নিহত বিদ্যুৎকর্মী মো. নাসির (৫০) উপজেলার বাড়বকুণ্ডের হাশেম নগর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে বাজারের ১১ হাজার ভোল্টের লাইনে কাজ করতে উঠেন নাছির, কাজ শেষ করে নিচে নামার আগেই বিদ্যৎলাইন চালু হয়ে যায়, এতে মুহূর্তেই বিদ্যুতায়িত হয়ে নাছির খুঁটির উপরেই মারা যায়। এসময় খুঁটির উপর আটকে থাকেন তিনি।
এ ঘটনার পর এলাকাবাসী পিডিবি কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ করে এতে প্রায় ২০ মিনিটের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এরপর বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে এবং গেইটে ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা ও কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে দিয়ে যান বাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা। গাফিলতি কিনা এখনো নিশ্চিত না। তবে যতটুকু জেনেছি, কাজ করার সময় বিদ্যুৎ ছিল না, অপরদিকে অফিস থেকে লাইনটিও বন্ধ করা ছিল। অনেক সময় ত্রুটির কারণে অটোমেটিক লাইন চালু হয়ে যায়। ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, বাড়বকুণ্ডে বিদ্যুৎকর্মী নিহতের ঘটনায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।