মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৫৮ বিজিপি সদস্য। এরমধ্যে আহত অবস্থায় এসেছেন ২৭ জন। তারা বিদ্রোহীদের আক্রমণে তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।
তাদের মধ্যে ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সীমান্তে থাকা ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রবিববার(৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে মুহুর্মুহু গুলি ও মর্টারশেলের শব্দ প্রকম্পিত হয় তুমব্রু সীমান্ত। ধারণা করা হচ্ছে দুই সীমান্তের ৩৪ নং পিলারের ওপাড়ে মিয়ানমার অংশে মিয়ানমারের জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
এই ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। এলাকা ছেড়েছেন অনেকেই। ৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
জীবন বাঁচাতে মিয়ানমারের ৫৮ জন সীমান্তরক্ষী পুলিশ বাংলাদেশের বান্দরবানের তুমব্র বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তর।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্তে থাকা মানুষগুলো আতঙ্কে রয়েছেন। সীমান্তে মর্টার শেল, গুলি এসে পড়ছে। সীমান্তে স্থানীয়দের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শামশুল আলম, টিটু, পবিন্দ্র ধর ও রহিমা বেগম।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের ভেতরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক। এসব গোলাবারুদ আর বিস্ফোরকের বিকট শব্দে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।