আগামী ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইজতেমার জন্য বিশাল ময়দানে দেশীয় মুসল্লি ও বিদেশি অতিথিদের প্যান্ডেল এবং পয়ঃনিষ্কাশনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নানান শ্রেণি-পেশার তাবলিগ কর্মী এবং কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকরা তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দানে কাজ করছেন। বিশাল মাঠে খুঁটি বসানো, ছাউনি বানানো, মাইক সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ ইত্যাদি কাজ করা হচ্ছে। সময় অল্প হলেও ইজতেমা শুরুর আগেই কাজ শেষ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
মুসলিম উম্মাহর ঐতিহ্য রক্ষায় সফল ইজতেমা আয়োজনে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। সেই সাথে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আগের চেয়ে জোরালো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, তাবলিগের সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব পেছনে ফেলে সরকারি উদ্যোগে আয়োজকদের মধ্যে সমঝোতা করে একটি সফল ইজতেমা অনুষ্ঠানে সার্বিক প্রস্ততি নেয়া হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার বেলালুর রহমান জানান, ইজতেমার মুসল্লিদের মধ্যে দুটি পক্ষ থাকায় এবার সতর্ক অবস্থায় থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
এবারও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন, সিসি ক্যামেরা বসানো এবং ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে বলে জানান তিনি।
বিশ্ব ইজতেমার দিল্লি মারকাজের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা’দ কান্দলভি ও বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা বিবাদে জড়িয়ে পড়ায় এবার দুপক্ষের জন্য একবারে চার দিন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দুদিন মাওলানা জোবায়ের ও পরের দুদিন মাওলানা সা’দপন্থী সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামের ব্যবস্থাপনায় ইজতেমা হবে। আখেরি মোনাজাত হবে শনি ও সোমবার।