পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় নারী ও শিশুসহ ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন শুকানি বিওপির গোলপদিগছ সীমান্তের ৭৩৯/৪ এস পিলারের কাছ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের রমেশ দাস (৩৮), আরতী দাস (৩৪), পল্লব দাস (১২), সুশিল দাস (৩৯), পাতলী রানী দাস (৩৫), সুবর্ণা দাস (১৪), প্রান্ত দাস (১০), পরিমল দাস (২৮) এবং তেঁতুলিয়া উপজেলার গোলাপদিগছ গ্রামের সাইদুল (হনু)। পরে বিজিবি তাদের তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের আংটি, কানের দুল, গলার হার ও নগদ টাকাসহ চারটি মোবাইল জব্দ করে।
বিজিবির শুকানি সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প কমান্ডার মকলেছুর রহমান জানান, আটকরা শুকানি সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তারা গোলপাদিগছ এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে বিজিবি তাদের আটক করে।
এর আগে বুধবার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বড়শশী বিজিবি বিওপির বিপরীতে ভারতের ১৫ বিএফএস ব্যাটালিয়ের অধীন মহাদেব বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে চারজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে।
আটকরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের ভল্লি থানার কাউতাঠি গ্রামের নিমাই চন্দ্র বর্মণ (৪২), পীরগঞ্জ উপজেলার থুমানিয়া গ্রামের সনাতন রায় (২৮), পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার কালপীর গ্রামের পরিতোষ রায় (২১) এবং নীলফামারী সদরের ডুবাছড়ি গ্রামের মালিন চন্দ্র রায়। বৃহস্পতিবার সকালে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাদের বোদা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পৃথক দুটি ঘটনায় ১৩ জনকে উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিবির নীলফামারী ৫৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম।