মৌলভীবাজারের জুড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামের মোখলেছ মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আরও একজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন-ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরি বেগম, মেয়ে সামিয়া বেগম (১৬), মেয়ে সাবিনা বেগম (১৩) ও ছেলে সায়েম মিয়া (৮)। এদের মধ্যে মেয়ে সামিয়া বেগম নবম শ্রেণির ও সাবিনা বেগম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
আহত সোনিয়া আক্তার (১০) আহত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ২টা থেকে এই এলাকায় অনেক ঝড়-তুফান হয়। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। পেশায় ঠেলা চালক ফয়জুর রহমানের বসত ঘরের ছাউনির টিনের উপর হাই ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের একটি তার ছিড়ে পড়েছিল। রাত সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ আসলে তাদের ঘরে শর্টসার্কিটে সবাই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস খবর দিলে একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে।
জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি সড়কের এক পাশে টিনের চালা ও বেড়ার তৈরি ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন ঠেলা চালক ফয়জুর রহমান। তার ঘরের ওপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন টানানো। নিজের জমি না থাকায় রহমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির পতিত জমিতে বাস করেছিলেন ফয়জুর।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানা চৌধুরী জানান, ঝড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। তাদের এই ঘর নির্মাণের সময় আমরা বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু নিহত পরিবারের ঘর তৈরির মতো অন্য কোনো জমি ছিল না। তা ছাড়া ঘরের আশেপাশে আমরা একটি খুঁটি স্থাপন করতে গেলেও এলাকাবাসীরা বাধা দেয়।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সারোয়ার আলম, জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।