মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে গৃহবধূ হত্যা মামলা এবং কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামিদের উপস্থিতিতে যুবক হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডে দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- মিরপুর উপজেলার বালিয়া শিশা গ্রামের সাদেক আলী মন্ডলের ছেলে আজাদ মন্ডল ওরফে আজাদ সাহেব (৩৫)।
অপরদিকে যুবক হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মিরপুর উপজেলার কবরবাড়িয়া গ্রামের জামাল প্রামানিক, আতর আলী, জামান হোসেন, আসাদুল মোল্লা, মেহের আলী মালিথা এবং সাতগাছি গ্রামের রুবেল মালিথা ওরফে রিবেল ওরফে রেবেল এবং আসলাম মালিথা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ মে রাত সাড়ে ৩টার দিকে গৃহবধু কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে তুলি খাতুনকে (১৬) যৌতুক দাবিতে স্বামী মিরপুর উপজেলার বালিয়া শিশা গ্রামের সাদেক আলী মন্ডলের ছেলে আজাদ মন্ডল ওরফে আজাদ সাহেব পরিবারের লোকজনদের সহযোগিতায় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা শেষে গলায় রশি বেঁধে বাড়ির পাশে আমগাছে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া অপর এক এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুন সকাল সাড়ে ৬টায় যুবক ডাবলুকে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও গলা কেটে হত্যা শেষে ব্রিক ফিল্ডের পাশে পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে যায়। নিহত যুবক ডাবলু হত্যার অভিযোগ এনে বড় ভাই আতর আলী বাদী হয়ে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের কৌঁসুলি আকরাম হোসেন দুলাল জানান, গৃহবধূ তুলি খাতুন হত্যার দায়ে মিরপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় আসামি আজাদ মন্ডল ওরফে আজাদ সাহেবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তার মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ এক লাখ টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, মিরপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় যুবক হত্যার দায়ে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে সাতজন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণ হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।