%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. তহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ প্রফেসর পাড়ার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে পলাতক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় মেহেরপুর শহরের নতুন পাড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জতনের মেয়ে রেবা খাতুনের সঙ্গে জাহিদুল হক মেম্বারের পরিচয় হয়। এরপর রেবা খাতুনকে জর্ডানে ভালো চাকরির আশ্বাস দিয়ে ৫০ হাজার টাকা নেন এবং বিদেশে পাচার করেন।
২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর রেবার ভাবি গাজু খাতুন বাদি হয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬,৭,ও ৮ ধারা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। এতে আসামি জাহিদুল হক সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায় আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
আসামি পলাতক থাকায় নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন হলে সরকারের উন্নয়নও ব্যাহত হবে: কুজেন্দ্র লাল
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যাঘাত ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইনশৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা বাস্তবায়ন হবে।’
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোনো কথা নেই। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে সরকার। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সবারই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সব সম্প্রদায়-গোষ্ঠী সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মূল স্রোতধারার সঙ্গে এক হয়ে এগোতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পার্বত্য অঞ্চল নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায় আলাদা কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে সব সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আগামী দিনগুলোতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আরও বেশি ত্বরান্বিত করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা জানান, দীর্ঘসময় পর সাজেকে রাস্তা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্গম অঞ্চল সাজেকের মতো জায়গায় এত দ্রুতগতিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া এবং সীমান্ত বর্ডার রোড তৈরি করা হচ্ছে।
এছাড়াও কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংয়ের বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি পাস হলেই আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হবে।
বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বন ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
তীব্র তাপপ্রবাহে অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জবির
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এই সময়ে কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ৭ জনের যাবজ্জীবন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় ভার্চুয়ালি সব ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে চলমান তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে শিক্ষার্থীদের বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল জরুরি সভায় এক সপ্তাহের জন্য সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমনকে বরখাস্ত ও চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ২৮ এপ্রিল খুলছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ
শিগগিরই তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা না থাকলেও এর মধ্যেই আগামী রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজগুলো।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তবে এ সময় তাপপ্রবাহ সহনীয় না হওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বা সূর্যের আলোতে যেসব কার্যক্রম থাকে সেগুলো সীমিত করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ ও অন্যান্য কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।
ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনার মোংলায় ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গায় রাতে বৃষ্টি দিনে সূর্যের চোখ রাঙানি, রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি
টানা ২৫ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ বইছে। এপ্রিলের শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও গত ১০ দিন ধরে তীব্র থেকে অতি তীব্র রূপ নিয়েছে। এর মধ্যেই গতকাল মধ্যরাতে জেলায় ঝড়ো বৃষ্টি হয়। কিন্তু এতেও কমেনি তাপমাত্রা। বরং বৃষ্টির পর বেড়ে গিয়েছে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ।
এছাড়া গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সেসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
ডেঙ্গুতে আরও ১৩ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৫ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও ১৩ জন নারী।
আরও পড়ুন: মশার দেহে ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ বাকৃবি গবেষকের
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ হাজার ১০৩ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ২৯৫ জন ও নারী ৮০৮ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৩৩ জন আক্রান্ত
ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন।
বৃহস্পতিবার তার নতুন দায়িত্ব সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তার মিশনে যোগদানের তারিখ থেকে বদলির আদেশ কার্যকর হবে।
২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪তম বিসিএসের (পররাষ্ট্র) সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন সেহেলী সাবরীন।
২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব এবং ২০১৪-২০১৭ সালে জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সেহেলী সাবরীন।
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে 'ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশের
বাংলাদেশকে নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনটি দেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং নির্দিষ্ট কিছু সংবিধিবদ্ধ সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে 'মূল্যায়ন করতে শুধু ব্যর্থই হয়নি, বরং অবমূল্যায়ন করেছে', যা এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর মনোবল ও কার্যকারিতার জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন সাংবাদিকদের কাছে মার্কিন প্রতিবেদনটি নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকারের অনেক উন্নতি ও অর্জন প্রতিবেদনে স্থান পায়নি। অন্যদিকে, বিচ্ছিন্ন ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়লে এটি স্পষ্ট হবে, এটি পৃথকভাবে রিপোর্ট করা বা কথিত ঘটনাগুলোর পরিপূর্ণ রেফারেন্স দেওয়া হয়নি। এটি সরলীকরণ অনুমাননির্ভর তথ্যে ভরপুর।
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গাজায় অব্যাহতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার বিষয়ে উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সরকার। একই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেছে, ফিলিস্তিনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিরপরাধ নারী ও শিশু হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চলমান প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, গত বছর অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন অজুহাতে এবং বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে অস্থিরতা, সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির বিষয়টি প্রতিবেদনে অনুপস্থিত।
