ধর্ষণ
খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: চলছে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ, এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ চলছে, বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন চলাচল। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া অবরোধকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার পর এলাকাজুড়ে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কেউ বের হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির মুখে পড়ছেন। এমনকি শহরতলীর দোকানপাটও খোলেনি।
আজ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল (শনিবার) সড়কে পিকেটারদের দেখা গেলেও আজ তা চোখে পড়ছে না।
তবে জেলা শহরসহ আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী টহলের পাশাপাশি ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে, শনিবার খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে চলমান অবরোধের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি
খাগড়াছড়ির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সিঙ্গিনালায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হন ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেন।
পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি দুইজন এখনো পলাতক রয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র জনতা ২৪ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং পরদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলায় অর্ধদিবস অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
অবরোধে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাজেকে প্রায় দুই হাজার এবং রাঙামাটি শহরে সহস্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েন। আটকে পড়া পর্যটকদের রাতেই খাগড়াছড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাদের অনেকেই ফিরে গেছেন গন্তব্যে।
৬৭ দিন আগে
তেঁতুলিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত জামায়াত কর্মী গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে জামাল উদ্দিন (৪৫) নামে এক জামায়াত কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ ।
এর আগে গতকাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর নানী বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে রাতেই উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ঠুনঠুনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে জামাল উদ্দিনকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক জামাল উদ্দিন একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা বলছেন, আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও ৫ আগস্টের পর জামাল উদ্দিন জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। তিনি ঠুনঠুনিয়া মসজিদের ক্যাশিয়ার ছিলেন। ঘটনার পর মসজিদের দায়িত্ব থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মায়ের মৃত্যুর পর মাদ্রাসার ওই ছাত্রী ছোট থেকেই নানীর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। স্থানীয় একটি নুরানী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন তিনি।
গত ১৭ জানুয়ারি সকালে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী তার নানীর বাড়ির পাশে অভিযুক্ত জামাল উদ্দিনের বাড়িতে ফ্রিজ থেকে মুরগির মাংস আনতে যায়।
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর গাড়িচালকের বাড়ি থেকে ২৩ বস্তা নথি জব্দ
এ সময় জামাল উদ্দিনের বাড়িতে লোকজন না থাকায় ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। েএতে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী অস্বীকৃতি জানালে জামাল উদ্দিন ক্ষিপ্ত ও রাগান্বিত হয়ে ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন জামাল উদ্দিন এবং একপর্যায়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সামাজিক বিচার শালিশও হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি জামাল উদ্দিন ঘটনার দায় স্বীকার করলেও পরে তিনি তার স্ত্রী ও ভাইসহ আসামিদের সহযোগিতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
গত ১৪ জুন সকালে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। মীমাংসার আশ্বাসে পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার পরিবার। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ওই ছাত্রী বিচার না পাওয়ায় তার নানী মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।
ঠুনঠুনিয়া এলাকার এক বাসিন্দা জানান, জামাল জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছে। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর তাকে সম্ভবত দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গ্রামের মসজিদের দায়িত্ব থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইকবাল হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এজাহারে জামাল উদ্দিন ছাড়াও আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া জানান, আসামি জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
৭৪ দিন আগে
মহেশপুরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক
ঝিনাইদহের মহেশপুরে চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক রাকিবকে (১৫) ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার আদমপুর আবাসন প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল ওই শিশুটি। এ সময় একই এলাকার রাকিব তাকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি ভুট্টাখেতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বনানীতে পথশিশু ধর্ষণের শিকার
এরপর শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসলে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানতে পারেন। সে সময় শিশুটির পরনের পোশাক রক্তে ভিজে ছিল। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা রাকিবকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
মহেশপুর কোটচাঁদপুর থানার সার্কেল মুন্না বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষা শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯১ দিন আগে
লবণ নেওয়ার অজুহাতে ঘরে ঢুকে প্রতিবন্ধী নারীকে ‘ধর্ষণ’
যশোরের অভয়নগরে লবণ নেওয়ার অজুহাতে প্রতিবন্ধী এক নারীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে হালিম মোল্লা নামে তার এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার ধুলগ্রাম এলাকায় ভুক্তভোগীর নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার একদিন পর ভুক্তভোগীর পরিবার বিষয়টি জানতে পারেন। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
এরপর গতকাল (শনিবার) অভিযুক্তকে যশোর সদর উপজেলার জয়তা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার নারী বাক প্রতিবন্ধী এবং মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ বকতিয়ার আলী।
