পরিবেশ-ও-কৃষি
মঙ্গলবার সকালে বিশ্বে দ্বিতীয় দূষিত বাতাস ঢাকার
ঢাকার বাতাসের মান আজ 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৪ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের দিল্লি, কলকাতা এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৬১, ১৭৯ এবং ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন
বাংলাদেশ বর্তমানে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি প্রাথমিকভাবে মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, বরিশাল এবং ভোলাসহ উত্তরাঞ্চলকে প্রভাবিত করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই শীতের প্রভাব বিশেষভাবে দিনমজুর, শিশু ও বয়স্কদের ওপর পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে সারাদেশে তাপমাত্রার তারতম্য তুলে ধরা হয়েছে, বরিশালে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। আর টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার মানদণ্ড অনুযায়ী ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে হালকা শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে ধরা হয়। তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতাও বৃদ্ধি পায়।
এই আবহাওয়ার ধরণটি মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশাও বয়ে নিয়ে আসে, বিশেষত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং কিছু অঞ্চলে দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এতে মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও, কোথাও কোথাও আকাশ আংশিক অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাত এবং দিনের তাপমাত্রায় সামান্য বৃদ্ধি প্রত্যাশিত, যদিও অনেক অঞ্চলে দিনে ঠান্ডা আবহাওয়া অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এই শৈত্যপ্রবাহে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাসিন্দারা হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার মুখোমুখি হয়েছে। এটি সাধারণ জীবনযাত্রাকেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত করেছে। হাড় কাঁপানো শীত থেকে জনগণের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি
শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় যে পরামর্শ দিল কৃষি মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) এর তথ্য অনুসারে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট) উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আগামী ২ থেকে ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এ মৃদু শৈত্য প্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মাঠের ফসল রক্ষার জন্য কিছু জরুরি পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
পরামর্শগুলো হলো-
কুয়াশা ও মৃদু, তীব্র শীতের এ অবস্থায় বোরো ধানের বীজতলায় ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে।
ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, বীজতলা থেকে পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে চারার উপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর নাবী ধ্বসা রোগের আক্রমণ হতে পারে। প্রতিরোধের জন্য অনুমোদিত মাত্রায় ম্যানকোজেব গোত্রের ছত্রাকনাশক ৭ থেকে ১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
সরিষায় অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত মাত্রায় ইপ্রোডিয়ন গোত্রের ছত্রাকনাশক ১০ থেকে ১২ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে।
ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করতে হবে। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়, পলিথিন শীট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন পেঁয়াজ অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে: কৃষি মন্ত্রণালয়
তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
কয়েকদিনের কনকনে শীতে বোরো ধানের বীজতলা এবং সবজির ক্ষতি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন যশোর অঞ্চলের কৃষকরা। যদিও কৃষি বিভাগের বিশ্লেষণ এরকম আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়নি।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে না নামা পর্যন্ত ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। বরং সবজির জন্য তা উপকারই হবে।
যশোরে গত ১৪ দিন ধরে তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও গেল তিনদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শেষ তিনদিনের কমে যাওয়া তাপমাত্রায় কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন। এতে অনেক এলাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। শঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষকের মধ্যে। বিশেষ করে বোরো ও সবজি চাষিদের এক প্রকার ঘুম হারাম হতে যাচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত ঠান্ডায় বোরো বীজতলা, বোরো আবাদ ও সবজি নষ্ট হতে পারে।
আরও পড়ুন: বোরো হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা কৃষি মন্ত্রণালয়ের
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বলেছেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামলে ফসলের ক্ষতি হবে। যা এখনও হয়নি। যে অবস্থা চলছে এটি স্থায়ী হলে বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। একইসঙ্গে বন্ধ করতে হবে সেচ দেওয়া। পলিথিন ঘেমে যে পানি বীজতলায় পড়বে তাতেই সেচের কাজ হবে। বীজতলার কোনো ক্ষতি হবে না।
উপপরিচালক আরও বলেন, এ ধরনের শীতে সবজির কোনো ক্ষতি হয় না। বরং উপকারই হবে। অনেক সময় কৃষক ভ্রান্তিতে পড়েন।
এদিকে, যশোরের আট উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফসল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়া জানুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক জমিতে বোরো লাগানোর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাট চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু
সরেজমিনে সবজি খেত ঘুরে এখন পর্যন্ত কোনো সবজির খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি চোখে পড়েনি।
সাজ্জাদ হোসেন নামে এক চাষি বলেন, এখন পর্যন্ত আমার সবজি ও বোরো বীজতলা ঠিক আছে। বেশি কুয়াশা পড়লে আমি সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে দিই। সাজ্জাদের মতো কৃষক ওহিদ, সেলিম, মেহেদীসহ আরও অনেকেই এটি করেন বলে তারা জানান।
রবিবার কনকনে শীতের মধ্যেও কৃষকের সবজি ও বোরো ধানের পরিচর্যা করতে দেখা যায়। যশোর বিমানবন্দরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটি আবহাওয়া দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, রবিবার সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে যশোরের তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং সন্ধ্যা ৬টায় ফের তাপমাত্রা কমে যায়। এ সময় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: বোরোতে উফশী ধানের উৎপাদন বাড়াতে ১০৮ কোটি টাকার প্রণোদনা: কৃষি মন্ত্রণালয়
সোমবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান আজও 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯০ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
পাকিস্তানের করাচি, চীনের উহান এবং ভারতের কলকাতা যথাক্রমে ২৫১, ১৯১ এবং ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালেও ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি
আজ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল শনিবার দিনাজপুরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে।
এছাড়া, আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আর এই অবস্থা আরও দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি
এদিকে, কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
তাছাড়া, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
চলমান ঘন কুয়াশা ও শীতে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাসমূহের সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশ বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও বয়স্করা কষ্ট পাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ
চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রবিবার সকালেও ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান আবারও 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান অষ্টম। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬৪ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার সকালেও ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ ছিল।
ভারতের কলকাতা, দিল্লি এবং চীনের চেংদু যথাক্রমে ৩৬০, ২৪৬ এবং ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট জারি
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি
প্লাস্টিকমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত রাখতে করতোয়াসহ আন্তসীমান্ত নদীগুলোকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে প্লাস্টিকের সংযমী-বিকল্প ও সচেতন ব্যবহারে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনরা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক তৃনমূল সংগঠন ‘সিক্ত বাংলাদেশ’র আয়োজনে ‘রিজিওনাল কনসালটেশন অন ট্রান্সবাউন্ডারি রিভার প্লাস্টিক পলুশন ইন পঞ্চগর’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানান বক্তারা।
এতে দেবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবু বকর সিদ্দিকসহ উপস্থিত জনপ্রিতিনিধি, তরুণ সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সেক্টরের অংশীজন প্লাস্টিক ব্যবহার কমানোসহ নিজ নিজ উদ্যেগে প্লাস্টিক দূষণ রোধে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব সস্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
‘সিক্ত বাংলাদেশ’র পরিচালক মো. মাহাবুল আলম তামিমের সঞ্চালনায় হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, বেগম রোকেয়া বিশ্বাবিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহামুদুল হক এবং দেবীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাম্মাৎ রিতু আক্তার অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: কপ২৯ অনুষ্ঠিত হবে আজারবাইজানে
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দেবীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর নেপাল চন্দ্র রায়, মো. শফিকুল আলম লবা, এবং লুতফা বেগম।
‘সিক্ত বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম সঞ্চালক হাবিবা জাহান বিথী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে জেলার ৬০জন সমাজসেবক অংশগ্রহণ করেন। তারা বাংলাদেশের নদীসমূহের দূষণের কারণসমূহ চিহ্নিত করে দূষণরোধে করণীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ঐকমত্য হন।
মতবিনিময় সভার আয়োজনে সহযোগিতা করেছে মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক, ইনভ্যাকশন , জনতা ক্লাব অব ঢাকা , এবং ইএসআরআই।
আরও পড়ুন: দ্রুত লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড পেতে পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত
দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট জারি
দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দিল্লিতে শীতলতম রাত পার করেছে মানুষ। মেহরাউলি-গুরগাঁও রোডের আয়া নগরে এ রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এনডিটিভির খবরে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এ অবস্থায় দিল্লি ও জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে (এনসিআর) ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারণে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।
গত রাতে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিল্লি-এনসিআর এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
আইএমডি জানিয়েছে, লোদি রোডে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি, সফদরজংয়ে ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি, রিজে ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি এবং পালামে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিল্লি ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আবহাওয়ার কারণে দিল্লিগামী ১৮টি ট্রেনের ১ থেকে ৬ ঘণ্টা দেরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: দিল্লির বাতাস বিপজ্জনক, ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কুয়াশার মধ্যে কম দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের দেরি হয়েছে।
আইএমডি জানিয়েছে, দিল্লির প্রধান আবহাওয়া কেন্দ্র সফদরজং অবজারভেটরিতে সকাল সাড়ে ৫টায় দৃশ্যমানতা ছিল ২০০ মিটার। আজ সকালে জাতীয় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশার প্রভাব দেখা গেছে।
আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ আগামী তিন দিনের জন্য জাতীয় রাজধানীতে সতর্কতা জারি করেছে। এতে শৈত্যপ্রবাহ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দৃশ্যমানতা কম থাকায় ভারতের গুয়াহাটিতে একটি ফ্লাইট অবতরণে ব্যর্থ হয়ে বিকাল ৪টায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
আরও পড়ুন: বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভরে গেছে নয়াদিল্লির বাতাস, স্কুল বন্ধ ঘোষণা
দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি
আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া, আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
এতে আরও বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জেঁকে বসছে শীত, দুর্ভোগে পদ্মা পাড়ের মানুষ