পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ১৬-১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত '৯ম আওয়ার ওশান কনফারেন্স গ্রিস ২০২৪' এ যোগ দেন।
সম্মেলনে তিনি একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সম্মেলনটি সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, একাডেমিয়া, বেসরকারি খাত ও এনজিওগুলোর জন্য একটি নিয়মিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। যেখানে মহাসাগরের সুরক্ষার জন্য সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হয় এবং এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে সবাই একত্রিত হন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রিসের প্রেসিডেন্ট এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসনসহ গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রথম দিনে জাহাজ খাতের সবুজায়ন, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা, সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকার কার্যকর ব্যবস্থাপনা, মহাসাগর-জলবায়ু বন্ধন বিষয়ে বিভিন্ন প্লেনারি সেশনের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে একটি উচ্চ পর্যায়ের সেশনে অংশ নেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মানে গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন।
সম্মেলনের এক ফাঁকে ১৬ এপ্রিল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ গেরাপেট্রিটিসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ংকর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মহাসাগর মানব অস্তিত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষের বেঁচে থাকা, সুস্থতা ও সমৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য। মহাসাগর আমাদের খাদ্য সরবরাহ করে, জলবায়ুও নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া, আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসে বড় ভূমিকা রাখে।
মহাসাগর বিশ্ব অর্থনীতির বেশিরভাগ অংশে ভূমিকা রাখে। যার মধ্যে রয়েছে- পর্যটন থেকে মৎস্য এবং আন্তর্জাতিক শিপিং সেক্টর।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সমুদ্র ও মহাসাগর এবং বিশেষত সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য টেকসই নয় এমন অনুশীলনের কারণে হুমকির সম্মুখীন। সেগুলো হতে পারে- বজ্রযুক্ত পানি ও সামুদ্রিক আবর্জনার নির্গমন, অনিয়ন্ত্রিত ও অনথিভুক্ত মাছ শিকার, অস্থিতিশীল সামুদ্রিক যানের চলাচল ও পর্যটন কার্যক্রম।
তারা আরও বলেন, মানবসৃষ্ট নেতিবাচক প্রভাবগুলো হ্রাস করতে এবং মহাসাগরগুলোর বর্তমান অবস্থার উন্নতি করতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় যোগ দেওয়া অপরিহার্য।
এক্ষেত্রে কার্যকর সমাধান বাস্তবায়ন, টেকসই অনুশীলনকে উৎসাহিত করা এবং মহাসাগরের সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশ, এনজিও, বেসরকারি সংস্থা, একাডেমিয়া, পেশাদার গোষ্ঠী, নাগরিক সমাজ সংস্থা এবং আরও অনেকের মধ্যে সহযোগিতা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: দেশ থেকে অপরাজনীতি চিরতরে দূর হওয়ার প্রার্থনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর