তারা নারীদের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের অন্যায়ের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূঁইয়া এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পরিচালনা করেন এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. লুৎফর রাহমানসহ বিভিন্ন অনুষদের ৫০ জন শিক্ষক এতে অংশ নেন।
অধ্যাপক রাহমান বলেন, ‘ধর্ষক সংখ্যায় কম হলেও তারা খুব ক্ষমতাশালী। তারা তাদের রাজনৈতিক সংযোগ এবং পেশীশক্তির কারণে এ ধরনের কাজ করার সাহস পায়। ধর্ষণের এ উদ্বেগজনক বৃদ্ধি কেবল ধর্ষণ মামলার বিদ্যমান দণ্ডবিধি সংস্কার এবং শাস্তি হিসেবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে হ্রাস পাবে।’
অধ্যাপক নিজামুল বলেন, ‘আমাদের ঘরেও মা, বোন এবং স্ত্রী রয়েছে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষা যুক্ত করার পাশাপাশি ধর্ষণকারীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার জন্য। নৈতিক জাতি গঠনের জন্য শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা আর ধর্ষণ দেখতে চাই না। এ মহামারি এখানেই শেষ হোক।’
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম বলেন, ‘সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের ব্যর্থতার কারণেই ধর্ষণ আজ মহামারি আকার ধারণ করেছে।’
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে ধর্ষণ ও নির্যাতনও বন্ধ হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন ক্রিমিনোলজির অধ্যাপক জিয়া রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক আবুল মনসুর, অধ্যাপক জিনাত হুদা প্রমুখ।