বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সদর উপজেলার হররা মাদ্রাসা পাড়ার মৃত আরশাদ আলী মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল আক্কাস আলী তার নিজ বাড়িতে স্ত্রী সদর উপজেলার স্বস্তিপুর ভাদালিয়া গ্রামের শামসুল হক প্রধানের মেয়ে খোদেজা খাতুনকে প্রথমে শারীরিক নির্যাতন ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ গলায় দড়ি দিয়ে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল কাদের বাদী হয়ে আক্কাস আলীকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে হত্যা মামলা হিসেবে আমলে নেয়ার সুপারিশ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সামস তানিম মুক্তি জানান, পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে এই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহাতীতভাবে আসামির জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একমাত্র আসামি আক্কাস আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী এবং আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সূধীর কুমার শর্মা।