দক্ষতানির্ভর কারিগরি শিক্ষাই কেবল দেশকে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব থেকে মুক্ত করতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে চীনের ‘টিভিইটি স্কলারশিপ-২০১৮’ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে কারিগরি শিক্ষা অবহেলিত ছিল। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আগ্রহ ছিল না। মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করত। বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। এখন ভর্তি হার ১৪ শতাংশের অধিক।
কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের মানোন্নয়নে প্রায় দুই হাজার শিক্ষককে সিঙ্গাপুরের নানিয়ান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও চীনের গুয়াংজুতে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, চীন সরকার বাংলাদেশের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে। এবছর ৪৭৪ জন শিক্ষার্থী চীনের বৃত্তি নিয়ে তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ও সমমানের কোর্সে অংশ নেবেন। ২০১৭ সালে ৩০৮ জন শিক্ষার্থী চীন গমন করেছে। এই প্রথম সংগঠিতভাবে বাছাই করে কারিগরি শিক্ষার্থীদের বৃহৎ সংখ্যায় বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কারিগরি শিক্ষাকে যুগোপযোগী এবং শিল্প-মালিক ও বিনিয়োগকারীদের চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
পরে তিনি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে চীনের ভিসাসহ পাসপোর্ট তুলে দেন।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস ও আইডিইবি প্রেসিডেন্ট এ কে এম এ হামিদ।