৪০ বছর বয়সে দীর্ঘ খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনেছেন বার্সেলোনার কিংবদন্তি মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের বিখ্যাত আট নম্বর জার্সির সঙ্গে মিলিয়ে মঙ্গলবার অর্থাৎ, অক্টোবরের ৮ তারিখে খেলোয়াড়ি জীবন ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এদিন শ’ পাঁচেক অতিথির সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার।
কান্নাভেজা চোখে এ সময় ইনিয়েস্তা বলেন, ‘এই দিনটির কথা আমি কখনোই ভাবিনি, কখোনো নয়। চোখে যে পানি ঝরছে, তা ছিল আনন্দের, গর্বের।’
আরও পড়ুন: ‘বন্ধু’ ইনিয়েস্তাকে মেসির বিদায়বার্তা
লিওনেল মেসি, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোদের যুগে ফুটবলে আবির্ভুত হয়ে গাদা গাদা গোল না করেও ফুটবল বিশ্বের বিরল সম্মান ও সমীহ অর্জন করেন ইনিয়েস্তা।
নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে ক্যারিয়ারে এমন সম্মান অর্জন করেছেন ইনিয়েস্তা, বিতর্ক-বিদ্বেষ ছাপিয়ে যা তাকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। কাতালান ক্লাব বার্সেলোনায় খেললেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকদের সম্মান কুড়িয়েছেন তিনি।
অবসরকালে এক বিবৃতিতে ইনিয়েস্তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও।
ক্লাবটি লিখেছে, ‘বিদায়বেলায় স্পেন ও বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি ইনিয়েস্তার প্রতি স্বীকৃতি, প্রশংসা ও স্নেহ প্রকাশ করতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ, ক্লাবের সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদ।’
‘ক্যারিয়ারে অসংখ্য শিরোপা জয়ের পাশাপাশি নিজের খেলা ও মূল্যবোধ দিয়ে ফুটবলের মাহাত্ম্য প্রকাশে অবদান রেখেছেন ইনিয়েস্তা।’
আরও পড়ুন: এবার ‘লিটল ম্যাজিশিয়ান’ ইনিয়েস্তার বিদায়
এর আগেও বারবার ইনিয়েস্তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন রিয়ালের খেলোয়াড়রা।
ইনিয়েস্তাকে নিয়ে করা প্রশ্নে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক অধিনায়ক ও ক্লাবটির কিংবদন্তি ডিফেন্ডার সের্হিও রামোস বলেছেন, ‘ইনিয়েস্তাকে নিয়ে কোনো হিংসা চলে না। ও আমাদের দেশের জন্য প্রথম বিশ্বকাপ নিয়ে এসেছে। এখানে (মাদ্রিদে) আমরা সবাই ওকে ভালোবাসি, সম্মানের চোখে দেখি।’
বার্সেলোনা ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকেও একের পর এক ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’ পেয়েছেন তিনি। ইতিহাসের খুব কম ফুটবলারই দলমত-প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বিশেষে ফুটবলভক্তদের অপার শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠতে পেরেছেন। আর তা-ই করে দেখিয়েছেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।