%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
পাঁচ বছর পর কক্সবাজারে জনসভায় যাচ্ছেন শেখ হাসিনা, প্রস্তুতি সম্পন্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে সমুদ্র তীরের পর্যটন শহর কক্সবাজার উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। বুধবার পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম জনসভায় ভাষণ দিতে আসছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এই স্থানটি স্বাগত তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কক্সবাজার জেলা শাখার নেতাকর্মীরা তাদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবচেয়ে বড় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আ.লীগের জেলা শাখার পক্ষ থেকে এ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সাধারণত মানুষ পর্যটনের জন্য কক্সবাজারে আসলেও বুধবার সারা জেলা থেকে তারা শহরে আসবেন আ.লীগ সভানেত্রীকে সরাসরি দেখতে ও তার কথা শুনতে।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, কক্সবাজার জেলার বাইরে থেকে লোক আনার দরকার নেই, বিশাল স্টেডিয়াম পূর্ণ করতে জেলার মানুষই যথেষ্ট।
তিনি বলেন, জনগণ তাদের প্রিয় নেতাকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নগরীর পাশাপাশি জেলায় গত ১৪ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীকাল শহরটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।
আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত ১৪ বছরে জেলায় তিন লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আর কিছুর দরকার নেই। প্রয়োজনে আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) অবশ্যই দেবেন।’
পাঁচ বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম জনসভার জন্য প্রস্তুত কক্সবাজার।
জেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জনগণ প্রধানমন্ত্রী ও আ.লীগ নেতার নির্দেশনার জন্য আগ্রহী।
জনসভা উপলক্ষে আ.লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাইকিং ও প্রচারণার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
শহরের বিভিন্ন সড়কে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত পোস্টার ও ব্যানারে বর্ণিল তোরণ ও গেট স্থাপন করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানিয়ে বিলবোর্ড, ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার টাঙানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে দিনব্যাপী সফরে বুধবার সকালে কক্সবাজারে পৌঁছাবেন।
সফরকালে তিনি চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ-২০২২-এ যোগ দেবেন।
বিকালে তিনি তার সফরের প্রধান কর্মসূচি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে স্থানীয় প্রশাসনও প্রস্তুতি নিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ.লীগের সমাবেশ: প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে
জনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডুতে মোবাইল ব্যবসায়ী জনি হত্যা মামলার একমাত্র ও প্রধান আসামি সজীব আহমেদ অপুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া জেলার মনহরদি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সজীব আহমেদ অপু হরিণাকুন্ডু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ছাব্বির আহমেদ বাদী হয়ে অপুসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাহত শজিমেক ছাত্রের মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
র্যাব-৬ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মো. রাসেল জানান, জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা বাজারে নিহত জনির মোবাইলের দোকান আছে। অপু কয়েকদিন আগে ওই দোকান থেকে ৬১ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল বাকিতে ক্রয় করে। পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে সোমবার দুপুরে আসামি অপু দোকানে ঢুকে জনিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, মোবাইল ব্যবসায়ী জনি হত্যা মামলার পর থেকেই র্যাব আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে অপু কুষ্টিয়া জেলার মনহরদি গ্রামে অবস্থান করছে।
পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বুড়িগঙ্গা থেকে পিকআপ চালকের লাশ উদ্ধার, আরেকজন গ্রেপ্তার
‘কপ-২৭ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমাতে অনেকেই আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছন, কপ-২৭ সম্মেলনে অনেকেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে।
তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করার জন্য আমরা যে বৈশ্বিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছি, তা বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একটা বৈশ্বিক ঐক্যমত তৈরি করার লক্ষ্যেই কপ সম্মেলনগুলো হয়।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কপ-২৭ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি: বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাসউদুল হক, হাবিব রহমান প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ পরিবর্তনজনিত ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ এর জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি আমাদের বহুদিনের। শেষ পর্যন্ত প্যারিস এগ্রিমেন্টের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে এটিকে স্বীকার করে নেয়া হলেও কোনো অগ্রগতি হচ্ছিল না।
মিশরে কপ-২৭ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের প্রায় একশ’ রাষ্ট্রপ্রধান-সরকার প্রধানরা গিয়েছিলেন এবং এবারের অন্যতম অগ্রগতি হলো যে, বিশ্ব সম্প্রদায় ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
মন্ত্রী জানান, কপ-২৭ সম্মেলনে অনেকেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে। আমাদের সরকারও ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানির ৪০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থাৎ সোলার, গ্রিনপাওয়ার, জলবিদ্যুৎ ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এসবের জন্য একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। এটি খুব ভালো দিক। ভাবনার বিষয় এতোকিছুর পরও বিশ্বের তাপমাত্রা ১৮৮০ সালের ভিত্তি তাপমাত্রা থেকে ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, এখন ১.১ ডিগ্রি বেড়েছে। আর তাতেই সার্বিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকায় দাবানল, পাকিস্তানে যারা পানির সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত নয়, সেখানে বন্যা দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ এর ফলাফলে সুশীল সমাজের হতাশা প্রকাশ
কপ-২৭: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থ দিতে এখনও একমত হয়নি ধনী দেশগুলো
দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ২২
দেশে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে কারও মৃত্যু হয়নি। এই সময়ে নতুন করে ২২জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৫ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনা: মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১০
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৬৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩২জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ২১০জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ২৬
দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১৫
এটা হতাশাজনক, এক মাসেও তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই: ফারদিনের বাবা
ফারদিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হলেও তদন্তকারী সংস্থা এক মাস পার হলেও কোনও অগ্রগতি করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন নিহত বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের বাবা কাজী নুরুদ্দিন।
মঙ্গলবার বুয়েট ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, ‘এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তবে তদন্ত কমিটি এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। এটা হতাশাজনক যে তদন্তকারী সংস্থাগুলো এক মাস পরেও কোনও অগ্রগতি করতে পারেনি।’
বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে এবং হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্তের দাবিতে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। গত ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এবং তার পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যার তদন্তে অগ্রগতি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: র্যাব
তদন্তে বিলম্বের জন্য তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমালোচনা করেন।
শিক্ষার্থী ও ফারদিনের বাবাও বুয়েট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের খবর এবং বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন বক্তব্য পাওয়ায় তারা এখনও বিভ্রান্তিতে রয়েছেন।
হতাশা প্রকাশ করে তারা বলেন, ফারদিন হত্যার এক মাস হয়ে গেছে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি এবং খুনিরা এখনও শনাক্ত হয়নি।
তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানান।
ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর চলতি বছরের ৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত করা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই দিনই ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় ছেলে হত্যার মামলা করেন এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় ফারদিনকে হত্যা করা হয়নি: পুলিশ
ফারদিন হত্যা: রিমান্ড শেষ, বুশরা জেলে
ডেঙ্গু: আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৬৯
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৬৯জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২৫৮জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যুশূন্য দিন, নতুন শনাক্ত ৩৫১
আক্রান্তদের মধ্যে ১৩৪জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ১৩৫জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ২২৭জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার ৭১৯টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৯৫৪জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ৮০৫জন রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৬ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৯ হাজার ১৯৬জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৭ হাজার ৫২৪জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ২১ হাজার ৬৭২জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫৭ হাজার ৭১১জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৬৪৭জন ঢাকার এবং বাকি ২১ হাজার ৬৪জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যুশূন্য দিন, শনাক্ত ৩০৮
দেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪১০
‘তারা বুদ্ধিজীবী নয়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ‘আল্লাহর রহমতে আমরা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি না। প্রতিটি ব্যাংকে টাকা আছে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক চতুর্থাংশ স্বার্থান্বেষী মহল মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়।
