প্রথম ইনিংসে ১৫৯ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দেড়শও পেরোতে পারল না বাংলাদেশ। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে তোলা ৫৭৫ রানের চেয়ে ২৭৩ রান পেছনে থেকে নিদারুণ পরাজয় বরণ করে নিতে হয়েছে টাইগারদের।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনেই এক ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরে প্রোটিয়াদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
কেবল তৃতীয় দিনেই ১৬ উইকেট খুইয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এর আগে, টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে গেলে ৪১৬ রানে এগিয়ে থাকে সফরকারীরা। ফলে ব্যাটিংয়ে নেমে আর সময় নষ্ট না করে বাংলাদেশকে ফলো-অন করানোর সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও মাত্র ৪৩.৪ ওভারে ১৪৩ রানের মাথায় টাইগারদের ইনিংস গুটিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। ফলে ২৭৩ রানের জয় পায় মার্করামের দল।
আরও পড়ুন: রানপাহাড়ে চাপা পড়ার পর ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ইনিংস ও ৩১০ রানে বিপর্যস্ত হয়েছিল টাইগাররা।
অন্যদিকে, নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়ের স্বাদ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগের রেকর্ডটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। ২০১৭ সালে ঘরের মাঠ ব্লুমফন্টেইনে ইনিংস ও ২৫৪ রানের ব্যবধানে জিতেছিল তারা। এবার টাইগারদের ডেরায় ঢুকে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন করে গড়ল তারা।
প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাদা দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য সাফল্যের দেখা পাননি। পাবেনই বা কী করে? কেশব মহারাজ ও সেনুরান মুথুসামি যথাক্রমে ৫টি ও ৪টি উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৫৭৫/৬ ডিক্লে. (ডি জর্জি ১৭৭, স্টাবস ১০৬, মুল্ডার ১০৫*; তাইজুল ৫২.২-৫-১৯৬-৫, নাহিদ ২৪-২-৮৩-১)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৫৮/১০ (মুমিনুল ৮২, তাইজুল ৩০, অতিরিক্ত ২২; রাবাদা ৯-১-৩৭-৫, প্যাটারসন ১০-১-৩১-২, মহারাজ ১৬.২-৪-৫৭-২)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৪৩/১০ (হাসান ৩৮, শান্ত ৩৬, অঙ্কন ২৯; মহারাজ ১৬.৪-০-৫৯-৫, মুথুসামি ১৩-৩-৪৫-৪)।
ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা এক ইনিংস ও ২৪৩ রানে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: টনি ডি জর্জি।
প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ: কাগিসো রাবাদা।