ধর্ষণ
নাটোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষকের যাবজ্জীবন
নাটোরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষক হযরত আলীকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই নাটোর সদর উপজেলার বাগরুম গ্রামে গৃহশিক্ষক হযরত আলী অতিরিক্ত পড়ানোর কথা বলে স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে তার বাসায় ডাকেন। এরপর ফেল করানো ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।
৩ দিন আগে
‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না কিলিয়ান এমবাপের। আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একের পর এক সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে চলেছেন এই ফরাসি তারকা।
লা লিগার চলতি মৌসুমের শুরুতে পেনাল্টি ছাড়া ওপেন প্লে থেকে গোল পেতে একরকম ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচক ও প্রতিপক্ষ দলগুলোর সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়েন ২৫ বছর বয়সী এই ফরাসি তারকা। এরপর চোটের ‘অজুহাত’ দেখিয়ে নেশন্স লিগে ফ্রান্সের হয়ে না খেলে রিয়ালের জার্সিতে মাঠে নেমে এবং পরে সুইডেনে নৈশক্লাবে সময় কাটিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। এবার ধর্ষণ অভিযোগের তদন্ত চলায় তাকে পড়তে হলো খোদ রিয়াল মাদ্রিদের খাঁড়ার নিচে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। আন্তর্জাতিক বিরতিতে ছুটি পেয়ে সেদিন সুইডেন গিয়েছিলেন এমবাপে। সেখানে তিনি যে হোটেলে ওঠেন, সেখানে নাকি তার অবস্থানকালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের অনুপস্থিতিতে চুয়ামেনির নেতৃত্বে মাঠে নামবে ফ্রান্স
সুইডেনের সংবাদপত্র আফ্টনব্লাডেট সর্বপ্রথম ওই ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আনে। তবে, অভিযুক্তের নাম খোলাসা করেনি তারা। এরপর আফ্টনব্লাডেটের বরাত দিয়ে রবিবার ফ্রান্সে খবরটি প্রচার করে ফরাসি ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্ট।
এমবাপে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা উল্লেখ না করে ঘটনাটি নিয়ে সুইডিশ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি। এমবাপে পুলিশি তদন্তের আওতায় রয়েছে কি না, খবরে তাও স্পষ্ট করা হয়নি।
তবে, এ নিয়ে আরএমসির স্পোর্টের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। সোমবার এক্স পোস্টে তিনি ‘খবরটি ভূয়া’ বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি রিয়াল মাদ্রিদ।
১ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মো. ডলার তালুকদারকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভোরে রায়গঞ্জ উপজেলার সরাইল গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২’র বিএন কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম আবুল হাশেম সবুজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার ডলার সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের ডুমুর ইছা গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে।
পরে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডলার তালুকদারের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) কালিয়া হরিপুর গ্রামের একটি মুরগীর খামারের নারীশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ
১ মাস আগে
পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
পঞ্চগড়ে ১৬ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা সাইফুল ইসলামকে (৪৯) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৩০ জুন) পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বিএম তারিকুল কবির এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর আগে, ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলার ৭ মাসের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করে এ দণ্ডাদেশ দেন বিচারক।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছর আগে দুই মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন মামলার বাদী। এদিকে, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাবার বাড়িতে যায় ভুক্তভোগী। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বাবার ঘরেই আলাদা বিছানায় রাতে ঘুমাচ্ছিল মেয়েটি। এই সুযোগে বাবা সাইফুল ইসলাম তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন।
পরে মেয়েকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। এতে ভুক্তভোগী মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটি তদন্ত করে গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুজ্জোহা সরকার।
পরে ৭ মাস ধরে ৮ জনের সাক্ষ গ্রহণ শেষে ও মামলার বিচারকাজ শেষে আদালত রবিবার এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে গিয়ে মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজার রহমান আজু বলেন, এ রায় সমাজের জন্য একটি বার্তা। এতে করে অপরাধীরা অপরাধ করতে আর সাহস পাবে না।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সুইজারল্যান্ডে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধনকুবেরসহ পরিবারের ৪ জনের কারাদণ্ড
৪ মাস আগে
ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।
মঙ্গলবার(২৮ মে) ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মিজানুর রহমান এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এসময় খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফরিদ নরহরিদ্রা গ্রামের খোন্দকার আমিরুজ্জামানের ছেলে।
তিনি বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজ পাড়ায় বসবাস করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বজলুর রহমান ও আসামি পক্ষে আইনজীবী নেকবার আলী মামলাটি পরিচালনা করেন।
আদালতের রায় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের নিজ গ্রাম সদর উপজেলার নৃসিংহপুরে এক নারীকে মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ওই নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ওই নারীকে বিয়ে করে আবার একই টেবিলে বসে তালাকও দেন ফরিদ।
এদিকে ধর্ষণ মামলার পর ফারুকুজ্জামান ফরিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।
২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
ঝিনাইদহের আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ডিএনএ টেস্ট করার জন্য ঢাকায় পাঠায়। ডিএনএ টেস্টে ফরিদ অভিযুক্ত প্রমাণিত হন। এ কারণে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই মামলায় ফরিদের গাড়িচালক হুদা বাকড়ী গ্রামের ইউনুস মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৫ মাস আগে
নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের লালপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে ছাব্বির নামে এক আসামিকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পৃথক আরেকটি ধারার ১৪ বছরের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
একই সঙ্গে মামলার অপর ২ আসামি আব্দুল মান্নান ও মুক্তার হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান,প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আসামি ছাব্বির ২০২০ সালের ২০ নভেম্বরে দলবল নিয়ে লালপুর উপজেলার দুরদুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে অমরপুর গ্রামের বাড়ি থেকে অপহরণ করে। এরপর ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা সাদেকুল আলম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
পরে বিচার কাজের প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন শেষে আজ এ রায় দেন বিচারক।
রায়ে আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে মানব পাচারের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৬ মাস আগে
মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ৬০ বছরের নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা
মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ৬০ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ পুতে রাখা হয় তারই ঘরের মেঝেতে।
নিখোঁজের সাত মাস পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন শেষে সংবাদ সম্মেলনে রবিবার এ তথ্য জানান বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মুদি দোকানির গায়ে আগুন
সাত মাস আগে নিখোঁজ হন জেলার বাকেরগঞ্জের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর স্ত্রীরিজিয়া বেগম। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই হাওলাদার মাসুদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নামে বরিশাল জেলা পুলিশ। প্রযুক্তির ব্যবহার করে এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারা হলেন- একই ইউনিয়নের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে মো. ফয়সাল ও মৃত কালাম হাওলাদার কালুর ছেলে লালচাঁন।
পুলিশ সুপার বলেন, রিজিয়া বেগম একাই বসবাস করতেন। প্রায় সাত মাস আগে নিখোঁজ হন তিনি। গত ১৩ এপ্রিল রিজিয়ার ছেলে রাসেল বাড়ি এলে ঘরের ভেতরে মাটির স্তুপ দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা আদালতের নির্দেশে ঘরের ভেতর থেকে রিজিয়ার লাশ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ফয়সাল ও লালচাঁন প্রতিনিয়ত ওই নারীর ঘরে ও আশপাশে মাদক সেবন করতেন। এতে বাধা দেওয়ায় ঘটনার দিন অর্থাৎ প্রায় সাত মাস আগে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের পর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করেন ফয়সাল ও লালচাঁন। এরপর রিজিয়ার ঘরেই মাটি খুঁড়ে তাকে চাপা দেন তারা।
তিনি বলেন, ফয়সাল ও লালচাঁন দুইজনেই মাদকাসক্ত। গ্রেপ্তার দুইজনকে রবিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে আগুন, প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
মাদক সেবনের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
৭ মাস আগে
সিরাজগঞ্জের প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা সদরে বাক প্রতিবন্ধি এক যুবতী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ধর্ষণের অভিযোগে আয়নাল হক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আয়নাল এনায়েতপুর গ্রামের মেহের উদ্দিনের ছেলে।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসাশিক্ষক আটক
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে ওই প্রতিবন্ধী যুবতী স্থানীয় শালবাগানে গেলে আয়নাল হক তাকে জোরপূবর্ক ধর্ষণ করে।
এ সময় ওই প্রতিবন্ধীর চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসে এবং ধর্ষক আয়নালকে আটক করে পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এদিকে এনায়েতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আহম্মেদ মোস্তফা খান বাচ্চু বিষয়টি ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপোষ করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতরাতে দায়ের করা মামলায় তাকেও আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৩ বছরের স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ
৮ মাস আগে
রাণীনগরে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
নওগাঁর রাণীনগরে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে জালাল শেখ (৪৮) নামে এক চা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার উপজেলার লোহাচুড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
জালাল শেখ লোহাচুড়া কারিগরপাড়া গ্রামের আলেফ উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, জালাল শেখ একই গ্রামের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে স্কুল ছুটির পর বিভিন্ন প্রলোভন ও হুমকি-ধামকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। গত সোমবার ওই স্কুলছাত্রী গ্রামের একটি পুকুরপাড়ে বসে মাছ ধরা দেখছিলেন। এ সময় জালাল সেখানে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ঘটনাটি দেখে ফেলেন। এরপর স্কুলছাত্রীর পরিবার বিষয়টি জানতে পারে।
পরে স্কুলছাত্রী তার পরিবারকে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল ছুটির পর বাড়িতে ফেরার পথে বিভিন্ন সময়ে জালাল তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও হুমকি-ধামকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। ঘটনাটি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন। স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাণীনগর থানায় জালালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জালাল শেখের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ বলেন, প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় চা ব্যবসায়ী জালালকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণ: ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল
খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৮ মাস আগে
জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ৩ ফেব্রুয়ারি স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও মো. মুরাদ।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আল আমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ রাজধানীর ফার্মগেট ও নওগাঁ জেলায় একযোগে অভিযান চালিয়ে যথাক্রমে মামুন ও মুরাদকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যরা হলেন- মোস্তফা মনোয়ার ওরফে সাগর সিদ্দিকী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাব্বির হোসেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জাবি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যাবেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
৯ মাস আগে