তিনি বলেন, আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তৈরি করেছি, কিন্তু তারা আমাদের বিরুদ্ধে এটি ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
বুদ্ধিজীবী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের একটি অংশ, যারা ‘সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদেরকে গণতন্ত্র নিয়ে তত্ত্ব ও উপদেশ দিচ্ছেন… অনেকে বলছেন যে তারা বুদ্ধিজীবী নন, বরং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।’
তিনি বলেন, ওই বুদ্ধিজীবীরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, মানি লন্ডারিং এবং অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তাদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, কেন এই ধরনের অপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করার চেষ্টা?’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘ভোটারবিহীন’ নির্বাচন করার জন্য খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল।
ওই একতরফা নির্বাচনের পর জনগণের আন্দোলনের মুখে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ছাত্রলীগের কর্মীসহ শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান, যাতে তারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অবদান রাখতে পারে।
রাজাকার, আলবদরসহ খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধীরা যাতে কোনও দিন দেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জনমত গড়ে তুলতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষাসহ তাদের পড়াশুনা যথাযথভাবে চালিয়ে যেতে এবং পিএসসি’র পরীক্ষায় বসতে বলেন, কারণ দেশ পরিচালনার জন্য একটি দক্ষ প্রশাসন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি দরকার আছে।একই সঙ্গে আমাদের দক্ষ প্রশাসন ও কারিগরি শিক্ষা দরকার।’ প্রতিটি জাতীয় সংকটের সময়, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারি এবং সিলেট অঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যায় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
বিএসইজেড বিনিয়োগকারীদের সর্বোত্তম পরিবেশ প্রদান করতে পারে: ইটো নাওকি
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সদ্য চালু হওয়া বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (বিএসইজেড) নিঃসন্দেহে শুধু জাপানি কোম্পানি নয়, অন্যান্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি থেকেও বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।
তিনি বলেন, বিএসইজেড সম্পূর্ণরূপে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সুবিধা এবং অবকাঠামোর ক্ষেত্রে এসইজেড’র দেয়া আছে।
নাওকি বলেন, ‘আমি আশা করি ভবিষ্যতে ১০০টিরও বেশি কোম্পানি এখানে কাজ করবে। যেখানে মোট দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। এই অঞ্চলে বিএসইজেড সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সর্বোত্তম সম্ভাব্য পরিবেশ সরবরাহ করতে পারে।’
মঙ্গলবার ঢাকায় সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বিএসইজেড’র উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতোমধ্যেই প্রায় ৩০টি জাপানি কোম্পানি এবং ১০টি বিদেশি কোম্পানি বিএসইজেডে বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি মর্যাদা থেকে উন্নীত হবে এবং এই সরকারের অধীনে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিস্ময়কর অর্জন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
বিএসইজেডের সাফল্য অবশ্যই তাদের সেখানে যেতে পথ দেখাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশটি ভিশন ২০৪১ অর্জনের মাধ্যমে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য রাখে। আমি আবারও বলতে চাই যে জাপান তার উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য একটি জয়-জয়কার অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে কাজ করবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকায় তার মেয়াদ শেষ করে আগামী সপ্তাহে তিনি জাপানে ফিরবেন এবং তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে গত তিন বছরে তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আন্তরিকভাবে আশা করি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এবং সুমিতোমো করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মাসায়ুকি হায়োডো বক্তব্য দেন।
বিএসইজেড হল বাংলাদেশের প্রথম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল যা জাপানি কোম্পানি দ্বারা ডিজাইন করা এবং তৈরি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে সহযোগিতার ইচ্ছা পোষণের আট বছর পেরিয়ে গেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে আমাদের নেতাদের উদ্দেশ্য অবশেষে বাস্তবায়িত হয়েছে। কোভিড-১৯ সহ আমরা যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘এটি জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল। কিন্তু বেজা নাম দিয়েছে 'বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (বিএসইজেড)।' আমি বিশ্বাস করি বেজা এবং সরকার এটা করেছে এই প্রত্যাশা নিয়ে যে এটি বাংলাদেশে ফ্ল্যাগশিপ এসইজেড হয়ে উঠবে।’
নাওকি বলেন, এটি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ(এফডিআই) বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের প্রতীক হয়ে উঠবে।
এই মাসে বিএসইজেড উদ্বোধনের পর ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে।
আরও পড়ুন: সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, এমআরটি লাইন-১ এবং লাইন-৫ উত্তর আগামী ২০২৩ সালে নির্মাণ শুরু করবে। তারপর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ টার্মিনাল-৩ এর আগামী অক্টোবরে একটি সফট-ওপেনিং করবে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরও নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২৪ সালে পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই বছরে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু চালু হবে।
তিনি বলেন, জাইকার এই মানসম্পন্ন অবকাঠামো প্রকল্পগুলো দেশকে বদলে দেবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সুযোগকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির জন্য বাংলাদেশকে ক্রমাগত কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এবং সে লক্ষ্যে জাপান ও বাংলাদেশের উচিত হাতে হাত মেলানো।
তিনি বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্য যে বিএসইজেড একটি দুর্নীতিমুক্ত স্পেশাল ইকোনোমিক জোন (এসইজেড) হিসাবে ঘোষণা করেছে। একটি ন্যায্য এবং অনুকূল বিনিয়োগ এবং ব্যবসার পরিবেশের জন্য দুর্নীতি দূর করতে তার দৃঢ় সংকল্প দেখাচ্ছে।’
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলটি এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে। এবং লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
সুমিতোমো কর্পোরেশনের সভাপতি এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসায়ুকি হায়োডো বলেছেন যে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি অত্যন্ত বিশেষ এবং সরকার ও বেসরকারি দু’টি খাত দ্বারা দৃঢ়ভাবে সহযোগিতাপুষ্ট।
কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও বলেন, ‘আমাদের এই ব্যবসায় ৩০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আমরা বাংলাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রয়েছি।
হায়োডো বলেন, তারা টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে অবদান রাখছেন।
আরও পড়ুন: জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (যা মূলত ‘জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল’ নামে পরিচিত) উদ্বোধন করেছেন।
মঙ্গলবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনু্ষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) মতে, জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৫০ কোটি বা দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আসবে এবং এক লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন, স্বাস্থ্য-শিক্ষার জন্য সম্পদ ব্যবহার করুন: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বেজা জানিয়েছে,৩০টি জাপানিসহ ৪০টি বিদেশি কোম্পানি সেখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ বিনিয়োগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য। আমরা সর্বোচ্চ (বিনিয়োগের) সুযোগ ও সুবিধা দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন। ‘নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে আমরা তাদের বিশেষ সুযোগ দেব। তাদের জন্য আলাদা প্লট দেয়া হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার পরিকল্পিত শিল্পায়নের মাধ্যমে আবাদি জমি ও পরিবেশ রক্ষা করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি উদ্যোক্তারাও দেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
তিনি বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে অবস্থান করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করছে। এই দুই পাশে ৩০০ কোটি মানুষের বিশাল বাজারের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দু’টি অঞ্চল রয়েছে।
এছাড়া সরকার জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশেই ১৭ কোটি মানুষের বাজার রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধাও দিচ্ছে, যাতে তারা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে। তিনি বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে ১০০০ একর জমিতে গড়ে ওঠা জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনের উদ্বোধন বাংলাদেশে জাপানি ও অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার এক নতুন যুগের সূচনা করবে।
তিনি বলেন, সিঙ্গার নামে একটি স্বনামধন্য কোম্পানি ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের কারখানা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
হারুন আরও জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর জাপানের দু’টি কোম্পানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের কারখানা স্থাপনে চুক্তি করতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং সুমিতোমো করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট মাসায়ুকি হায়োডো।
বেজা এবং জাপানের সুমিতোমো করপোরেশন যৌথভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এবং আগের মতোই ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ২২শে জুলাই সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয় এবং ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে ওঠে। সে অনুযায়ী এটি ১২ অক্টোবরের জন্য নির্ধারিত ছিল।
কিন্তু নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের কারণে নির্বাচন বাতিল করে ইসি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বাতিল: ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ইসি
পরে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্প ধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন; গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার