রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে তরুণীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে স্থানীয়রা লাশ দেখে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।
নিহত তরুণীর নাম সন্ধ্যা রানী (২০)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শীশা বাঁশপীর গ্রামের শ্রী হরিলালের মেয়ে।
আটকরা হলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শীশা বাঁশপীর গ্রামের হরিলাল দাসের ছেলে ফুলবাবু রবি দাস (২৫) ও গোদাগাড়ী উপজেলার লালপুকুর গ্রামের আওয়াল হোসেনের ছেলে আদিল আহমেদ পলক (১৯)।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নিজ ঘর থেকে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
এদের মধ্যে ফুলবাবু রবি দাস সন্ধ্যা রানীর সৎ ভাই। ফুলবাবুকে নগরীর কর্ণহার মোল্লাপাড়া ও পলককে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। তবে ফুলবাবুর স্ত্রী মনতি দাস (২২) পালাতক রয়েছেন।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, নির্মাণাধীন বাড়িটি এলাকার পিয়াস নামের এক ব্যক্তির। একসঙ্গে বাড়ির নিচতলা ও দোতলার কাজ চলছে। বাড়িটিতে এখনও কেউ থাকেন না।
তিনি আরও বলেন, দোতলার নির্মাণাধীন বাথরুমের ভেতরে তরুণীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে ছিল। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) টিম সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর লাশ মর্গে পাঠায়।
ওসি বলেন, গোগ্রাম এলাকায় ফুলবাবু রবিদাস, তার স্ত্রী ও বোন সন্ধ্যা রানী ভাড়া বাড়িতে থেকে শ্রমিকের কাজ করতেন। সন্ধ্যা রানীর সঙ্গে তার ভাবি ও সৎ ভাইয়ের ঝগড়া হয়। এরই জেরে সন্ধ্যা রানীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ে প্রথমে অচেতন করা হয়। পরে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয় বলে আটকরা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার