মেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. তহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ প্রফেসর পাড়ার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে পলাতক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় মেহেরপুর শহরের নতুন পাড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জতনের মেয়ে রেবা খাতুনের সঙ্গে জাহিদুল হক মেম্বারের পরিচয় হয়। এরপর রেবা খাতুনকে জর্ডানে ভালো চাকরির আশ্বাস দিয়ে ৫০ হাজার টাকা নেন এবং বিদেশে পাচার করেন।
২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর রেবার ভাবি গাজু খাতুন বাদি হয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬,৭,ও ৮ ধারা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। এতে আসামি জাহিদুল হক সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায় আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
আসামি পলাতক থাকায় নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।