নিম্নমানের নির্মাণ উপকরণ ব্যবহারের কারণে চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বাছুর আলগা গ্রামে এ ছাদ ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ ঘটনা ধামাচাপা দিতে নির্মাণাধীন ভবনের তিন দিকে ডেকোরেটরের কাপড় টানিয়ে তড়িঘড়ি করে আবারও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ শেষ করতে অপতৎরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ছাদটি বাঁশের সাটারিংসহ ধসে পড়ে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সূত্র জানায়, প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সাবস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। সানরাইজ এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
যোগাযোগ করা হলে সানরাইজ এন্টারপ্রাইজের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে একজন ফোনে বলেন, ‘নিম্নমানের বাঁশের কারণে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড আপত্তি করায় কাজ বন্ধ ছিল। ছাদ ঢালাইয়ের কথাটি গুজব। আমরা এখন মালামাল পরিবর্তন করে নতুন করে মালামাল, ভালো বাঁশ এনেছি। এখন আবার কাজ শুরু হবে।’
এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের জামালপুর প্রকল্প বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আহাম্মেদ আলী বলেন, ‘সাটারিং ভেঙে ছাদ ধসে পড়েছে। তবে ঠিকাদার বলেছেন, তারা আমাদের ভালোভাবে কাজ বুঝিয়ে দেবেন।’
নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, ‘ছাদ ধসের ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কাজের গুণগত মান ভালো না। তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে নিষেধ করেছি। ডেকোরেটরের কাপড় সরিয়ে জনসম্মুক্ষে কাজ করতে বলেছি।’