দেশে তৈরি পোশাক শিল্পের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি রানা প্লাজা ধসের ১১তম বার্ষিকী আজ।
রানা প্লাজা সারভাইভারস অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন ও বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে ৫টি পোশাক কারখানা সম্বলিত অবৈধভাবে নির্মিত ভবন রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৮ জন নিহত ও ২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধস: ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
পরে, সোহেল রানাকে অভিযুক্ত করে পুলিশ হত্যা মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি জেলে আছেন।
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়ার মধ্যে দিয়ে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম কুদ্দুস জামান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’ নিয়ে দৃক গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী
কিন্তু আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অধিকাংশ অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে আপিল করায় তা আটকে যায়।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি আপিল নিষ্পত্তি শেষে জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া মামলার বাদী সাভার থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মর্মান্তিক এ ঘটনায় সাভার থানার তৎকালীন এসআই ওয়ালী আশরাফ বাদী হয়ে মালিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণে অবহেলার অভিযোগ এনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় মোট ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: সোহেল রানার জামিন আদেশ আরও ৬ মাস স্থগিত