সাবরীন বলেন, বেশিরভাগই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (বেনামী উৎসসহ) কাছ থেকে পাওয়া অনুমাননির্ভর তথ্য দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রস্তৃত করা। যার মধ্যে অনেকগুলো মার্কিন সরকার বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমর্থিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মানবাধিকারে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই: মার্কিন প্রতিবেদন
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি সহজাত পক্ষপাতদুষ্ট, এটি বেশ স্পষ্ট।’
বাংলাদেশ সরকার অবশ্য বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসনের অব্যাহত আগ্রহের প্রশংসা করেছে।
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যতই প্রত্যাশা করি না কেন, বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিখুঁত নয়। যদিও মানবাধিকার কোনো শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তবে আর্থ-সামাজিক সীমাবদ্ধতার কারণে প্রায়ই এসব অধিকার আদায়ের গতিকে সীমাবদ্ধ করে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। ‘প্রকৃতপক্ষে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।’
যেসব ক্ষেত্রে আরও উন্নতি প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে সচেতন হয়ে বর্তমান সরকার, ২০০৯ সাল থেকে টানা মেয়াদে মানবাধিকার পরিস্থিতির অর্থবহ অগ্রগতি করতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।
মুখপাত্র আরও বলেন, যেকোনো বিচক্ষণ পর্যবেক্ষক লক্ষ্য করবেন, এই জাতীয় প্রচেষ্টার ফলে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, শিশুদের অধিকার, প্রবীণ ব্যক্তিদের অধিকার, শ্রমিকদের অধিকার, অভিযোগ নিষ্পত্তি, ন্যায়বিচারের সুবিধা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং আরও অনেক কিছুতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এটি বিএনপি ও তার রাজনৈতিক মিত্রদের সহিংসতা ও ভাঙচুরের বিষয়টি তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। ওইসব ঘটনা সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে এবং এর ফলে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
তিনি বলেন, 'এ ধরনের পরিকল্পিত প্রচারণা থেকে জনসাধারণের জীবন, শৃঙ্খলা ও সম্পত্তি রক্ষায় আইনানুগ পদক্ষেপ ও প্রতিকারের চেষ্টা করার রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপকেও প্রতিবেদনে দায়ী করা হয়েছে।এটি খুবই হাস্যকর।’
সাবরীন আরও বলেন, এটা অবশ্যই উল্লেখ করা উচিৎ, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করেছে এবং যেকোনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত: হাইকমিশনার
তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনায় সরকারের আন্তরিক সমর্থন ও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৮টি দল দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং বিএনপি ও অন্যান্য দলের বর্জন সত্ত্বেও ৪২ শতাংশ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।’
সেহেলী সাবরীন বলেন, মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার ইস্যুতে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবেদনে বারবার বেশ কিছু অভিযোগ বা অনুযোগ উঠে এসেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে 'শরণার্থী' বা 'রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি' হিসেবে অভিহিত করা অব্যাহত রয়েছে, যা মিয়ানমারের নাগরিক বা বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতির বৈধ দাবিকে ক্ষুণ্ন করছে।
অন্য একটি উদাহরণে তিনি বলেন, কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে দেশের সাংবিধানিক বিধানের পরিপন্থী 'আদিবাসী জনগণ' হিসেবে চিহ্নিত করা অব্যাহত রয়েছে, যা অযৌক্তিক উত্তেজনা ও বিভাজনকে উসকে দেওয়ার প্রচেষ্টার নামান্তর।
আবার, কিছু ক্ষেত্রে, প্রতিবেদনটি আলাদাভাবে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিনিময় করা অকাট্য প্রমাণ বা তথ্য বাদ দিয়েছে বা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শাহীন মিয়া ও মোহাম্মদ রাজু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচারিক কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়েছে, যাতে ঘটনাগুলো আইনের আওতাভুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, জেসমিন সুলতানার ক্ষেত্রে যে বিচারিক প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে তা প্রতিবেদনে যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়নি, বিশেষ করে চলমান যথাযথ প্রক্রিয়ার বিষয়টি।
আরও পড়ুন: মরিশাসকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
মুখপাত্র বলেন, ‘একইভাবে, শ্রম অধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলো, বিশেষত ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধকরণ এবং কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে, যা বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বরাবরের মতোই প্রতিবেদনে আইনগত কর্মকাণ্ডের চিত্র ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে, 'একইভাবে, প্রতিবেদনে শ্রম অধিকার ইস্যু, বিশেষত ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন এবং কার্যক্রম সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে, যা বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বরাবরের মতো এবারও কারখানা, প্রতিষ্ঠান, সরকারি সম্পত্তি বা ব্যবস্থাপনা কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের নামে অযাচিত বাধা বা ভাঙচুরের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের গৃহীত আইনানুগ পদক্ষেপের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিকার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গৃহীত প্রশাসনিক ও বিচারিক পদক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে প্রতিবেদনে মানবাধিকারের পদ্ধতিগত অপব্যবহারের অংশ হিসেবে বেসরকারি ব্যক্তি বা সংস্থার দ্বারা সংঘটিত ঘটনাগুলো প্রকাশের প্রবণতা বজায় রাখা হয়েছে।
সাধারণভাবে, বাংলাদেশ সরকার সামগ্রিক প্রতিবেদনটি নজরে নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে সব নাগরিকের মানবাধিকারের পূর্ণ উপভোগ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি সমুন্নত রাখতে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রক্রিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রত্যাশায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে ফিরেছে ১৭৩ বাংলাদেশি
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ: শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
বাস চাপা পড়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফজলুর রহমান।
এদিকে চুয়েটের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ এপ্রিল উপাচার্যের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে বাসের ধাক্কায় নিহত হন চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী। এরপর থেকে ১০ দাবিতে ৪ দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: বাসচাপায় ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত চুয়েট, কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মানের দিকে নজর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত জিআই পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলাসহ ১৪টি জিআই পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিবন্ধন বিষয়ে বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে মত বিনিময় সভা
এ সময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলো, দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কেন্দ্রীয়ভাবে জিআই পণ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করার পরামর্শ দেন তিনি।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।
আরও পড়ুন: জিআই পণ্যের বিষয়ে সক্রিয় থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কোনো খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।’