তিনি বলেন, ‘সরঞ্জামের মধ্যে হেলিকপ্টার এবং রোভার ক্রাফট সংযোজন করা হবে। এসব কেনা হলে জল, স্থল ও আকাশপথে যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলা এবং উদ্ধারকাজ চালানোর ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে।’
শনিবার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মহড়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যে কোনও দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও ঝুঁকি হ্রাসে মহড়ার বিকল্প নেই। মহড়ার মাধ্যমে যে সচেতনতা সৃষ্টি হয় তা মহড়া পরবর্তী দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।’
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, গত বছর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মহড়ার কিছু দিন পর সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছিল। ‘তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সারা দেশের ঝুঁকিপূর্ণ হাসপাতাল, মার্কেট ও ভবনসমূহের আশেপাশে মহড়া করার ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে জনসাধারণ করণীয় বিষয়ে সচেতন হতে পারে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোহসিন, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোর্শেদ রশিদ, অধ্যক্ষ অধ্যাপক উত্তম কুমার পাল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।