সেই সাথে পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, মাথাপিছু আয় আগের অর্থবছরের এক হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০১৭-১৮ সালে এক হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এ চূড়ান্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এবিষয়ে অবহিত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এএইচএম মুস্তাফা কামাল।
তিনি বলেন, এবছর (গত অর্থবছর) কোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানেনি। এই প্রবৃদ্ধির জন্য আমরা কৃষি ক্ষেত্রের অসাধারণ সফলতাকে উল্লেখ করতে পারি। পাশাপাশি শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতে ভালো অগ্রগতি হয়েছে।
গত অর্থবছরে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ছিল ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, যেখানে শিল্প ও সেবা খাতের অবদান ছিল যথাক্রমে ৩০ দশমিক ১৭ এবং ৫৬ শতাংশ, যোগ করেন মুস্তাফা কামাল।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ছিল জিডিপির প্রবৃদ্ধি।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো জানান, জিডিপির আকার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১৯ হাজার ৭৫৮ বিলিয়ন টাকা থেকে বেড়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২২ হাজার ৫০৫ বিলিয়ন টাকায় (২৭৪ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) উন্নীত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, জিডিপি ও বিনিয়োগের অনুপাতও বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা ছিল ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ, যার মধ্যে ৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ সরকারি এবং ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ।
গত অর্থবছরে জিডিপির তুলনায় জাতীয় সঞ্চয় ২৭ দশমিক ৪২ শতাংশ ছিল বলেও জানান তিনি।