মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপার্সন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আট হাজার ৫৩ কোটি টাকা মোট ১১টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।’
‘প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয়ের মধ্যে তিন হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা সরকারি তহবিল, চার হাজার ১১৩ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল ও ৫৫১ কোটি টাকা প্রকল্প ঋণ থেকে আসবে’, বলেন মান্নান।
অনুমোদন পাওয়া ১১টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি নতুন এবং চারটি সংশোধিত।
নতুন প্রকল্পগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশের ৩০টি পৌরসভায় এক হাজার ৭৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প, ৭১০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নেত্রকোণা-কেন্দুয়া-আঠারবাড়ী-ঈশ্বরগঞ্জজেলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, ৫৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প, ৩২৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প, ১২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্প এবং ৯১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ প্রকল্প।
এছাড়া সংশোধিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে তিন হাজার ৯১৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে খুলনা ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত), ৩৫২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধিত), ১০৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এবং ২৯৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিসিক শিল্প পার্ক প্রকল্প।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হার মে মাসের মধ্যে ৬৭.৯৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যার সার্বিক ব্যয় এক লাখ ২০ হাজার ৪৩ কোটি টাকা।
গত অর্থবছরের (২০১৭-১৮) একই সময়ে ৯৮ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকার সার্বিক ব্যয়ে যা ছিল ৬২.৮১ শতাংশ।