বাংলাদেশ
বিচারের দাবিতে আদালতে শিশু, বিজিবি সদস্যের খালাস বাতিল করল হাইকোর্ট
নীলফামারীতে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিজিবি সদস্যকে খালাস দেয়া কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ ঘটনায় বিজিবি সদস্যের বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়া পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা সহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে বিজিবি সদস্য মো. আকতারুজ্জামানকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আদেশও বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ধর্ষণের শিকার কিশোরীর করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
এছাড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সুপারকে মামলাটি তদন্ত করে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেন্টাল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে মানসিক চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মেয়েটির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির ও সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল এইড প্যানেলের আইনজীবী বদরুন নাহার এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে ১৫ জুন সুপ্রিম কোর্টে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছিল, যখন ১৫ বছর বয়সী এক মেয়ে তার মায়ের সঙ্গে আদালতে গিয়ে বিচার দাবি করেছিল।
মেয়েটি বলল, ‘ইউর অনার আমার বয়স ১৫ বছর। আমার সঙ্গে থাকা মহিলাটি আমার মা। একজন বিজিবি সদস্য আমাকে ধর্ষণ করলেও নীলফামারীর আদালতে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। আমরা গরীব, আমাদের টাকা নেই। আপনার কাছে আমরা বিচার চাই।’
আদালত তখন জানতে চেয়েছিল যে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির কোনও আইনজীবী আছেন কি না যারা মামলাটি নিতে পারেন। আইনজীবী বদরুন নাহার উঠে দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দেন।
এরপর আদালত বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
২০২০ সালের ২০ নভেম্বর নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় প্রতিবেশী এক বিজিবি সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
বিচারের পর, নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০২২ সালের ১৭ মে অভিযুক্তকে খালাস দেয়।
পরে গত ২৯শে জুন আসামিদের খালাস দেয়া বিচারিক আদালতের রায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
খালাস পাওয়া বিজিবি সদস্য আখতারুজ্জামানকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় স্থগিত
খুবির ৩ শিক্ষকের বরখাস্ত-অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
হবিগঞ্জ বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
এদিন বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের দুই ঘন্টা আলোচনার পর পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সধারণ সম্পাদক মো. সজীব আলী জানান, সোমবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পরিবহন মালিক শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। জেলা প্রশাসক দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। ফলপ্রসু আলোচনার প্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান বিকাল থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। উল্লেখ্য, বিগত ৪ সেপ্টেম্বর পরিবহন মালিক শ্রমিকদের যৌথ সভায় নবীগঞ্জ উপজেলার সালামতপুর বাস টার্মিনালে হবিগঞ্জ -এর বাসগুলোকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয় কিন্তু প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে হবিগঞ্জ থেকে কোন বাস ঐ টার্মিনালে প্রবেশ করতে না দেয়া এবং অবৈধ থ্রি হুইলার বন্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এ ধর্মঘট ডাকা হয়। অপর দিকে সিলেটে বিএনপির সমাবেশের আগে কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলার সঙ্গে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই খুলনায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
বরগুনায় পরিবহন শ্রমিকের ধর্মঘট প্রত্যাহার
পাসপোর্ট অফিসে নারীকে রুমে আটকে সাদা কাগজে সই, পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক পাসপোর্ট গ্রহীতাকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে সিলেট মহানগর জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন সিলেটের মোগলাবাজার থানাধীন গোটাটিকর পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাহারা খানম (৫৩)।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য মোগলাবাজার থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির মাদক মামলা চলবে, আবেদন খারিজ
মামলার বিবরণে জানা যায়, নগরীর গোটাটিকর পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা বায়োবৃদ্ধ সাহারা খানম পবিত্র হজ্ব পালন করতে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য নতুন পাসপোর্ট তৈরির উদ্দেশ্যে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক চালানের টকা জমা দিয়ে গত ১০ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে ফাইল জমা দেন। নিয়ম অনুযায়ী ফাইল জমা দিলেও অফিসের কর্তব্যরতরা ফাইলে বিশেষ চিহ্ন ‘মার্কা’ না থাকায় তা অনলাইনে নিবন্ধন করেননি বলে জানান। এজন্য পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গার না নিয়ে বারবার তাকে হয়রানি করতে থাকলে তিনি গত ১৪ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে গিয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে বিষয়টি অবগত করে পাসপোর্ট পেতে তার সহযোগিতা চান। পরে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে তিনি সুপারিশ করেছেন জানানোর জন্য বললে যথারীতি সাহারা খানম তা জানান।
