বাংলাদেশ
বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যক্তির চলাফেরায় বাধা দেয়া যাবে: আপিল বিভাগ
সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকার হিসেবে কোনো ব্যক্তির চলাফেরার যে স্বাধীনতা দেয়া আছে তা একচ্ছত্র নয় (নন-অ্যাবসলুট) বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগ বলেছেন, একজনের দেশত্যাগের অধিকারকে কখনোই একচ্ছত্র অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। বিশেষ পরিস্থিতিতে এই অধিকার স্থগিত করা যেতে পারে। ৩৬ অনুচ্ছেদ ব্যক্তির চলাফেরায় বাধা দেয়াকে অনুমতি দেয় তবে তা অবশ্যই আইন অনুযায়ী এবং জনস্বার্থে হতে হবে। তবে, আইনের সমর্থনে আরোপিত বিধি নিষেধ ছাড়া কোন নির্বাহী আদেশে কারও চলাফেরার স্বাধীনতা খর্ব করা অসাংবিধানিক। বুধবার দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দুদকের আবেদন নিষ্পত্তির পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এক রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। ১৮ পৃষ্ঠার রায়টি বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।
আপিল বিভাগ রায়ে বলেন, ৩৬ অনুচ্ছেদে যে স্বাধীনতা দেয়া আছে তার মূল উদ্দেশ্য সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করা। তাই ফৌজদারি অপরাধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে, পাসপোর্ট জব্দ ও বিদেশ যাত্রা আটকানো যাবে। তারপরও যদি কেউ আইনকে পাশ কাটিয়ে বিদেশ যাত্রার চেষ্টা করে, তাহলে আটকানোর পর, তিন কার্যদিবসের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। কিন্তু, ফৌজদারি অপরাধে কারও নাম এলেই তার বিদেশযাত্রা রোধ করা যাবে না।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে ৩ দিন চলবে ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ
এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে মর্মে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগ। দেশ ত্যাগে দুদকের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি রিটে হাইকোর্ট তিনটি রায় ও দুটি আদেশ দেন। ওইসব আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এ পাঁচ রিটের মধ্যে একটি হলো, নরসিংদীর আতাউর রহমানের মামলা। বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নরসিংদীর আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর রহমানের করা এক রিট আবেদনে জারি করা রুলের ওপর ১৬ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট।
দুদকের দেয়া নিষেধাজ্ঞার চিঠি অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অভিমতে বলেন, সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত। হাইকোর্ট রায়ে বলেছিলেন, বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদকের সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি নেই। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধিমালা করা প্রয়োজন। তাই আশা করছি, এ বিষয়ে দুদক বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আইন বা বিধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর সাজা: আপিল বিভাগ
আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির শপথ গ্রহণ
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার
করোনার কারণে সাত মাস বিলম্বের পর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে। এ পরীক্ষা শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
এ বছর প্রায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবং এর আগের বছর অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন।
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯০১ জন বৃদ্ধি পেয়ছে এবং বৃদ্ধির হার দুই দশমিক ৪৮ শতাংশ।
৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় এক লাখ ১৩ হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থী ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কারিগরি পরীক্ষায় এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে।
এছাড়া ৪০৬ জন শিক্ষার্থী বিদেশ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেবে। দেশব্যাপী পরীক্ষা গ্রহণের জন্য দুই হাজার ৬২১টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
করোনার কারণে এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সময়সূচি অনুযায়ী নেয়া সম্ভব হয়নি এবং পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
পরীক্ষাকে সামনে রেখে ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
করোনার কারণে গেল বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয় এবং এ বন্ধ বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতির উন্নতিতে ১৩ সেপ্টেম্বর সরকার স্কুল ও কলেজ খুলে।
গত বছর শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তাদের এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয় যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
কোনো বাধা ছাড়া যেন এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান দীপু মনির
ওমিক্রন: ক্লাস নেয়ার দিন বাড়ানো যাবে না, চলবে এইচএসসি পরীক্ষা
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২ ডিসেম্বর, কোচিং সেন্টার বন্ধ
বিদেশি চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব না: ড্যাব
সরঞ্জাম ও বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিমের অভাবে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে করানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের এ সংঠন মানবিক কারণে যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানায়।
ড্যাবের সভাপতি হারুন-আল-রশিদ বলেন, ‘কিছু মানুষ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার কথা বলে শুধু সময়ক্ষেপণ ও সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করছে।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রশিক্ষিত একটি মেডিকেল টিম ও সহায়ক যন্ত্রপাতি লাগবে। ‘তাই অন্য দেশ থেকে চিকিৎসক এনে তাকে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।’
ডা. হারুন বলেন, বেশ কয়েকবার রক্তক্ষরণের কারণে বিএনপি প্রধানের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আর সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। ‘চিকিৎসার জন্য একটি সম্পূর্ণ টিম ওয়ার্কের প্রয়োজন। এই ধরনের চিকিৎসা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির সব জায়গায় না, শুধু কয়েকটি সেন্টারে রয়েছে।’
তিনি বলেন, যদি বাইরে থেকে কোনো চিকিৎসক আনা হয় তাহলে তিনি একা প্রশিক্ষিত নার্স, ওয়ার্ড বয় ও সরঞ্জাম ছাড়া কাজ করতে পারবেন না। ‘এমনকি একজনের ভুলের জন্য পুরো কাজ পণ্ড হয়ে যেতে পারে।’
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সোমবার রাতে রক্তক্ষরণের পর তার হিমোগ্লোবিনের স্তর কিছুটা কমেছে। ‘তাকে বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনও সেগুলোর রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা রবিবার বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তার দ্রুত বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসায় আইন নয়, সরকার বাধা: ফখরুল
খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে সব দায় সরকারকে নিতে হবে: বিএনপি
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: মির্জা ফখরুল
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে ৯০ কার্যদিবসে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযোগপত্র বিচারিক আদালতে পাওয়ার ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতির আদেশে বুধবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপরোক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, দেশের সব অধস্তন ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মামলার অভিযোগপত্র বিচারিক আদালতে প্রাপ্তির ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে আবশ্যিকভাবে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেয়া হলো। এই সময়সীমার মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে তার কারণ উল্লেখপূর্বক ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হলো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জোরদারে কাজ করুন: রাষ্ট্রপতি
ঢাবি কর্তৃপক্ষকে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আর্থ-সামাজিক খাতে আরও বেশি গবেষণা এবং একাডেমিক দক্ষতা বাড়াতে স্বনামধন্য বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা স্থাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এটি একাডেমিক মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে করা যেতে পারে। বুধবার দেশের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শতবর্ষী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন গুণগত শিক্ষা প্রদান ও আন্তর্জাতিক মানসম্মত গবেষণা পরিচালনা।
তিনি বলেন, ভৌত উন্নয়নের মহাপরিকল্পনার চেয়ে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাডেমিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করলে সরকার সহযোগিতা করবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আজ শুরু হচ্ছে ঢাবির ১৬ দিনব্যাপী শতবর্ষ উদযাপন
ঢাবির আবাসিক হলের ক্যান্টিনের দেয়াল ধসে আহত ২
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জয়ের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক বার্তায় জয় বলেন, ‘বিজয়ের মাসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াই হোক আমাদের সকলের প্রত্যয়।’
তিনি বলেন, ‘বিজয়ের মাসের শুরুতে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদকে। একই সঙ্গে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে, যাদের নেতৃত্ব ও দৃঢ়তার কাছে হেরে গিয়েছিল বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী; অর্জিত হয়েছিল বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, বিজয়ের ৫০তম বছরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। জাতি হিসেবে যা আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ইতোমধ্যেই আমরা সফলভাবে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছি। সামনে আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের রাষ্ট্রদূত বানায় খালেদা জিয়া: জয়
আ. লীগ একটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক আন্দোলন: পরিকল্পনামন্ত্রী
এইচএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান দীপু মনির
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা যাতে কোনো বাধা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। এটি আরও সংক্রামক। আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে শিক্ষামন্ত্রী চাঁদপুর প্রতিদিন পত্রিকার একযুগ পদার্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান আতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন এক দুযোর্গময় সময় অতিক্রম করছে। এখন করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এটা আতংক ছড়াচ্ছে। এটি একটি ভয়ংকর ভাইরাস। এ ভাইরাস মানুষকে শারীরিকভাবে দুর্বল করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। এ ভাইরাসের সেই ক্ষমতা রয়েছে। অতএব আমাদেরকে খুব সাবধান থাকতে হবে।’
তিনি কিছুটা ক্ষোভের সাথেই বলেন, ‘এখনতো কারো মুখেই মাস্ক দেখা যায় না। মাস্ক পড়ছেন না। আমাদেরকে এ ঢিলেমী ঝেড়ে ফেলে দিয়ে স্বাস্থবিধি মানতে হবে। আমি আপনাদের কাছে আবেদন করছি আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে এই্চএসসি পরীক্ষা। এই পরীক্ষটি ছাত্রজীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সংক্রমণের কারনে এ পরীক্ষাটি যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই স্বার্থে আমাদের সবাইকে স্বাস্থবিধি মানতে হবে, যেনো আমাদের সংক্রমণ না বাড়ে, যেনো এমন অবস্থা না হয় যে পরীক্ষাটা বন্ধ করে দিতে হয়। সভা সমাবেশও কমিয়ে দিতে হবে যেনো লোক সমাগম না হয়। গত করোনায় আমরা ভালোই ছিলাম। আমরা সে অবস্থা থেকে এখন যেনো পিছিয়ে না যাই। আমরা সবাই খুব সতর্ক থাকার চেষ্টা করবো।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি। এ অনুষ্ঠানে করোনাকালে নিষ্ঠা, সাহস ও ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ অবদানের জন্য সাতজন চিকিৎসক ও জেলার আটজন বিশিষ্টজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: ক্লাস নেয়ার দিন বাড়ানো যাবে না, চলবে এইচএসসি পরীক্ষা
এসএসসি ও এইচএসসির সময়সূচি প্রকাশ
বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ১২১ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১২১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৩২১ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ৩৯ জন ও ঢাকার বাইরে ৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২৬ হাজার ৯২৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৯৮ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর প্রকোপ: আক্রান্ত আরও ১১৮
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: আরও ১১০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৬৯ জন হাসপাতালে ভর্তি
করোনা: দেশে মৃত্যু ২ ও শনাক্ত ২৮২
মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় শনাক্ত হয়েছে ২৮২ জন। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৮৩ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৬৬ জনে পৌঁছেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৮৫১ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে,২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকালে বিশ্বে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার ১২৪ জনে পৌঁছেছে। একই সময়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৫২ লাখ ১৪ হাজার ৮৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৮৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯০ জন এবং মারা গেছেন সাত লাখ ৮০ হাজার ১৪০ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৪৫৯ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮২২ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৮ হাজার ৭৯০ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৬ কোটি ২৭ লাখ ছাড়াল
ষাটোর্ধ্বদের করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের
করোনায় দেশে মৃত্যু প্রায় ২৮ হাজার
১১ দাবি নিয়ে আবারও সড়কে শিক্ষার্থীরা
নিরাপদ সড়ক ও দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়ার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারিসহ ১১ দফা দাবি নিয়ে আবারও রাজধানীর রামপুরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সকাল ১১টায় ইকরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইমপেরিয়াল কলেজ ও সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করেন।
এ সময় তারা যানবাহনের কাগজপত্র, লাইসেন্স, ফিটনেস সনদ যাচাই করে। এতে মালিবাগ-রামপুরা সড়কে যান চলাচল ধীর হয়ে যায়। এছাড়া কুড়িল বিশ্বরোড থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়।
হারিস নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, তাদের দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে না নিলে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে এক ঘণ্টার জন্য তারা একই সড়কে আবার অবস্থান নেবে।
এদিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দিলে দুপুর ২টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: রামপুরায় বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা