বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় ইন্দুরের হকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে জিটিভি।
বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ছাড়া সবগুলো দেশই চ্যালেঞ্জিং এই ক্রিকেট ইভেন্টে অংশ নিয়েছে।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে ৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ স্থানে রয়েছে ভারত। ভারত এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ৫টি ম্যাচে অংশ নিয়ে সবগুলোতেই জয়লাভ করেছে।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দুটি ম্যাচ বৃষ্টির কল্যাণে ড্র করতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে পুরো একদিন বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গেলে প্রথম ড্র করতে পারে টাইগাররা। ২০১৪ সালে ফতুল্লায় আরেকটি ম্যাচ অধিকাংশ সময় বৃষ্টি হওয়ার কারণে ড্র হয়।
এই সিরিজের আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে দেশটিতে একটি টেস্ট ম্যাচে অংশ নেয়। ম্যাচটি ২০৮ রানের বড় ব্যবধানে জিতে নেয় বিরাট কোহলির ভারত।
চলতি সিরিজে সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালকে পাচ্ছে না টিম টাইগার। ব্যক্তিগত কারণে সিরিজ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তামিম। অন্যদিকে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারছেন না সাকিব।
দায়িত্বপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সাকিব ও তামিমের অনুপস্থিতি মানে তিনজন ক্রিকেটারকে ছাড়াই খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
‘সাকিব আমাদের জন্য দুজন খেলোয়াড়ের মতো। একই সাথে আমরা তামিমকে পাচ্ছি না। তার মানে হলো একসাথে তিনজন মূল খেলোয়াড়কে না পাওয়া,’ বলেন তিনি। ‘কিন্তু আমরা এগুলো নিয়ে বেশি ভাবছি না।’
‘জিততে হবে এটা ভেবে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাই না। আমাদের আসল উদ্দেশ্য হলো ভালো খেলা এবং খেলাটাকে উপভোগ করা। তবে এটা সত্য যে আমরা যখন মাঠে নামি তখন জেতার জন্যই নামি,’ যোগ করেন মুমিনুল।
গত তিন বছরে বাংলাদেশ ১৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। এই সময়ে মুমিনুল ১০৬৩ রান করেছেন। উল্লেখ করা সময়ের মধ্যে মুশফিকুর রহিমই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি মুমিনুলের চেয়ে বেশি রান করেছেন। তার মানে হলো ভারতে বাংলাদেশের সফলতা অনেকটাই মুমিনুলের ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু অধিনায়কত্ব তার ব্যাটিংয়ের ওপর বাড়তি চাপ ফেলতে পারে।
তবে মুমিনুল সেটা মানতে নারাজ। অধিনায়কত্ব তার ওপর বাড়তি চাপ ফেলবে না বলে জানালেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যাটসম্যানই থাকবো। খেলা নিয়ে আমি সবসময়ই ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি এবং আমি মনে করি অধিনায়কত্ব আমার মনে ইতিবাচকতা যোগ করবে।’
এই ভেন্যুতে এর আগের একটি টেস্টে রবিচন্দন অশ্বিন ১৩ উইকেট শিকার করেন। এই পরিসংখ্যান মাথায় রেখে বাংলাদেশ মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের সাথে আরও একজন অতিরিক্ত স্পিনার খেলাতে পারে। তিনি হতে পারেন নাঈম হাসান।
সাকিবের অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে অভিষেক হতে পারে সাইফ হাসানের। ২১ বছর বয়সী এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে ভালো খেলে আসছেন। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ টেস্ট স্কোয়াড: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, ইমরুল কায়েস, সাইফ হাসান, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মাদ মিথুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (প্রথম টেস্টে খেলছেন না), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ রাহী এবং এবাদত হোসেন।
ভারত টেস্ট স্কোয়াড: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, আজিঙ্কা রাহানে, হনুমা বিহারী, ঋদ্ধিমান শাহ, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মাদ শামী, উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মা, শুভমন গিল এবং রিশভ পন্ত।