সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুসারে দ্বৈত নাগরিকরা বিদেশে সম্পদ কিনতে পারেন কি না, সে বিষয়ে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, যারা দ্বৈত নাগরিক তাদের দেশপ্রেম দুভাগে বিভক্ত। তারা টাকাটা নিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। দ্বৈত নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া যায় কি না; সংবিধান ও আইন দেখে এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে। একই সঙ্গে দ্বৈত নাগরিকরা বিদেশে সম্পদ কিনতে পারে কি না, সে বিষয়েও আদেশ দেয়া হবে। আদালত এসব ক্ষেত্রে সংবিধানের ব্যাখ্যাও রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতপ্রণোদিত হয়ে আদেশের দিন নির্ধারণকরেন। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
এর আগে বৃহস্পতিবার একটি দৈনিকের ‘বিদেশে সম্পদ কেনার উৎসব’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আদালতের নজরে আনা হয়। প্রতিবেদনটির একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘বিদেশে বাড়ি ও সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে উৎসব চলছে বাংলাদেশিদের। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের পর দুবাই ও লন্ডনে হিড়িক পড়েছে সম্পদ কেনার। আগেই আগ্রহের স্থান ছিল সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। এখন সম্পদ কেনার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে বাংলাদেশিরা এখন সম্পদ কেনায় ধনী দেশের নাগরিকদের টপকে দখল করে নিচ্ছেন শীর্ষস্থানগুলো। ইতোমধ্যে দুবাইয়ে ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা সারা বিশ্বে রয়েছেন এক নম্বরে। আবার লন্ডনের অভিজাত স্থানে সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রেও শীর্ষ দশে আছেন বাংলাদেশিরা।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব সম্পদ কিনতে যেসব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, তা বৈধ বা অবৈধ যে উপায়েই আয় করা হোক, দেশের বাইরে নেয়া হয়েছে অবৈধ উপায়ে। কারণ বাংলাদেশ থেকে অর্থ স্থানান্তরে কোনও ক্ষেত্রেই অনুমোদন নেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বিপিসি’র ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ৩ মাসের মধ্যে দুদককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের