মো. শাহজাহান মাদবর সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ঘুঘু, শালিক, বক, চড়ুইসহ অতিথি পাখি খাবারের সন্ধানে মধ্য সিড্যা গ্রামের খনার পাড় নামক ফসলি জমির মাঠে আসে। পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে পুরো ফসলি মাঠ।
জানা যায়, কয়েক দিন ধরে শাহজাহান মাদবর এবং তার লোকজন গম ও ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ছিটিয়ে রাখতেন। বিষ খেয়ে পাখি মারা গেলে কৃষকরা তা মাটিতে পুঁতে ফেলতেন। এ ছাড়া তারা বিষে মারা যাওয়া কিছু পাখি জমির চারপাশে সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন।
আরও পড়ুন: টিয়াসহ ২৩ পাখি উদ্ধার, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ জনের কারাদণ্ড
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা বলেন, শীত মৌসুমে আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখি আসে। কিছু অসাধু ব্যক্তি, যারা প্রকৃতির শত্রু তারা বিষসহ নানা মাধ্যমে পাখিগুলো মেরে ফেলে, যা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন পাখি নিধনকারীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাখি নিধনকারী শাহজাহান মাদবর বলেন, মরা পাখিগুলোর ছবি তুলতে হবে কেন? আমি তো পাখির জন্য গম বপন করিনি। আর এগুলো গণমাধ্যমে দেওয়ার দরকারও নেই।
শাহজাহান মাদবরের পুত্রবধূ হিমু আক্তার বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ দিয়েছিল, সেই বীজ জমিতে বপন করেছে আমার শ্বশুর। জমিতে তিনি ইঁদুর মারার বিষ দিয়েছিলেন, তাতে যে এমন ঘটনা ঘটবে তা আমাদের জানা ছিল না।
আরও পড়ুন: মাগুরায় হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি, চোখে পড়ে না বাসা
বিষয়টি নিয়ে সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাদী জিল্লু বলেন, বিষ দিয়ে পাখি মারার বিষয়টি আমি শুনেছি। সাবেক মেম্বার শাহজাহান মাদবর আমার কাছে এসেছিলেন।
তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তার ফসলি জমিতে তিনি গমের বীজ বপন করেছেন। কে বা কারা বিষ মিশিয়ে পাখি মেরেছে, তা তিনি জানেন না।
তবে বিষ দিয়েই হোক আর যেভাবেই হোক পাখি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। পাখি হত্যা অন্যায় এবং দণ্ডনীয় অপরাধ।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, পাখি হত্যাকারীদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সেপটিক ট্যাংকে নামিয়ে কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
১১ মাস আগে
শরীয়তপুর-২ আসনে ভোট কেন্দ্রে আগুন
রাতের আঁধারে শরীয়তপুরের নড়িয়ার একটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কয়েকটি বেঞ্চ পুড়ে গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে শরীয়তপুর-২ আসনের নড়িয়া উপজেলার চরমোহন সুরেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২ ভোট কেন্দ্রে আগুন
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নড়িয়ার ঘরিষার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ৬৫নং চরমোহন সুরেশ্বর স্কুলের জানালা দিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
আগুনের ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সাধারণ জনতা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময় জনতার টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বেলকুচিতে তাঁত কারখানায় আগুন, ক্ষতি প্রায় অর্ধ কোটি
বিষয়টি নিয়ে ঘরিষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান বলেন, আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তিনটি বেঞ্চ পুড়ে যাওয়া ছাড়া ভোট কেন্দ্রটির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, ৩৭৮টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্রের জানালার গ্লাস ভেঙে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। কেন্দ্রটির তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশা করছি একটি সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাসে আগুন, দগ্ধ হেলপার
১১ মাস আগে
শরীয়তপুরে সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু, আহত-২
শরীয়তপুরে একটি বেসরকারি মাদরাসার সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নজরুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার মহিলা কলেজ সংলগ্ন আহলে সুফফা মাদরাসার অস্থায়ী ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নজরুল ইসলাম মোল্লা শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ বালচুড়া গ্রামের সেকান্দার মোল্লার ছেলে। আহত দুইজন দহলেন- এমদাদ ফকির পৌরসভার ধানুকা এলাকার আনোয়ার ফকিরের ছেলে এবং জাহাঙ্গীর হাওলাদার একই এলাকার নূর জামান হাওলাদারের ছেলে। নিহত নজরুল ইসলাম ও আহত জাহাঙ্গীর হাওলাদার এমদাদ ফকিরের ওয়ার্কশপের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনের বিপরীত পাশে সরকারি মহিলা কলেজ সংলগ্ন একটি বাড়িতে আহলে সুফফা মাদরাসার অস্থায়ী ক্যাম্পাস। বিকালে ওই ক্যাম্পাসের নামফলকের সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়েছিল এমদাদ ফকির, জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম মোল্লা। সাইনবোর্ড লাগানোর সময় তিনজনেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। পরে তাদের দ্রুত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নজরুল ইসলাম মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বাকি দুইজনের শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত নজরুল ইসলাম মোল্লার চাচাত ভাই ইমন মোল্লা বলেন, বাবা মা নেই নজরুলের। তার অন্য ভাইয়েরাও শ্রমিকের কাজ করে। একটু সতর্ক হয়ে কাজ করলে হয়ত নজরুল মারা যেত না।
পালং মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) চুন্নু শেখ বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নজরুল নামে এক যুবক মারা গেছেন। এমদাদ ও জাহাঙ্গীর নামে অন্য দুইজন মারাত্মক আহত হয়েছে৷ নজরুলের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মীর
নওগাঁয় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
১ বছর আগে
শরীয়তপুরে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বাসভবন থেকে ১৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, ভবন সিলগালা
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বাসভবন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর বাসভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল দিকে উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসভবন থেকে এসব চাল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে আটক ২
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুদ রাখা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সেখানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় সেখান থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির ৩ বস্তা ও ৫০ কেজির ১০ বস্তাসহ মোট ১৩ বস্তা চাল এবং এক হাজার ১০০ খালি চালের বস্তা জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালের বস্তাগুলো জব্দ করে বাসভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খাদ্যগুদাম একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে সরকারের বিভিন্ন চাল মজুদ রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা ছাড়া এখান থেকে একটি বস্তা চালও বাইরে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নিজ বাসভবনে নিয়ে চালগুলো রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে চাইলে এর কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। এ কারণে চালগুলো জব্দের পর বাসভবনটি সিলগালা করে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪৮ মণ সরকারি চাল জব্দ, আটক ১
বাগেরহাটে জুট মিলে ১১৮৯ মেট্রিকটন সরকারি চাল জব্দ
১ বছর আগে
শরীয়তপুরে সুপারি গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
শরীয়তপুর গোসাইরহাটে সকালে সুপারি গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জাহাঙ্গীর আলম বন্দুকসি (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চরমনপুরা খুনেরচর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম বন্দুকসি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বন্দুকসির ছেলে। তিনি ফরিদপুরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে তিনি গ্রামে আসেন।
গোসাইরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, জাহাঙ্গীর আলম ফরিদপুরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। গত সপ্তাহে ছুটিতে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
তিনি আরও জানান, রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে জাহাঙ্গীর আলম বাড়ির পাশে সুপারি গাছ কাটছিল। একটি গাছ বৈদ্যুতিক তারে পড়লে তিনি হাত দিয়ে গাছটি সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এসময় তার স্ত্রী সুমি বেগম বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে গাছ থেকে সরান। পরে তার ছোট ভাই মো. আলমগীর হোসেন ও স্থানীয় লোকজন তাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়েদুল হক বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় যুবক নিহত
নিখোঁজের একদিন পর ভাই-বোনের লাশ মিলল শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে
১ বছর আগে
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরখাস্ত
ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে ৭২ লাখ টাকার চেক লিখে নেওয়ার অভিযোগে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া সার্কেলের (নড়িয়া-জাজিরা) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সোমবার (৩ জুলাই) এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ববি শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগে ৪ আনসার সদস্য বরখাস্ত
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনিরের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ জন্য সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৩৯(১) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী অভিযুক্তকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা সমীচীন বিবেচিত হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, রাসেল মনির বাংলাদেশ সার্ভিস রুল (বিএসআর) পার্ট-১ বিধি ৭১ অনুযায়ী খোরপোষ পাবেন।
জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দায়িত্বে অবহেলা করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত ডিআইজিকে সাময়িক বরখাস্ত
১ বছর আগে
শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব
উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া কয়েকজন আসামি ও তাদের স্বজনদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির এবং পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমকেও তলব করা হয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই তাদের সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাফসির আউয়ালকে বিদেশ যেতে বাধা না দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
হাজির হয়ে উচ্চ আদালতের আগাম জামিনের পরও কেন গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে ৭২লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে এবং আসামিদেরকে কেন জামিন দেওয়া হয়নি তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এক ফৌজদারি বিবিধ আবেনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।
এর আগে গত ১১ জুন বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।
তখন আদালত বলেন, লিখিত আবেদন দাখিল করুন। আমরা ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। পরে তিনি লিখিত আবেদন করেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া কয়েকজন আসামি ও তাদের স্বজনদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির এবং পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়।
ভুক্তভোগীর বড় ভাই আবু জাফর ঠান্ডু জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোহাম্মদ বদিউজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
এছাড়া ঘটনায় অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার।
পুলিশ, ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মে দ্রুত বিচার আইনে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানায় একটি ছিনতাই মামলা হয়। মামলায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা আহম্মেদ চোকদার কান্দি এলাকার সাদ্দাম চোকদার, বকুল চোকদারসহ নয়জনকে আসামি করা হয়।
সেই মামলায় ২৯ মে সাদ্দাম, বকুল, সাইদুল উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই হাত হারানো শিশুকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
জামিনে আসার পর ৩০ মে রাতে তারা এ মামলার আরেক আসামি আনোয়ারকে নিয়ে ঢাকা কেরানীগঞ্জ সাদ্দামের বন্ধু আলমগীর চোকদারের বাসায় যান। ওইদিন রাতে তথ্য পেয়ে সেই বাসায় হাজির হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারীসহ ১০-১২ পুলিশ সদস্য।
অভিযোগে বলা হয়, এ সময় সাদ্দাম তাদের জামিনের কাগজ দেখালে তা ছিঁড়ে ফেলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। পরে পুলিশ সাদ্দাম ও বকুলকে লাথি, কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড়সহ পুলিশের লাঠি (ডান্ডা), কাঁঠ, হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে প্লাস দিয়ে হাত ও পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়।
সাদ্দাম পানি পান করতে চাইলে ছোট ভাই বকুলকে দাঁড় করিয়ে মুখে প্রস্রাব করতে বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির। পরে সাদ্দামের শরীরে প্রস্রাব করেন বকুল। এমন নির্যাতন চলে রাত ১টা থেকে পরদিন ৩১ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কিছুক্ষণ পর ওই চারজনকে গামছা ও কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে করে জাজিরা প্রান্তে পদ্মাসেতুর নিচে আনা হয়। পরে সাদ্দাম ও বকুল এবং সাইদুল ও আনোয়ারকে পৃথক দুই স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসি সাদ্দাম-বকুলকে বলেন, সাইদুল-আনোয়ারকে ক্রসফায়ার দিয়ে দিয়েছি। তোরা ৭২ লাখ টাকা দিবি, তা না হলে তোদেরও ক্রসফায়ার দিয়ে দেওয়া হবে।
এভাবে সারাদিন রেখে রাতে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানায় এনে ৭২ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে বেত ও কাঁঠ, কোদালের বাট, লাঠি দিয়ে আবার বেধড়ক মারা হয় সাদ্দাম ও বকুলকে। সারারাত চলে এ নির্যাতন।
এরপর টাকার জন্য বকুলের স্ত্রী সানজিদা, দুই বছরের সন্তান, বাবা রশিদ চোকদার, মা রমেলা ও চাচাতো ভাই আবু জাফর ঠান্ডুকে থানায় এনে সারারাত আটকে রাখা হয় এবং শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
পরে আত্মীয়-স্বজনরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসির কাছে পাঁচটি চেকের মাধ্যমে ৭২ লাখ টাকা দিলে নির্যাতন থেকে মুক্তি মেলে সাদ্দাম ও বকুলের।
এ দুই দিন যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও তাদের খাবার ও ওষুধ দেয়নি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসি।
আরও পড়ুন: অর্পিত সম্পত্তির তদারকি-লিজের ক্ষমতা ডিসিদের: হাইকোর্ট
১ বছর আগে