তিনি জানান, ঘটনার সময় ওই নারী বাড়িতে একা ছিলেন। সেদিন সকাল ৯টার দিকে প্রতিবেশী হালিম মোল্লা লবণ নেওয়ার অজুহাতে তার বাড়িতে যান। ভুক্তভোগী নারী রান্নাঘর থেকে লবণ আনতে গেলে হালিম ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর তিনি দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়েন। পরের দিন বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর হালিমের অবস্থান শনাক্ত করে শনিবার তাকে আটক করা হয়।
রোববার (৩১ আগস্ট) হালিম মোল্লাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
৯৫ দিন আগে
ফেনীতে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে সংঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিনজনের নামে থানায় অভিযোগ
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামের নুরুল করিম বাবলু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে তার স্ত্রীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকালে ফেনী মডেল থানায় ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে মাথিয়ারা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম (৩৮), জয়নাল আবেদীনের ছেলে মহিম (৩৫) ও রকি (২২) নামের এক ব্যক্তির নাম রয়েছে।
প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম নিজেকে যুবদল কর্মী দাবি করে পুরো ঘটনাটি রাজনৈতিকভাবে সাজানো মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন।
থানায় অভিযোগ ও ভুক্তভোগী জানায়, প্রায় ৬ মাস আগে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকায় এসে আনোয়ার মিয়ার কলোনির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন ওই দম্পতি। স্বামী নুরুল করিম বাবলু রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। কয়েক মাস আগে থেকে স্থানীয় বখাটেরা বাবলুর স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় রকি কথা আছে বলে রিকশাচালক বাবলুকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে বাবলুর অবস্থা খারাপ বলে তার স্ত্রীকেও ডেকে নিয়ে যায়। পরে তারা কলোনীর পাশে একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে নিয়ে বাবলুর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে বাবলুকে মারধর করে মাদক ধরিয়ে দিয়ে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে কামরুল, মহিন ও রকি ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর স্বামী বাবলু জানান, রাতভর বখাটেরা আমাকে আটকে রেখে মারধর করে। সকালে তাদের থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় আসলে আমার স্ত্রীর সঙ্গে যা হয়েছে জানতে পারি। আমি এর বিচার চাই।
ভুক্তভোগী নারী জানান, আমি ২ সন্তানের জননী। তারা এলাকার প্রভাবশালী। তারা কয়েক মাস ধরেই আমাকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল৷ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আমার স্বামীকে অন্যত্র আটক করে ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করেছে। আমি তাদের বিচার ও আমি রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চাই।
এ দিকে প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম নিজেকে যুবদলের কর্মী দাবি করে বলেন, আমি যুবদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছি। বিগত ১৫ বছর কমিটি গঠন না হওয়ায় কোনো পদ নেই। আমাদের দলীয় প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে হেয় করতে এ ষড়যন্ত্র করেছে। ঘটনাস্থলের ভিডিওতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলু চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও তার সহযোগীদের সিসি টিভিতে দেখা যাচ্ছে। তাদেরকে অভিযুক্ত না করে ষড়যন্ত্র করে আমাকে অভিযুক্ত করে হয়রারি করা হচ্ছে।
ফেনী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত বলেন, পাঁচগাছিয়ার মাথিয়ারায় কামরুল নামে যুবদলের কোনো কর্মী নেই। তারপরও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, পালাক্রমে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০৫ দিন আগে
ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষকের যাবজ্জীবন
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ওই ছাত্রীর গৃহশিক্ষক মাশরুর রহমান সজীবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আতোয়ার রহমান এই সাজা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিশেষ পিপি আব্দুল লতিফ লতা।
সাজা পাওয়া মাশরুর রহমান সজীব যশোর পালবাড়ি তেঁতুলতলা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকা বাড্ডার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী যশোর শহরের একটি কলেজে ভর্তি হন। এরপর পালবাড়ি এলকায় ফুফুর বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতেন। গৃহশিক্ষক হিসেবে তাকে পড়াতেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সজীব। একপর্যায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২০১৬ সালের ১৫ জুন বাড়ির সবার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সজীব ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তাদের সম্পর্ক উভয় পরিবারে জানাজানি হয়ে যায়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সজীব ওই ছাত্রীকে তার আত্মীয়ের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। তিনি গোপনে তাদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও-ও ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সজীব ঘোরাতে থাকেন এবং যোগোযোগ বন্ধ করে দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিশুহত্যা মামলায় সৎ মায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এরপর গত বছরের ৩০ জুলাই সজীবের মাকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, সজীব ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবেন না। শুধু তাই নয়, সজীব অন্যত্র বিয়ে করেছেন বলেও জানান তার মা।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৭ আগস্ট যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় করেন ওই ছাত্রী।
আদালতের তৎকালীন বিচারক অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আসামি সজীবকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় সজীব আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১০৭ দিন আগে
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে চাচার মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে ১৩ বছর বয়সী এক মানসিক ও শারিরীক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে তার চাচা নুরুদ্দিন মোল্যাকে (৫৭) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারকে দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
দণ্ডিত নুরুদ্দিন ফরিদপুর সদরের ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ওই প্রতিবন্ধি কিশোরীর চাচা। রায় ঘোষণার সময় নুরুদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশের পাহারায় কারাগারে নেওয়া হয়।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন নুরুদ্দিন। ওই সময়ে স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটক করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মা-মেয়ে হত্যা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
পরে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করানো হয়। পরদিন তার বাবা কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূইয়া রতন বলেন, ‘একটি প্রতিবন্ধী কিশোরীর সঙ্গে তার বয়স্ক চাচা যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তা সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ, যার সর্বোচ্চ শাস্তিই আমরা কামনা করেছিলাম। এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।’
১৩৬ দিন আগে
রাজধানীর বনানীতে পথশিশু ধর্ষণের শিকার
রাজধানী বনানী থানার ক্যানসার হাসপাতালের পিছনে ৯ বছর বয়সী একটি শিশুকন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অপরাধীকে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বনানী থানার পুলিশ ইউএনবিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
শিশুটির বাড়ি ময়মনসিংহে বলে জানিয়েছেন থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম । তিনি বলেন, বাবা-মায়ের সাথে সে ফুটপাতে বসবাস করত। গতকাল রাত আটটায় (ভিকটিম) মেয়েটির মুখ বেঁধে অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন পুরুষ বনানী থানাধীন ক্যানসার হাসপাতালের পিছনে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
‘পরে তার কান্না এবং রক্তক্ষরণ দেখে স্থানীয় লোকজন বনানী থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গতকাল রাত পৌনে এগারোটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার
বর্তমানে শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানান মোহাম্মদ রফিক।
অপরাধীকে শনাক্ত করতে পেরেছেন কিনা; জানতে চাইলে বনানী থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি, ওখানে যে পথশিশু থাকে, তাদের মধ্য থেকেই একজনন কাজটি করেছেন। ভুক্তভোগী বর্তমানে হাসপাতালে। তার চিকিৎসা চলছে। সে তো বাইরে এসে অপরাধীকে শনাক্ত করে দিতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘তারপরেও রাস্তার পথশিশুদের ছবি তুলে হাসপাতালে পাঠাচ্ছি, ভুক্তভোগী যাতে অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে। অপরাধীকে ধরতে আমাদের কার্যক্রম চলছে।’
১৪৩ দিন আগে
বড় ভাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে মুরাদনগরের সেই ঘটনার ভিডিও ছড়ানো হয়: র্যাব
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে ছিল দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব। ওই নারীকে নিয়েই পূর্বশত্রুতার জেরে বড় ভাই ফজর আলীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে ওই ঘটনা ঘটান ছোট ভাই শাহ পরান (২৮)।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
এর আগে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) কুমিল্লার বুড়িচং থানার কাবিলা বাজার এলাকা থেকে শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১ এর একটি দল। সে সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, শাহ পরান গত ২৬ জুন সংঘটিত এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। বড় ভাই ফজর আলীর হাতে আগে প্রকাশ্যে অপমানিত হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে একটি মব গঠন করে এই নারকীয় ঘটনা ঘটান তিনি। পরে সেই মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বসতঘরের দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ওই নারীকে উত্যক্ত করে আসছিলেন ফজর আলী ও শাহ পরান। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে কয়েক মাস আগে গ্রাম্য সালিশে জনসম্মুখে শাহ পরানকে চড়-থাপ্পড় মারেন ফজর আলী। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে সুযোগ খুঁজতে থাকেন শাহ পরান।
ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফজর আলী ৫০ হাজার টাকা সুদের লেনদেনের অজুহাতে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। টের পেয়ে ইমো অ্যাপে মেসেজ দিয়ে অন্যদের ডেকে আনেন শাহ পরান। এর প্রায় ২০ মিনিট পর পূর্বপরিকল্পিতভাবে শাহ পরান ও তার সঙ্গে থাকা আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান এবং আরও আট থেকে দশজন অজ্ঞাত সহযোগী ওই ঘরে হানা দেন। তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ফজর আলীকে মারধর করেন এবং ভুক্তভোগী নারীকে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে ফজর আলীকেও তারা এই কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে বাধ্য করেন। এরপর নৃশংস ওইসব দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে পুলিশ ও র্যাব মিলে এ পর্যন্ত অভিযুক্ত ফজর আলীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ধর্ষণ শিকার নারীর ভিডিও সামাজিকমাধ্যম থেকে সরাতে নির্দেশ
এরপর গত ২৯ জুন মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন অভিযুক্তরা। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, শাহ পরান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায় স্বীকার করেছে। তাকে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৫৩ দিন আগে
কুমিল্লায় বসতঘরের দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫
কুমিল্লার মুরাদনগরে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৯ জুন) ভোর ৫টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফজর আলী (৩৮) কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের পুর্বপাড়ার বাসিন্দা।
ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন— বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান তাদের আজ সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে এই ধর্ষণকাণ্ড ঘটে।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আলোচনার জন্ম দেয়। নেটিজেনরা ব্যাপক সমালোচনা করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এরপর ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের দায়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। পরে আজ ভোরে সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার হন ফজর আলী।
পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ফজর আলীকে প্রধান আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন করেন। তবে ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে যারা সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে, তাদের মধ্য থেকে আরও চারজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে আটক হন ফজর আলী। পরে তাকে মারধরও করে বিক্ষুব্ধরা। তবে আহত অবস্থায় তিনি পালিয়ে যান।
ঘটনার পরপরই উপস্থিত কয়েকজন ধর্ষণের শিকার নারীর ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। সেই সময়ই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর মূল আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ভুক্তভোগী নারী ১৫ দিন আগে বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
১৫৯ দিন আগে