আদালত
গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে সোহাগ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এ রায় দিয়েছেন।
সোহাগ মিয়া গাইবান্ধার শহরের মহুরী পাড়ার রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালে ১১০ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয় সোহাকে। পরে একইদিন সোহাগের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ হোসেন। দীর্ঘদিন শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার এই রায় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
৩ সপ্তাহ আগে
সিলেট আদালতে দুই পিপি’র রুমে আইনজীবীদের তালা
সিলেট আদালতের দুই পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এটিএম ফয়েজ ও মুজিবুর রহমানের রুমে তালা দিয়েছেন আইনজীবীরা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে জাতীয়তাবাদী আইজীবী ফোরামের নেতারা এ দুই পিপির রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন।
জাতীয়তাবাদী আইজীবী ফোরামের নেতাদের অভিযোগ- এই দুই আইনজীবী পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী। সিনিয়র আইনজীবী থাকা স্বত্বেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা তারা মেনে নিতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: সম্পত্তির জন্য মাকে ৩ মাস তালাবদ্ধ
এটিএম ফয়েজ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও মুজিবুর রহমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন।
এবিষয়ে আইনজীবীরা বলেন, বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি নিয়োগ পাওয়া এটিএম। তিনি ও তার স্ত্রী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। ক্ষমতার স্বাদ নিতে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তারা দলবদল করেছেন।
আইনজীবীরা আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী এটিএম ফয়েজকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি হিসেবে জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। বিগত সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।
দুই পিপিকে দায়িত্ব থেকে বাদ না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
গত ১৬ অক্টোবর সিলেটের সকল কোর্টে পাবলিক প্রসিকিউটর, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়।
এরপর থেকে দুই পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) অপসারণ চেয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ আন্দোলন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় চাঁবিপ্রবির প্রধান ফটকে তালা
৪ সপ্তাহ আগে
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আদালতের
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার স্ত্রী দিলশাদ নাহার কাকলির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
শুনানিতে দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক জাকারিয়া।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে দুদককে সহায়তা করবে ইইউ
জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মে জড়িত থাকা এবং নিজের নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক ও অবৈধ মাধ্যমে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশে-বিদেশে সম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক এই সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অনৈতিক কার্যকলাপসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সমবায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
১ মাস আগে
সাবেক হুইপ গিনির রিমান্ড নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব আরা বেগম গিনির রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
সেই সঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক শিল্পমন্ত্রীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ
গাইবান্ধায় বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিন এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মাহবুব গিনির ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত রিমান্ড বাতিল ও তার জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে ধানমন্ডির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের জামিন নামঞ্জুর
ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর
১ মাস আগে
বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাতকে চসিক মেয়র ঘোষণা করলেন আদালত
বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এ রায় দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আরশাদ হোসেন আসাদ বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন। সেই মামলায় মঙ্গলবার তাকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তায় একসঙ্গে কাজ করবে চসিক-সিএমপি
একই সঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী আরশাদ হোসেন আসাদ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে মেয়র নির্বাচিত করা হয়। এতে রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ এবং তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান বলে ঘোষণা করা হয়। এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিনের আদালতে ৯ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত।
মামলার ৯ জন বিবাদী হলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচনি কর্মকর্তা, সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, মেয়র প্রার্থী আবুল মনসুর, খোকন চৌধুরী, ওয়াহিদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।
এদিকে গত ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিমকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
পরে চসিকে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: চসিক’র কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
১ মাস আগে
আত্মসমর্পণের পর মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠালেন আদালত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে এ মামলায় আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন মাহমুদুর রহমান।
এ সময় তার পক্ষে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
সাড়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে শুক্রবার(২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দেশে ফিরেছেন মাহমুদুর রহমান।
মাহমুদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ১২৪ টিরও বেশি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তাকে এবং তার স্ত্রীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মাহমুদুর রহমানকে ২০১০ সালের জুনে প্রথমাবার এবং ২০১৩ সালের এপ্রিলে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই সময়েই সরকার আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন মাহমুদুর রহমান
১ মাস আগে
আদালত চাইলে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশের বিচার বিভাগ থেকে নির্দেশনা পেলে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে দেশের আইন-আদালত যদি তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে বলে, তাহলে সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।’
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে শেখ হাসিনাকে ভারতে থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তবে ভারত ফেরত দেবে কিনা সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে, সে অনুযায়ী ভারত চাইলে ফেরত দিতে পারার কথা। তবে সে দেশেও লিগ্যাল প্রসেস (আইনি প্রক্রিয়া) আছে এবং সেই অনুযায়ীই ফেরত আনার চেষ্টা করতে হবে।’
শেখ হাসিনার লাল পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর এখন তিনি ঠিক কী হিসেবে বা কোন স্ট্যাটাসে ভারতে আছেন- এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারতকে জিজ্ঞাসা করুন। তারা বলতে পারবে কোন স্ট্যাটাসে শেখ হাসিনা ভারতে আছেন।’
বাংলাদেশে ভারতীয় ঠিকাদারদের পরিচালিত প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘দেখুন এটা তো অনস্বীকার্য যে, কোনো বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পর (দেশে) একটু অস্থিরতা থাকতেই পারে। আমাদের এখানেও ল অ্যান্ড অর্ডার নিয়ে একটু সমস্যা ছিল, সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছি। এখন আস্তে আস্তে সব নরমাল (স্বাভাবিক) হয়ে আসবে। তারাও (ভারতীয়রাও) আসবেন, কারণ যে প্রজেক্টগুলো (প্রকল্প) চলমান আছে সেগুলোতো আমাদের শেষ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ভারতীয়রা এক ধরনের ভীতির মধ্যে আছেন। এ ভীতি থেকে তারা নিশ্চয় বেরিয়ে আসতে পারবেন।’
ভারতের সঙ্গে হওয়া বিগত সরকারের সবশেষ সময়ে করা সমঝোতা স্মারক বর্তমান সরকার পুনর্বিবেচনা করবে কি না জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এমওইউ চূড়ান্ত চুক্তি নয়। কাজেই এখানে আমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়েছে কি না, সেটি আমরা দেখতেই পারি। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে যা করা দরকার আমরা তা-ই করব।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা যাচ্ছেন কি না- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যাচ্ছেন; সেটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তিনি খুব সংক্ষিপ্ত সফর করে চলে আসবেন।’
আরও পড়ুন: শাটডাউন তুলে নিতে চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
বিজ্ঞান গবেষণায় দেশকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই: উপদেষ্টা
২ মাস আগে
আদালতে যাওয়ার সময় কারো ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য নয়: আইন উপদেষ্টা
আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রীসহ যেসব আসামির ওপর হামলা হয়েছে বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, আদালত চত্বরে আসামিদের ওপর হামলা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আমি দু-তিনটা বড় দলের সঙ্গে কথা বলেছি যে তাদের কোনো কর্মী থাকলে যাতে থামানোর চেষ্টা করা হয়। দলগুলোও বলেছে যে তাদের যথেষ্ট পরিষ্কার নির্দেশনা আছে। তারপরও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া থাকলে (দলগুলো বলেছে) তাদের কিছু করার নেই। তারা আরও চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল: আইন উপদেষ্টা
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রনালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিসহ যেসব আসামিদের ওপর হামলা হয়েছে, এ নিয়ে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। আপনাদের কী মনে আছে, আপনাদের একজন অগ্রজ সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে কীভাবে নির্মমভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছিল? তখন আপনারা কী এই প্রশ্নটি করতে পেরেছিলেন? আপনাদের টিভিতে দেখাতে পেরেছিলেন? একটি মন্ত্রিসভাকে জনগণের শত্রুর পর্যায়ে নিয়ে আসার দায় তো সাবেক সরকারের।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগ) মন্ত্রিসভার সদস্যদের এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল, একটা জনরোষ তৈরি হয়েছে। মাহমুদুর রহমানের ওপর তো জনরোষ ছিল না, তাকে রক্তাক্ত করা ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এভাবে অনেক সাংবাদিককে অপদস্ত করা হয়েছিল। আমি নাম নেব না। আপনারা তো রিপোর্টই করতে পারতেন না। আমি নাম নেব না, আপনাদের (সাংবাদিক) কারো কারো সরাসরি ইন্ধন ছিল এসব কাজে। এখন আপনারা প্রশ্ন তুলেছেন, আমি মনে করি আদালতে যাওয়ার সময় কারো ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য না।’
আরও পড়ুন: আশা করি সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হবে না: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে যারা চাকরি হারিয়েছেন, নিরাপত্তার ভয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন, জীবিকা হারিয়ে ঢাকা শহরে লুকিয়ে থেকেছেন, গুম-হত্যার শিকার পরিবার তাদের ক্ষোভ, ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। তবে সেই বহিঃপ্রকাশকে সমর্থন করছি না, প্রশ্নই আসে না। পুলিশ প্রশাসন বাধা দিলে বা শক্তিপ্রয়োগ করলে তখন তো বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেবে।
পুলিশ খুব ডিমরালাইজড (মনোবলহীন) হিসেবে আছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এটা সাবেক সরকারের অবদান। তারা পুলিশকে এমন একটি গণশত্রু বাহিনীতে পরিণত করেছিল, পুলিশ সাহস করে তাদের বাধা দিতে পারে না। তখন বিক্ষুব্ধরা বলে ‘তোরা তো উনার (হাসিনার) পুলিশ।’ তারপরেও আমরা বিভিন্ন কৌশলে চেষ্টা করছি এ ক্রাউডটা (ভিড়) কীভাবে কমাতে!
