জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক সাংবাদিককে পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবায়ের স্মরণী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন জাবির সাংবাদিকতা ও মিডিয়া স্টাডিজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এবং দৈনিক প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, মাথায়, ঘাড়ে ও হাতে আঘাত পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রশাসনের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান, ঢাবিতে সংঘর্ষ
আহত সংবাদকর্মী মামুন বলেন, ‘কোটা আন্দোলন থেকে পুলিশের গুলিতে আহত শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ক্যাম্পাস থেকে বের হয়। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সটির গতিরোধ করে।
এসময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক পরিচয় ও পরিচয়পত্র দেখানো সত্ত্বেও পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।
তিনি বলেন, ‘এসময় আমি পালানোর চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবায়ের স্মরণী এলাকা থেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দৈনিক দেশ রূপান্তরের জাবি প্রতিনিধি আত্তাবুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘শুধু ওই এসআই নয়, আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা মারামারিতে যোগ দেন এবং ঘটনাটি কভার করতে যাওয়া অন্যান্য সাংবাদিকদের ধাওয়া করেন।’
তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে উত্তাল এক রাত
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালানোর সময় পুলিশকে সাংবাদিকদের ওপরও হামলা করতে দেখা গেছে। আমরা এই পুলিশি হামলার বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (অপরাধ, অপারেশন ও ট্রাফিক) আবদুল্লাহেল কাফি বলেছেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানতাম না। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’