শনিবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে আহমদ শফীর জানাজার আগে হাটহাজারী মসজিদের মাইক থেকে শুরা কমিটির সদস্য মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী এ ঘোষণা দেন।
ওই ঘোষণায় তিনি বলেন, ‘আমি মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী। আল্লামা শফী হুজুর আমাদের মুরুব্বি ছিলেন। আমরা সকলে আল্লামা শফী হুজুরের জন্য দোয়া করবো। মাদরাসা নিয়ে চলমান সংকট নিরসনে শুরা কমিটি মাদরাসার দায়িত্ব পালন করবে। আমি আল্লামা শফী হুজুরের জানাজা-দাফনের পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদরাসার পরিচালক নিয়োগ করবো। পরিচালক নিয়োগের পূর্বসময় পর্যন্ত শুরা কমিটি মাদরাসা পরিচালনা করবে।’
প্রসঙ্গত, হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন দেশের শীর্ষ কওমী আলেম ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী। গত বৃহস্পতিবার রাতে আল্লামা আহমদ শফীর সাথে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন হাটহাজারী মাদরাসার শুরা সদস্য মাওলানা নোমান ফয়েজী।
তিনি ওই সময় জানিয়েছিলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফীর সাথে বৈঠকের পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছে তিন সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি। সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- আল্লামা আহমেদ শফী হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে সদরে মুহতামিম (উপদেষ্টা) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন, নুরুল ইসলাম কক্সবাজারিকে মাদরাসার সব কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি এবং আনাস মাদানীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ‘যদিও আল্লামা আহমদ শফী অনুসারিদের দাবি- দুই জন শুরা সদস্য বসে মাদরাসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। মাদরাসার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কমিটি মজলিশে শুরা মতামতের ভিত্তিতে মাদরাসার যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
মসজিদের মাইক থেকে দেয়া ঘোষণায় মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী আরও জানান, বর্তমানে হাটহাজারী মাদরাসায় দেশের শীর্ষ আলেমরা অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান। শনিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে হাটহাজারী মাদরাসা প্রাঙ্গণে তাকে দাফন করা হয়েছে।