নির্বাচন অনুষ্ঠানে ৯০ দিনের একটি বাধ্যবাধকতা আছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমন এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রথমে অনুধাবন করা উচিত, তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কী ছিল! ভুয়া নির্বাচন করা যাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল, তারা আগে নিজেরটা বিবেচনা করুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের একটা লেখা দেখলাম, তিনি আগের সরকারকে স্বৈরাচারী-অগণতান্ত্রিক বলেছেন, তার আগে আত্মসমালোচনা করা উচিত, এ স্বৈরাচারী সরকার এসেছে, কার অভিভাবকত্বে? কাজেই তার কথায় আমাদের পরিচালিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফরাসি, কানাডা ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট আইন বিশেষজ্ঞরা আছেন, আমরা সবসময় সবকিছু সবদিকে দৃষ্টি রেখেই করব। আমরা বিশ্বাস করি, ডকট্রিন অব নেসেসিটি বলে একটা কথা আছে। সংবিধান পরিবর্তন কীভাবে হয়েছিল, সেটা নিয়ে আদালতে মামলা আছে। এখন এ বিষয়ে মতামত দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
২ মাস আগে
আদালতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছু করার নেই: কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
আদালত সমাধান না দেওয়া পর্যন্ত কোটা পদ্ধতির বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত বা আদালত যখন রায় দেন তখন নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কিছু করার থাকে না। বিষয়টির সমাধান আদালতেই করতে হবে।’
রবিবার (১৪ জুলাই) সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন রবিবার
কোটা আন্দোলনকারীদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা আইন মানে না, আদালতকে সম্মান করে না, সংবিধান বোঝে না, সরকারি কাজকর্ম বোঝে না।
তিনি আরও বলেন, 'হ্যাঁ, তারা মেধাবী, কিন্তু এসব বিষয়ে তাদের ধারণা থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আদালত আন্দোলনকারীদের আইনি পদ্ধতিতে তাদের যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু তারা রাজপথে বিক্ষোভের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে পছন্দ করছে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে এবং আদালত রায় দিয়েছেন, তাই এই মুহূর্তে রায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কোনো অধিকার আমার নেই এবং সংবিধানও আমাকে তা করার অনুমতি দেয় না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতে এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কিছু করার নেই। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা তাদের মেনে নিতে হবে। অন্যথায় আমাদের কিছু করার নেই এবং তারাও আন্দোলন চালিয়ে যাবে (কোনো ফল ছাড়াই)।’
বিক্ষোভের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। যতক্ষণ তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু তারা যদি পুলিশের ওপর হামলা এবং যানবাহন ভাঙচুরের মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তাহলে আইন তার নিজস্ব পথে চলবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার অনুসন্ধান করতে রপ্তানিকারকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
জাতীয় অগ্রগতিতে খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
৪ মাস আগে
প্রিমিয়ার ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিদেশ গমনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা
দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে তা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত চলমান থাকায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আদালতের
এসব কর্মকর্তা হলেন- প্রিমিয়ার ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নারায়ণগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক শহীদ হাসান মল্লিক, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুশফিকুল আলম, ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনচার্জ দীপক কুমার দেবনাথ ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান সরকার। তারা প্রত্যেকে ব্যাংকটির নারায়ণগঞ্জ শাখায় কর্মরত।
এদিন তাদের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধার আড়ালে জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪৩টি সন্দেহভাজন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ মঞ্জুর করে এবং তা আত্মসাৎ করে পাচার করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অর্থপাচার ও দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। এজন্য তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানের সম্পদ দেখভালে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিল আদালত
তারেককে ফিরিয়ে এনে আদালতের সাজা কার্যকর করব: প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে