তার মৃত্যুতে গোটা জাতি শোকস্তব্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ডা. মঈনের এই আত্মত্যাগ প্রশংসিত হচ্ছে। একই সাথে শোক ও দোয়াও করেছেন সবাই।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে এই সম্মুখসারির যোদ্ধাকে ‘স্যালুট’ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, সবাইকে শোকে ভাসিয়ে চলে গেলেন এক মহৎ প্রাণ ডাক্তার! করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল (বুধবার) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মানবিক ডা. মঈন উদ্দীন চলে গেলেন না ফেরার দেশে! তিনি ছিলেন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা। তার এই মৃত্যু হৃদয় বিদীর্ণ করার মতো।
মাশরাফি লেখেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ছোবলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও আক্রান্ত। দেশের এই মহাক্রান্তিকালে ডা. মঈন ছিলেন দেশের মানুষের জন্য আত্মোৎসর্গীকৃত। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত একজন মানবসেবী হিসেবে মানুষের সেবা করে গেছেন তিনি। নিজের জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে তিনি চিকিৎসাসেবা দিয়ে গেছেন।
মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি তার এই আত্মত্যাগ শব্দ-বাক্যে প্রকাশের মতো নয়। মানবতার জয়গান গাওয়া ক্রান্তিকালের এই যোদ্ধাকে নিশ্চয় গোটা জাতি আজীবন পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে।
‘আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। সবশেষে আমি এই বীরযোদ্ধাকে জানাচ্ছি- স্যালুট,’ যোগ করেন তিনি।
ডা. মঈন বুধবার সকালে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ডা. মঈন ছিলেন সিলেটের প্রথম করোনা রোগী। গত ৫ এপ্রিল তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সহকর্মীদের পরামর্শে নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসা নিতে থাকেন।
পরে তার অবস্থার অবনতি হলে দুদিন পর ৭ এপ্রিল শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিবারের ইচ্ছায় চিকিৎসার জন্য পরের দিন ৮ এপ্রিল তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হয়।
বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সিলেটের ছাতক উপজেলার নাদামপুর গ্রামে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।