ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রাম। শহরের নিচু এলাকাগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় যান চলাচল কমে গিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবীরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) রাত ১১টার পর থেকে চট্টগ্রামে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে টানা বৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা।
বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খুব একটা বৃষ্টি না হলেও রাত ১১টার পর ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সারাদিন দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, ফরিদারপাড়া, চান্দগাঁও আবাসিক, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাড়ইপাড়া, ডিসি রোড, বাকলিয়া, চকবাজার কাঁচাবাজার, রহমতগঞ্জ, আতুরার ডিপো এলাকার রাস্তাঘাট ও অলিগলি পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। এসব এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
নগরীর চকবাজার এলাকার বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মুনিরা মনি বলেন, ‘বাসা থেকে নেমে দেখি রাস্তায় হাঁটু সমান পানি। তার ওপর নেই কোনো রিকশা সিএনজি। একঘণ্টা দেরি হয়ে গেছে অফিসে পৌঁছাতে।’
আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘বুধবার রাত থেকেই বৃষ্টি। হালকা বৃষ্টি হলেই এখানে পানি উঠে। তার ওপর রাস্তাঘাটের কাজ চলছে। সব জায়গা খুঁড়ে একাকার করে রেখেছে। যার কারণে কোনো গাড়ি যাচ্ছে না এখানে। সকালে নাশতা কিনতে বের হয়ে এখন ময়লা কাদাপানিতে ভিজে বাসায় যেতে হচ্ছে।’
পতেঙ্গা আবহা অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আলী আকবর খান বলেন, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর কারণেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামে।’
আরও দুই-একদিন এমন বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান তিনি।
আলী আকবর খান আরও বলেন, ‘গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’