কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এবার জাতীয় কবির স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। গেল ২৪ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
এরআগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে জাতীয় কবি ঘোষণার প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় বিদ্রোহী কবিকে। তার বসবাসের জন্য রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি তখন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
কবিকে ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। একই বছরে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। তাকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্বোধন করে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ জারি করা হয়।
১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের কলকাতার এলবার্ট হলে সমগ্র বাঙালি জাতির তরফ থেকে নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, এস. ওয়াজেদ আলী, দীনেশ চন্দ্ৰ দাশসহ বহু বরেণ্য ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে কবি নজরুলকে ‘জাতীয় কাণ্ডারী’ এবং ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রদত্ত বাণীতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টারা কবিকে 'জাতীয় কবি' হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কাজী নজরুল ইসলাম সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত হলেও এতদিন তাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
২০২২ সালের ২২ জুন কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে আসাদ উদ্দিনসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী রিট আবেদন করেন।
তাকে জাতীয় কবির ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে তখন রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।