বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আয়োজিত দাতব্য অনুষ্ঠান ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ যুদ্ধের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্বে খবর ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বিদেশি ও তাদের দেশ আমাদের সমর্থন করে এবং আর্থিক সহায়তা দেয়। এ রকম একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ ছিল ১৯৭১ সালে নিউইয়র্কে আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। এতে ৪০ হাজার দর্শক অংশগ্রহণ করেন। এই কনসার্ট বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের নাম ছড়িয়ে দেয় এবং মানুষ প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে পারে।”
শুক্রবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাংবাদিক-লেখক শামীম আল আমিন পরিচালিত ‘একটি দেশের জন্য গান’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর জন্য এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মোমেন বলেন, ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্কের ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে বিশ্ববিখ্যাত ভারতীয় সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও ব্রিটিশ গায়ক-গীতিকার ও আইকনিক ইংলিশ রক ব্যান্ড ‘দ্য বিটলস’ এর লিড গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসনের যৌথ উদ্যোগে এই কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রামাণ্যচিত্রে এটিকে যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, “এই একটি বিশেষ কনসার্টের কারণে যুদ্ধের আসল ভয়াবহ চিত্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং এমনকি এখনো আমেরিকার রাস্তায় ‘বাংলাদেশ’ গানটি শোনা যায়। এই কনসার্টের পর বহু বিদেশি দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন করতে শুরু করে। আমাদের বিদেশি বন্ধু ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থনে কাজ করা প্রবাসীদের সহযোগিতায় আমরা একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু করি।’
আলোচনা সভার আগে প্রামাণ্যচিত্রটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে প্রদর্শন করা হয় এবং দর্শকরা এর প্রশংসা করেন।
প্রবীণ অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নূরের ধারাভাষ্যে প্রামাণ্যচিত্রটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ কনসার্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার রয়েছে।