তহবিল কমে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এখন একটি ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মঙ্গলবার জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র।
মঙ্গলবার(২৬ সেপ্টেম্বর) রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে তিনি এই কথা বলেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখ্য মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, সাত বছর আগে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বারবার জলবায়ু দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছেন। এখন তারা ক্ষুধার সম্মুখীন হচ্ছে, যা তাদের সংকটকে আরও গভীর করছে।
আরও পড়ুুন:রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহায়তা দিন: ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডুজারিক বলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাতাদের তহবিল কমানোর কারণে সংস্থাটি কক্সবাজারের সমগ্র রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা কমাতে বাধ্য হয়েছে। তহবিলের ঘাটতির কারণে রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণ রেশন মার্চ মাসে ১২ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে প্রতি মাসে ১০ ডলার করা হয়। পরে জুনে তা আবারও কমিয়ে ৮ ডলার করা হয়েছে।
ডব্লিউএফপি বলেছে, বর্তমান নগদ ভাতা দিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রতি খাবারের জন্য ৯ সেন্টেরও কম সময় দেওয়া হয়।
নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএফপি'র মুখপাত্র বলেন, 'রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ রেশন পুনরুদ্ধার এবং গুরুত্বপূর্ণ মানবিক কার্যক্রম অক্ষুণ্ণ রাখতে সহায়তা করার জন্য দাতাদের এখনই এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে ডব্লিউএফপি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ রেশন দিতে ডব্লিউএফপির আরও ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার প্রয়োজন।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বলছে, কক্সবাজার বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির, যেখানে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেলের