আদালত
ফের তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তার ছোট ভাই জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মুকুল ও ভগ্নিপতি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলুকে ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ১০টায় এমন আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার সকালে মেহেরপুর আদালতে হাজির করা হয় তাদের। এসময় আদালতের বাইরে ব্যাপক হট্টগোল হতে দেখা গেছে।
এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলার শুনানি চলছে।
গেল ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-২ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতিরঝিল থানাধীন ইস্কাটন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট আদাবর থানাধীন এলাকায় রুবেল নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি ছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
১ সপ্তাহ আগে
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের উপ-পরিচালক কমলেশ মন্ডল আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাসায় হামলা-ভাঙচুর
দুদকের আবেদনে বলা হয়, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী অসৎ উদ্দেশ্য অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। তা ভোগদখলে রেখে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ৪১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৮ টাকা লেনদেন করে।
মানিলন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা স্থানান্তর করে দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
৩ সপ্তাহ আগে
যৌন নিপীড়নের ২০ বছর পর ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরে শিশুকে যৌন নিপীড়ন ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার প্রায় ২০ বছর পর কাজেম আলী ও আতিকুর রহমান নামে দুই ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাত: ডেসটিনির রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড
বিশেষ সরকারি কৌসুঁলি (পিপি) আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ ও শুনানি শেষে বিচারক প্রায় ২০ বছর পর আজ (রবিবার) এ রায় দেন।’
২০০৫ সালের ১৮ মার্চ নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা শীবপুর গ্রামে ১১ বছর বয়সী রিপা খাতুন শিউলি নামে এক শিশু বাড়ির পাশে ভেড়া চরাতে গেলে প্রতিবেশী আতিকুর ও কাজেম তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর লজ্জায় বাড়ি ফিরে শিশুটি কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করে।
৩ সপ্তাহ আগে
মাঠে আদালত স্থাপনের প্রতিবাদে ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতভর আন্দোলন করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়েও তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে তাদের।
বিডিআর বিদ্রোহের জন্য আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের আজ বিচারকাজ হওয়ার কথা। ভোরে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের ঢুকতে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা।
এতে আদালতের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশপাশের সড়কগুলোতেও যনজট লেগে আছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশীবাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। তাতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শফিউল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিটি কর্পোরেশন এই মাঠ দখল করে রেখেছিল। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর এই মাঠ আর কারও হতে দেব না, আমাদেরই থেকে যাবে। আমাদের দাবি পূরণ না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।
আরও পড়ুন: সাভারে সিআরপি নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন বলেন, আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন ও ছাত্ররা। পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
১ মাস আগে
সিলেটের আদালতে ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মীর আত্মসমর্পণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সিলেটের বিশ্বনাথে আল হেরা শপিং সিটিতে হামলা ও ভাঙচুর মামলায় ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর দিকে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ তারা আত্মসমর্পণ করেন।
পরে ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মীর মধ্যে ১৬ জনকে জামিন ও ৬ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম ইয়াহ-ইয়া চৌধুরী (সুহেল)। আসামি পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন, মিনহাজ গাজি ও মাহফজুর রহমান।
হাজতে পাঠানো ৬ জন হলেন- রাজন আহমেদ অপু, জাকির হোসেন, কায়েস আহমেদ, মাসুদ আহমেদ রিপন ও আবুল মিয়া, ইমন আহমদ।
আরও পড়ুন: মাদকসহ গ্রেপ্তার ববি ছাত্রলীগ নেতার কারাদণ্ড
গোলাম ইয়াহ-ইয়া চৌধুরী (সুহেল) জানান, এ মামলায় আত্মসমর্পণ করা বিশ্বনাথ ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মী জামিন চাইলে আদালত ১৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং ৬ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়া এ মামলায় আগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও ৪ জন জামিনে রয়েছেন বলে জানান গোলাম ইয়াহ-ইয়া চৌধুরী (সুহেল)।
১ মাস আগে
সংবিধানে জাতির জনক, সাতই মার্চসহ কয়েকটি ধারা সংসদের জন্য রেখেছেন আদালত
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটা হাইকোর্ট বাতিল করেননি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, সংবিধানে জাতির জনক, সাতই মার্চসহ কয়েকটি অনুচ্ছেদ সংসদের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। এসব ব্যাপারে সংসদই সিদ্ধান্ত নেবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার পর নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এই মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রিটকারীরা সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটাই অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত পুরো সংশোধনীটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেননি। আদালত বলেছেন, পুরোটা সংবিধান পরিপন্থী বলছি না। দ্বিতীয়ত বলেছেন, সংবিধানের ৭(এ) ও ৭(বি) এই দুটো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি সংবিধানে ছিলোই না- এভাবে ধরে নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করাটি আদালত অবৈধ বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি বাতিল করা হয়েছে। রেফারেন্স হিসেবে আদালত বলেছেন, গত তিনটি নির্বাচন কীভাবে হয়েছে, কীভাবে গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়েছে, কীভাবে আইনের শাসন ভূলুন্ঠিত হয়েছে, কীভাবে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কীভাবে সংবিধানের মূল ভিত্তিতে আঘাত হানা হয়েছে- এগুলো উনারা বলেছেন। এরপর সংবিধানের ৪৪(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, সরকার ইচ্ছে করলেই যে কোন জায়গায় হাইকোর্ট বসাতে পারবেন। এটাও অবৈধ।’
‘কারণ, এটা অষ্টম সংশোধনীর রায়ে বলা হয়েছে, এখানে একটি সুপ্রিমকোর্ট থাকবে। এই একটি সুপ্রিমকোর্টকে ভেঙেচুরে টুকরো টুকরো করবেন- এর সুযোগ নেই। তৃতীয়ত, গণভোটে জনগণের যে পাওয়ার সরকার যেভাবে সংকুচিত করেছিলেন, সেটা অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করেছেন।’
‘পঞ্চদশ সংশোধনীর বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আদালত কিছুই বলেননি। বাকি বিষয়গুলো বৈধ নাকি অবৈধ- কিছুই বলেননি। সেগুলো সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে- সেগুলো রাখবে কি রাখবে না।’
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে এবং সংবিধানে জাতীয় চার মূলনীতি- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনে। একইসঙ্গে তখন সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রেখে অন্যান্য ধর্মের সমমর্যাদা নিশ্চিত করার বিধান আনা হয়। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ, ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে।
অবৈধ ক্ষমতা দখল করলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা ও সংরক্ষিত নারী আসন ৫০-এ উন্নীত করা এবং জাতির পিতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে।
মঙ্গলবার পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া রায়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ক, ৭খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বাতিল ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বাধা নেই
১ মাস আগে
দুদকের মামলা থেকে খালাস খন্দকার মোশাররফ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
হয়রানির উদ্দেশ্যেই এই মামলা করা হয়েছিল বলে রায় ঘোষণার পর জানান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ সব আসামি খালাস
এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী বলেন, ‘অবৈধ সম্পদের মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি।’
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। মামলার পর ওই বছরের নভেম্বরে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২ মাস আগে
গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে সোহাগ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এ রায় দিয়েছেন।
সোহাগ মিয়া গাইবান্ধার শহরের মহুরী পাড়ার রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালে ১১০ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয় সোহাকে। পরে একইদিন সোহাগের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ হোসেন। দীর্ঘদিন শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার এই রায় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
৩ মাস আগে
সিলেট আদালতে দুই পিপি’র রুমে আইনজীবীদের তালা
সিলেট আদালতের দুই পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এটিএম ফয়েজ ও মুজিবুর রহমানের রুমে তালা দিয়েছেন আইনজীবীরা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে জাতীয়তাবাদী আইজীবী ফোরামের নেতারা এ দুই পিপির রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন।
জাতীয়তাবাদী আইজীবী ফোরামের নেতাদের অভিযোগ- এই দুই আইনজীবী পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী। সিনিয়র আইনজীবী থাকা স্বত্বেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা তারা মেনে নিতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: সম্পত্তির জন্য মাকে ৩ মাস তালাবদ্ধ
এটিএম ফয়েজ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও মুজিবুর রহমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন।
এবিষয়ে আইনজীবীরা বলেন, বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি নিয়োগ পাওয়া এটিএম। তিনি ও তার স্ত্রী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। ক্ষমতার স্বাদ নিতে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তারা দলবদল করেছেন।
আইনজীবীরা আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী এটিএম ফয়েজকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি হিসেবে জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। বিগত সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।
দুই পিপিকে দায়িত্ব থেকে বাদ না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
গত ১৬ অক্টোবর সিলেটের সকল কোর্টে পাবলিক প্রসিকিউটর, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়।
এরপর থেকে দুই পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) অপসারণ চেয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ আন্দোলন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় চাঁবিপ্রবির প্রধান ফটকে তালা
৩ মাস আগে
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আদালতের
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার স্ত্রী দিলশাদ নাহার কাকলির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
শুনানিতে দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক জাকারিয়া।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে দুদককে সহায়তা করবে ইইউ
জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মে জড়িত থাকা এবং নিজের নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক ও অবৈধ মাধ্যমে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশে-বিদেশে সম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় গত ৫ সেপ্টেম্বর সাবেক এই সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অনৈতিক কার্যকলাপসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সমবায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৩ মাস আগে