তারপরই তার ওপর ক্ষেপে যান পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। তারা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের চাকরি করেন না এবং তিনি কেন উনার কাছে গিয়েছেন বলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তখন সাহারা খানম বাধ্য হয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক উম্মে সালমা তানজিয়ার ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি তাকে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলামের কাছে গিয়ে তার নাম বললে তিনি সাহারা খানমের পাসপোর্ট এর ফিঙ্গার নেয়ার বিষয়ে সহায়তা করার ব্যবস্থা করে দিবেন।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ নভেম্বর সকাল অনুমান সকাল ১১টায় সাহারা খানম সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের কক্ষে গিয়ে তাকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালকের কথা বললে তিনি আমাকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন। আনুমানিক ২ ঘন্টা পর সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম সাহারা খানমকে বলেন যে, আপনার পাসপোর্টের জন্য জনৈক ছয়েফ খানকে ৮ হাজার টাকা দিয়েছেন মর্মে একটা লিখিত অভিযোগ দিলে আপনার ফিঙ্গার নেয়া হবে। এই কথা শুনে সাহারা খানম পাসপোর্ট করার জন্য কাউকে কোন টাকা দেই নাই এবং কোন লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করলে পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদান করেন। একপর্যায়ে তিনি তার অফিসে কর্মরত আরও ২ জন কর্মকর্তাকে ডেকে এনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। তখন যদি তার কথা মতো একটি লিখিত অভিযোগ না করি তাহলে তিনি সাহারা খানমকে শারিরীক লাঞ্ছনা ও প্রাণে মারার হুমকি দেন।
তখন তিনি প্রাণ ভয়ে তার কথামতো একটা সাদা কাগজে ‘ছয়েফ খানকে আমার পাসপোর্টের জন্য ৮ হাজার টাকা দিয়েছি’ লিখে দিলে তিনি তার অফিসের কর্মরত আরও ২ জন কর্মকর্তার মাধ্যমে আমার পাসপোর্টের ফিঙ্গার নেন।
পরে ভোক্তভোগী সাহারা খানম বাসায় ফিরে তার আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য তিনি মোগলাবাজার থানায় গত ১৬ নভেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরী করেন এবং ২১ নভেম্বর সোমবার সিলেট মহানগর জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর
বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৯ ফুট উচ্চতার গাঁজার গাছসহ আটক ১
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৯ ফুট উচ্চতার প্রায় ২৭ কেজি ওজনের গাঁজার গাছসহ এক গাঁজাচাষীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের হাবাসপুর এলাকার নিজবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম রুহুল আমিন মধু (৩২)। তিনি ওই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে চাকরির আশ্বাস দিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ, আটক ১
কুমারখালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। মামলা নম্বর ২৫। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
রুহুল আমিন মধু নিজ বাড়ির আঙিনায় রান্না ঘরের পাশে প্রায় সাত মাস ধরে একটি গাঁজার গাছ চাষ করছিলেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, 'বাড়ির আঙিনায় গাঁজার চাষ হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাছসহ বাড়ির মালিককে আটক করেছেন ডিবি পুলিশ। গাছের উচ্চতা প্রায় ১৯ ফুট। যার ওজন প্রায় ২৭ কেজি ৩০০ গ্রাম। থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ১৫ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার, আটক ২
বেনাপোলে ১১২ টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
বান্দরবানে সৎ মাকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বান্দরবানের লামা উপজেলার মেরাখোলা এলাকায় সৎ মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূইঁয়া এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে আসামিকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তের নাম আলী আহাম্মদ(৫৪)।
জেলা আইন কর্মকর্তা পিপি মো. ইকবাল করিম জানান, সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ১৯৯৮ সালের ৩০ জুন লামা উপজেলার মেরাখোলার বেগুনঝিরি নামক স্থানে ঐ এলাকার রওশন আলীর ছেলে আলী আহাম্মদ তার সৎমাতা ভিকটিম ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন আসামি ধরে থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মৃত ফাতেমা বেগমের ভাই বাদী লামা থানার একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।
এ ঘটনায় আসামি আলী আহাম্মদ ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে দোষ স্বীকার করেছে। মামলায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে জেএমবির ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হালদা নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার, ১ জনের কারাদণ্ড
নাটোরে অস্ত্র মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফাঁকা বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিজ ঘর থেকে এক স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের রায়পুর গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্কুল ছাত্র রাকিবুল(১৪) ওই গ্রামের ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেনের ছেলে ও জিডি সামছুদ্দিন আহমেদ কলেজিয়েট স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ওই ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ফুল ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
স্বজনরা জানায়, রাকিবুলের পিতা ব্যবসার কাজে বাইরে থাকেন। মা গত রবিবার বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন। বাড়িতে রাকিব একা ছিলো।
রবিবার রাত ৯টার দিকে রাকিব নিজকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে তার চাচী রোজিনা খাতুন তাকে খাবার দিতে গিয়ে শয়নকক্ষ বন্ধ দেখতে পান।
এরপর কয়েকবার ডাকাডাকি ও ঘরের দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন। তবুও রাকিবের ঘুম না ভাঙলে পা দিয়ে দরজা খুলে ঘরের ভিতরে যান চাচী রোজিনা। ভিতরে গিয়ে ঘরের বাঁশের আঁড়ার সঙ্গে রশিতে ঝুলতে দেখে চিৎকার করে উঠেন। তবে কি কারণে রাকিব আত্মহত্যা করেছে বা কি ঘটছে তা জানে না স্বজনরা।
রোজিনা খাতুন বলেন, 'সকালে খাবার দিতে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখে অনেক ডাকাডাকি করি। কিন্তু রাকিবের কোনো সারাশব্দ পাইনি। পরে পা দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি ডাবের (আঁড়ার) সঙ্গে ঝুলতেছে।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রের এক চাচাতো ভাই বলেন, 'রাকিব সবসময় মোবাইলে গেম খেলতো। চুপচাপ থাকত। কিন্তু কোনদিন প্রেমের কথা শুনিনি। কেউ মেরে ফেললো কি না তা তদন্ত করা দরকার।'
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, 'খবর পেয়ে নিজ ঘর থেকে স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ওই ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।'
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় কলাবাগান থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের ৫ দিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে দু’টি প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার পৃথক দু’টি স্থানে অভিযান চালিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, জীবননগর উপজেলার চ্যাংখালী সড়কের তরফদার নিউ মার্কেটের মেসার্স গাজী স্টোর সরকার নির্ধারিত মূল্যের অধিক দামে চিনি বিক্রি করছিল। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আলী আজগরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে সহজ ডটকমের রিট
এছাড়া, মেসার্স সাজ ঘর কসমেটিকস-এ অভিযান চালিয়ে আমদানিকারকের স্টিকারবিহীন অবৈধ বিদেশি কসমেটিকস, মেয়াদ উত্তীর্ণ কসমেটিকস ও চকলেট বিক্রির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আশরাফুল আলমকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন জীবননগর উপজেলা উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমান ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি দল।
এ অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: পণ্য, সেবা ক্রয়ে প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার আইনে অভিযোগ করার উপায়
ভোক্তার সচেতনতা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
হেফাজত থেকে জঙ্গি পালানোর মূল পরিকল্পনাকারী শনাক্ত: সিটিটিসি প্রধান
ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি এবং নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সদস্যদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রবিবার পালানোর সময় পুলিশ সদস্যদের ওপর মরিচের স্প্রে ব্যবহার করেছিল তাদের সহযোগীরা।
সোমবার রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা লোকটির নাম এবং তার কয়েকজন সহযোগীর নাম পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করব না।’
আরও পড়ুন: হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের পুলিশের ফুল-চকোলেট উপহার
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘আমরা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি যে কীভাবে ওই দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা করেছিল। এই মুহূর্তে তাদের গ্রেপ্তার করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা প্রথমে পুলিশ ভ্যান থেকে নেমে আসা চার জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু মাত্র দুজনকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ভ্যান থেকে একবারে ১২ জন জঙ্গি নেমে গেলে সবাইকে নেয়ার চেষ্টা করত তারা। অভিযানে জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের পর তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে।’
সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান আরও বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত দু’জনই আনসার-আল-ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের জঙ্গি। যারা ২০১৬ সালে সিটিটিসি’র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। ‘তাদের আবার গ্রেপ্তার করা আমাদের জন্য আগের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। কিন্তু পুলিশের ভাষায় ‘রেড অ্যালার্ট’ বলে কোনও শব্দ আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। জঙ্গিরা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারে সেজন্য সব পয়েন্টে সতর্ক করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, রবিবারের ঘটনায় নতুন কোনো জঙ্গি সংগঠন জড়িত নয়।
রবিবার জাগৃতি পাবলিকেশন্সের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের (ঢাকা সিএমএম কোর্ট) প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যায়।
পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে সোয়া ২ কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ
ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের পুলিশের ফুল-চকোলেট উপহার
সড়কে চলাচলকারী মাথায় হেলমেট পড়া মোটরসাইকেল চালকদের রজনীগন্ধা ফুল ও চকোলেট উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে পুলিশ। ট্রাফিক আইন যথাযথ মানা এবং মাথায় হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য মোটরসাইকেল চালকদের আরও সচেতন করতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে শেরপুর জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের খোয়াড়পাড় মোড়ে ট্রাফিক বক্সের সামনের সড়কে পাঁচ উপজেলায় এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমের সূচনা করেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
‘পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে নয়, বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য হেলমেট পড়ুন’-এমন শ্লোগানে হেলমেট পরিহিত মোটরবাইক চালকদের রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং চকোলেট দেয়া হয়। এ সময় শহরের ব্যস্ততম চার রাস্তার মোড় খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকায় মোটরবাইক চালকদের থামিয়ে সড়কে চলাচল বিষয়ে সচেতন করাসহ বাইক ব্যবহারকারীদের হেলমেট পরার অভ্যাস গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়। এছাড়াও যেসব চালকদের হেলমেট ছিল না, তাদেরকে চকোলেট উপহার দিয়ে সতর্ক করা হয়।
পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বিপিএম উপস্থিত মোটরসাইকেল চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করে যানবাহন চালানো রাষ্ট্রীয় অপরাধ। এসব দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকরা সবচেয়ে বেশি মারা যায়। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকদের অবশ্যই হেলমেট মাথায় দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। এতে দুর্ঘটনার কবল থেকে মোটরসাইকেল চালকরা সুরক্ষায় থাকবেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে তার পরিবারটি নিরাপদ থাকবে।
তিনি জানান, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো ট্রাফিক আইনে বড় অপরাধ। তাই এসব চালকদের সচেতন করতেই পুলিশ মাঠে নেমেছে। এসময় কতিপয় মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট না থাকায় তাদেরকে জরিমানা না করে সর্তক করা হয়েছে। এছাড়া চালক ও আরোহীদের হেলমেট পড়া এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পুলিশের ফুল ও চকোলেট উপহার পেয়ে খুশী মোটর সাইকেল চালক রুবেল মিয়া। তিনি বলেন, যখন পুলিশ থামতে বলে ভেবেছিলাম না জানি কোন বিষয়ে ধরা খাইছি। প্রথমে ভয়ে ভয়ে ছিলাম। পরে পুলিশ সুপার নিজ হাতে ফুল ও চকোলেট দিলে আমি অনেক অবাক হয়েছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।
আরেক মোটরবাইক চালক রবিউল ইসলাম বলেন, যখন আমারে থামাইলো পুলিশ, বললো হেলমেট নেই কেনো। খুব ভয়ে ছিলাম, না জানি কত জরিমানা হয়, কী শাস্তি হয়। কিন্তু এসপি সাহেব মোটরবাইকের চাবি প্রথমে নিলেও ভালোভাবে আমাকে হেলমেট পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন, আইন মানতে বলেছেন। একপর্যায়ে চকোলেট দিয়ে হাতে বাইকের চাবিটাও ফিরিয়ে দিয়েছেন। এসময় পুলিশ আমাকে সতর্ক করে বলেছে, আজ ছাড়লাম, পরে যেন আর ভুল না হয়। হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেল চালানো আমাদের জন্যই তো ভালো। পুলিশের এমন ব্যবহারে আমি বিস্মিত হয়েছি। এটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. সোহেল মাহমুদ পিপিএম, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) হিরণ মিয়া, টিআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে জেএমবির ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: আদালতের ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
বেনাপোল সীমান্তে সোয়া ২ কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ
ভারতে পাচারের সময় বেনাপোলের শিকারপুর সীমান্ত থেকে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা মূল্যের ২০ টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা।
সোমবার সকালে শিকারপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে একটি সরিষা খেত থেকে স্বর্ণ জব্দ করে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পাচার হয়ে ভারতে যাচেছ এমন ধরনের গোপন খবর পেয়ে বিজিবির একটি টহলদল সেখানে অবস্থান নেয়। সরিষা খেতে অবস্থান করা তারিকুল ইসলাম তারেক নামে এক ব্যক্তিকে বিজিবি তাকে ধাওয়া দিলে সে একটি কাপড়ের ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ, এনজিও পরিচালক আটক
পরে ব্যাগ তল্লাশী করে দুই কেজি ৩৩০ গ্রাম ওজনের ২০ টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণের মূল্য ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা বলে জানায় বিজিবি।
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী জানান, ভারতে পাচারের সময় শিকারপুর সীমান্ত থেকে বিজিবির সদস্যরা দুই কেজি ৩৩০ গ্রাম ওজনের ২০ টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে। তবে পাচারকারী তারিকুল ইসলাম তারেক পালিয়ে যায় ভারতে। এ ঘটনায় থানা একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৮২টি স্বর্ণের বার জব্দ
বেনাপোলে ১১২ টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২