নিহত রোহিঙ্গারা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও শিশু অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার থাইনখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের ছেলে শামছু আলম (৩৫) ও মোক্তার আহমদের ছেলে নুর আলম (২১) এবং টেকনাফের লেদা ক্যাম্পের বাসিন্দা আজিজুর রহমানের ছেলে হাবিব (২০)।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য, কয়েক দিন আগে রোহিঙ্গা শিবির থেকে তিন বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এক দল দুর্বৃত্ত। তারা মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে পুলিশের অভিযানের কারণে ২ জুন অপহরণকারীরা শিশুটিকে ফেরত দেয়।
অপহরণের সাথে জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিন রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের দেয়া তথ্যমতে রাত ২টার দিকে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।
ওসি বলেন, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
অপহরণকারীদের গুলিতে পুলিশের তিন কনস্টেবলও আহত হয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এলজি, ৮ রাউন্ড কার্তুজ এবং ১১ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।