রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা। এতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় ঢাবির প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানির সমালোচনা করা হয়।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে একটি ভয়ের সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। অতিসম্প্রতি তারা ডাকসু ভবনে ঢুকে ভিপি নুরুল হক নুরসহ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা করেছে। সিসিটিভির ফুটেজ লুকিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হামলাকারীদের পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন তারা মামলা দায়ের করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে।’
বিন ইয়ামিন আরও বলেন, ‘ঢাবি প্রক্টর হামলাকারীদের হাত থেকে আহতদের বাঁচাতে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেননি। এমনকি তিনি হামলাকারীদের পক্ষে কথা বলছেন। আমরা প্রক্টরের প্রদত্যাগ দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আক্তার হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু ভবনে ভিপি নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে ২৮ জন আহত হন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে।
হামলাকারীরা ফারাবী ও সুহেলকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার নুরুল হক নুর বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ৩৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
বুধবার রাতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কর্মী ও সার্জেন্ট জহরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সাব্বির হোসেন ডাকসু ভবনে গত ২২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নুরসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা করেন।
এছাড়া নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল শাখার প্রচার সম্পাদক অর্ণব ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।