প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যুবকটি ওই গাড়ির চালক। তাকে হত্যা করে প্রাইভেটকারটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়েছিল। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
আকবরশাহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিবুর রহমান বলেন, এক ব্যক্তিকে হত্যার পর প্রাইভেটকারে করে সমুদ্রে তার মৃতদেহ ফেলে দিতে নিয়ে যাচ্ছিল তিনজন। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মৃতদেহটি উদ্ধার এবং দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জামাল উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, চালককে হত্যা করে তিন ছিনতাইকারী কারটিতে করে লাশ সাগরে ফেলে দিতে এ পথ দিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তারা দুর্ঘটনার শিকার হয়। স্থানীয়রা সেখানে গেলে কারের ভেতর একজনের লাশ দেখতে পায়। তাদের গণপিটুনি দিলে ছিনতাইকারীরা শিকার করে চালককে হত্যার পর তার লাশ সাগরে ফেলে দিতে তারা কাট্টলী বেড়ি বাঁধের দিকে যাচ্ছিল।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, রাতে একটি প্রাইভেটকার মহাসড়ক থেকে পশ্চিমে কাট্টলী রোড দিয়ে উত্তর কাট্টলী বেড়ি বাঁধের দিকে যাওয়ার সময় শনি ঠাকুর বাড়ি (ঘোষবাড়ি মন্দির) এলাকায় কারটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। স্থানীয়রা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে কারের পেছনের সীটের নীচে এক যুবকের লাশ পড়ে রয়েছে। তখন কারের তিন আরোহীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। স্থানীয়রা তাদের ছিনতাইকারী সন্দেহে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশে খবর দিয়ে দুজনকে সোপর্দ করে। একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তবে নিহত যুবক এবং গণপিটুনিতে আহত ছিনতাইকারীদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি পুলিশ।