বাংলাদেশ
মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা দেয়ার কোনো বিকল্প নেই। তাই মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আমরা ২১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করেছি।’
রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনা ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় শিগগিরই হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালে জায়গা হবে না। শহরে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর ৭৫ শতাংশ গ্রাম থেকে আসা। ঈদে গ্রামে যাওয়া আসার কারণে করোনা সংক্রমণ ৫ থেকে ৬ গুণ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: আইভিআইয়ের সহযেগিতায় দেশেই টিকা উৎপাদন সম্ভব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী জানান, আগামী শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বিএসএমএমইউয়ে এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতালটি চালু করা হবে। এখানে ২০০ আইসিইউ, এইচডিইউসহ এক হাজার শয্যা থাকছে।
করোনা সংক্রমণের এমন পরিস্থিতিতে নতুন সংকট তৈরি করেছে ডেঙ্গু। প্রতিদিনই হাসপাতালের বারান্দায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের অনেকেই হাসপাতালে এসে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন। এই নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সুনির্দিষ্ট হাসপাতালের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: টিকাদান বন্ধ হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএসএমএমইউতে হচ্ছে ১২'শ শয্যার করোনা হাসপাতাল
বাংলাদেশে পৌঁছেছে ভারতের ২০০ এমটির ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’
করোনা মোকাবিলায় বন্ধু দেশ ভারতের পাঠানো ২০০ মেট্রিক টন (এমটি) তরল অক্সিজেন বহনকারী ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।
শনিবার রাত ১০ টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর অতিক্রম করে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে অক্সিজেনবাহী এক্সপ্রেস ট্রেনটি। প্রথমবারের মতো ভারতীয় রেলওয়ের “অক্সিজেন এক্সপ্রেস” ১০টি কন্টেইনারে ২০০ মেট্রিক টন (এমটি) তরল মেডিকেল অক্সিজেন (এলএমও) নিয়ে এলো।
আরও পড়ুন: রমেকের অক্সিজেন ‘পাচারকারী চক্রের’ ৬ সদস্য আটক
জানা যায়, অক্সিজেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান লিনডে বাংলাদেশ লি. পণ্য চালানের রাজস্ব পরিশোধ করে দ্রুতই খালাশ নেবার কথা বলে কাস্টমস সূত্র জানায়।
ভারতে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল এই বিশেষ ট্রেন পরিষেবা শুরু করার পর থেকে এই প্রথম প্রতিবেশী কোনও দেশে অক্সিজেন এক্সপ্রেস সেবা প্রদান করলো। ভারতের অভ্যন্তরে এ পর্যন্ত এই ধরনের ৪৮০টি অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালু আছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, শনিবার টাটা দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের অধীনে চক্রধরপুর বিভাগের কাছে বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন পরিবহনের চাহিদা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ছেলেকে আটকে রাখলো পুলিশ, অক্সিজেনের অভাবে মারা গেলেন বাবা
তিনি বলেন, আমদানিকৃত অক্সিজেনের বিপরীতে ১৬ লাখ টাকা রাজস্ব পরিশোধ করে বন্দর থেকে খালাশ নিতে হবে। সরকারের কাছে অক্সিজেনের শুল্ক উঠিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
শনিবার সকাল থেকে ভারতের ঝড়খান্ডের জামশেদপুর থেকে ১০টি কনটেইনারে ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন লোডিং করে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ রাত ১০ টায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের হাসপাতালগুলিতে এ অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপনে ধীরগতি
বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান বিষয়টির নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার রাত ১০ টার দিকে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ এর ১০টি কন্টেইনার বেনাপোল বন্দরে এসে পৌছেছে।’
পাঁচ প্রবাসী বাংলাদেশির পাঠানো ২৫০ ভেন্টিলেটর ঢাকায়
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসকদের পাঠানো ২৫০টি পোর্টেবল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ভেন্টিলেটর ঢাকায় পৌঁছেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ এবং পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবরা এই ভেন্টিলেটরগুলো গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে পাঁচজন বাংলাদেশি আমেরিকান চিকিৎসক এই ভেন্টিলেটরগুলো পাঠিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তায় ভারত থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে পোর্টেবল ভেন্টিলেটরগুলো এসেছে।
আরও পড়ুন: রাতে ভারত থেকে ২৫০ ভেন্টিলেটর আসছে
ফরিদপুরে আইসিইউতে চিকিৎসক ও যন্ত্রাংশের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৮৩
ঈদের ছুটি শেষে সরকারের আরোপিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী ঢাকায় ৩৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার এ সময় ৪৪১ টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে ১৩৭ জনের কাছ থেকে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
ট্র্যাফিক বিভাগ যানবাহনের কাছ থেকে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
শনিবার রাজধানীর রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা ছিল। কারণ এদিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো লকডাউন কার্যকরে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল।
নতুন করে দেয়া লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবারের তুলনায় শনিবার রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে কম সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাণিজ্যিক যানবাহন দেখা গেছে।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনা সদস্যদের রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের যানবাহন ও লোকজনের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার উত্তরা ও আবদুল্লাহপুর হয়ে দুরপাল্লার কয়েকটি বাস ও যানবাহনকে ঢাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও আমরা শনিবার কঠোরভাবে 'নো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করছি।’
ফলে ছুটির পর মহানগরীতে ফিরে আসা অনেককে আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, টঙ্গী, আমিন বাজার সেতু এবং বাবু বাজার সেতুসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পায়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
তবে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবল অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি সেবা প্রদানকারীদের রাজধানীতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই রাস্তায় চলাচল করা কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ি, মাইক্রোবাস এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক যানবাহনকে জরিমানা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
আমিন বাজার এলাকার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কিছু লোক চিকিৎসাপত্র দেখিয়ে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু বেশিরভাগেরই কাগজপত্র পুরানো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ।’
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মনন্ত্রালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফারহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, আগের লকডাউনের তুলনায় এবারের লকডাউন আরও কঠোর হবে। রাস্তায় পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের চতুর্থ দিনে গ্রেপ্তার ৬১৮, জরিমানা প্রায় ১৩ লাখ
২১ কোটি টিকা আসছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে আগামী বছরের শুরুর মধ্যে সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি টিকা চলে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের হাতে এক কোটির উপরে ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই আরও ২ কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। এভাবে চীন থেকে ৩ কোটি, রাশিয়া থেকে ৭ কোটি, জনসন এন্ড জনসনের ৭ কোটি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটিসহ আগামী বছরের শুরুর দিকে সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। আশা করা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমেই দেশের অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হবে সরকার।’
শনিবার বিকালে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত ‘কোভিডের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ, অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধ’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় দেশের মানুষকে কোভিড মহামারি থেকে রক্ষা করতে ব্যাপক ভ্যাক্সিনেসন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মুখে মাস্ক পরার গুরুত্ব তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৯ হাজার ছাড়াল
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলেঅকে নির্বিঘ্ন রাখতে এবং অধিকাংশ নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে এখন থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে দেশের সকল নাগরিককেই ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যেই সরকারের আইসিটি বিভাগের আওতাধীন জাতীয় সুরক্ষা অ্যাপে ১৮ বছরের উর্ধ্ব সকল নাগরিক যেন রেজিস্ট্রেশন করতে পারে সে ব্যাপারে একটি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় কোভিড মোকাবিলায় দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলির অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের কাছে কোভিডের তৃতীয় ধাপ মোকাবিলায় আরও বেড সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি মুবিন খান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অন্তত ২ হাজার নতুন কোভিড ডেডিকেটেড বেড বৃদ্ধি করার আশ্বাস দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে ভারত থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২০০ টন লিকুইড অক্সিজেন আমদানি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর সাথে ৪৩টি অক্সিজেন জেনারেটর অর্ডার করা হয়েছে।
পড়ুন: এই মাসে সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকা আসবে
জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আড়াই লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
আমেরিকান বাঙালিদের উপহার ২৫০টি ভেন্টিলেটর ও কোভ্যাক্সের ২ লাখ ৪৫ হাজার ভ্যাকসিন আজকেই দেশে চলে আসছে। আগামী ২৬-২৭ জুলাই দেশে চীনের আরও ৩০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে আসবে।
গ্রামাঞ্চলে কোভিড রোগীদের শনাক্ত করার উদ্যোগ হিসেবে সরকার জেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়াও খুব দ্রুত ৪ হাজার চিকিৎসক, ৪ হাজার নার্স, ৫০০ এনেসথেসিয়াসহ প্রচুর টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজও এগিয়ে চলেছে বলে জানান মন্ত্রী।
আসছে ফেসবুকের বিকল্প দেশি সোশ্যাল মিডিয়া ‘যোগাযোগ’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশকে আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ফেসবুকের বিকল্প দেশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘যোগাযোগ’ তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের উদ্যোক্তারা তথ্য, উপাত্ত এবং যোগাযোগের জন্য নিজেদের মধ্যে একটি নিজস্ব অনলাইন মার্কেটপ্লেস ও গ্রুপ তৈরি করতে পারবে। উদ্যোক্তাদের বিদেশ নির্ভর হতে হবে না।
শনিবার প্রতিমন্ত্রী উইমেন ই-কমার্স (উই) আয়োজিত ‘এন্টারপ্রেনারশীপ মাস্টারক্লাস সিরিজ ২’ এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই জুম অনলাইনের বিকল্প ‘বৈঠক’ অনলাইন প্লাটফর্ম এবং করোনা প্রতিরোধে টিকা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিজস্ব কমিউনিকেশনের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এর অল্টারনেটিভ হিসেবে ‘আলাপন’ নামেরও একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। তিনি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মসহ নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।তিনি জানান, উইমেন ই-কমার্স এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ নাগরিক সেবা অনলাইনে: পলক
২০১৮ সালে ডিজিটাল ই কমার্স পলিসি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের লাখ লাখ উদ্যোক্তা তৈরি করতে তরুণ ও যুবকদের যে কোন নতুন নতুন উদ্ভাবনে সরকার নীতিগতসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি সেক্টরে ২০লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এর মধ্যে সফলতার সঙ্গে ১৫ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ই-কমার্স, হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার ,বিপিও সেক্টর মিলে ২০২১ সালের মধ্যে ২০ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।এ ছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম চ্যালেঞ্জ ঝুঁকি নেয়ার সাহস থাকা। তিনি সততা ,নিষ্ঠার ও স্বচ্ছতার সঙ্গে উদ্ভাবনে নিজেদের নিয়োজিত করতে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইসিটি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রেজাউল মাকসুদ জাহেদি, সিল্ক গ্লোবাল এর সিইও এবং উই এর বৈশ্বিক উপদেষ্টা সৌম্য বসু, উই এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা, উই এর এডভাইজর কবির সাকিব।
পরে প্রতিমন্ত্রী মাস্টার ক্লাশ সিরিজ- ২ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: জনসংযোগ কর্মকর্তাদের নিউ-মিডিয়াবান্ধব হতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
প্রতিবন্ধী ও চাকরিদাতাদের সেতুবন্ধনে কাজ করবে ‘ইমপোরিয়া’: প্রতিমন্ত্রী পলক
দেশে করোনায় মৃত্যু ১৯ হাজার ছাড়াল
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৯৫ জন মারা গেছে। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ হাজার ৪৬ জনে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে আরও ৬ হাজার ৭৮০ জনের। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪ জনে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৮২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় শনাক্তের হার শতকরা ৩২.৫৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৫ শতাংশ। সুস্থতার হার বেড়ে ৮৫.৬৯ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে ৬৮ জন, চট্টগ্রামে ৩৬ জন, খুলনায় ৪১ জন, রংপুরে ১৬ জন, বরিশালে ৫ জন, সিলেটে একজন, রাজশাহীতে ১৮ জন এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন।
পড়ুন: জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আড়াই লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
বিশ্ব পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ফলে পুরো বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যু সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ১০৫ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ কোটি ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৬২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩৭৮ কোটি ৮ লাখ ৯০ হাজার ৩৩ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৫৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ১০ হাজার ৭২০ জন।
পড়ুন: চীন থেকে ২৬ বা ২৭ জুলাই সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকা আসবে
বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু প্রায় সাড়ে ৪১ লাখ
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩২ হাজার ৪৪৩ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৬২ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৭০ জনে।
এই মাসে সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকা আসবে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চীন থেকে ২৬ বা ২৭ তারিখে সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
শনিবার বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের(বিপিবএমসিএ)সদস্য ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলোর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ, অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপিবএমসিএ’র সভাপতি এম এ মুবিন খান ও সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেন খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের টিকা পাওয়া যাবে আগের চেয়ে কম দামে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে টিকার আওতায় আনতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা এসে পৌঁছেছে। ২৬ বা ২৭ তারিখের মধ্যে আরও ৩০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা আসছে। ২১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সময়মত পেলে বাংলাদেশ কোন দেশ থেকে টিকায় পিছিয়ে থাকবে না। ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, টিকা সংরক্ষণে ২৬টি কোল্ড ফ্রিজার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এনেছি। এগুলোতে মাইনাস (-) ৭০ ডিগ্রিতে রাখার মতো টিকাও সংরক্ষণ করা যাবে। বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন করে আরও যে টিকা আসবে, সেগুলো সংরক্ষণ করতে কোন সমস্যা হবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, গ্রামে বয়স্ক লোকজনকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। শিক্ষক ছাত্রদেরও প্রায়োরিটি দেয়া হবে, তাদের পরিবারের আঠারোর্ধদের টিকা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকা আসছে আজ
বাংলাদেশে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে: চীনা উপরাষ্ট্রদূত
একদিনে রেকর্ড ১০৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১০৪ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল।
পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: মন্ত্রী তাজুল
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৪২২ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৪১৯ এবং ঢাকার বাইরে তিনজন ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৭৪ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১ হাজার ১৪৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তাদের মধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে তিনটি মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে।
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনক মাত্রায় কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে: মেয়র তাপস
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৮৫ জন
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
শিগগিরই বাংলাদেশ টিকা উৎপাদনে যাচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ শিগগিরই কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে যাচ্ছে বলে শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন।
জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি যৌথভাবে উৎপাদন করা হবে। তারা (অংশীদার দেশগুলো) আমাদের বাল্ক মেডিসিন পাঠাবে, আমাদের এখানে বোতলজাত ও লেভেলিং করা হবে।’
ড. মোমেন বলেন, যে দেশগুলো যৌথভাবে উৎপাদনে টিকা উৎপাদন করছে তারা ভালো ফল পাচ্ছে।
এর আগে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় জাপান থেকে ক্যাথে প্যাসিফিকের একটি ফ্লাইটে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ লাখ ৪৫ হাজার টিকার ডোজ ঢাকায় পৌঁছে।
পড়ুন: আরও প্রায় আড়াই লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা আসছে
টিকার চালান এসে পৌঁছালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন তা গ্রহণ করেন।
এ সম পররাষ্ট্র সচিবমাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।