ধর্ষণ
রাণীনগরে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
নওগাঁর রাণীনগরে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে জালাল শেখ (৪৮) নামে এক চা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার উপজেলার লোহাচুড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
জালাল শেখ লোহাচুড়া কারিগরপাড়া গ্রামের আলেফ উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, জালাল শেখ একই গ্রামের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে স্কুল ছুটির পর বিভিন্ন প্রলোভন ও হুমকি-ধামকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। গত সোমবার ওই স্কুলছাত্রী গ্রামের একটি পুকুরপাড়ে বসে মাছ ধরা দেখছিলেন। এ সময় জালাল সেখানে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ঘটনাটি দেখে ফেলেন। এরপর স্কুলছাত্রীর পরিবার বিষয়টি জানতে পারে।
পরে স্কুলছাত্রী তার পরিবারকে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল ছুটির পর বাড়িতে ফেরার পথে বিভিন্ন সময়ে জালাল তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও হুমকি-ধামকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। ঘটনাটি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন। স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাণীনগর থানায় জালালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জালাল শেখের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ বলেন, প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় চা ব্যবসায়ী জালালকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণ: ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল
খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ৩ ফেব্রুয়ারি স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও মো. মুরাদ।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আল আমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ রাজধানীর ফার্মগেট ও নওগাঁ জেলায় একযোগে অভিযান চালিয়ে যথাক্রমে মামুন ও মুরাদকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যরা হলেন- মোস্তফা মনোয়ার ওরফে সাগর সিদ্দিকী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাব্বির হোসেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জাবি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যাবেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর, ৪৬তম ব্যাচের সাগর সিদ্দিক ও ৪৫তম ব্যাচের হাসানুজ্জামান।
আরও পড়ুন: জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মিজানুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ আবাসিক হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৌশলে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামিরা। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন রিমান্ডে
নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
নেত্রকোণার আটপাড়ায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার আসামি দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪।
শনিবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার জৈনা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন হলেন- আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের পালগাও গ্রামের শাহজাহানের দুই ছেলে মো. অসীম ও মো. রাজু মিয়া।
আরও পড়ুন: রংপুরে রেস্টুরেন্টের আড়ালে মাদকের ব্যবসা, গ্রেপ্তার ৫
র্যাব-১৪ এর সদর ব্যাটালিয়নের অপারেশনস্ অফিসার উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সেলিনা আক্তার ও তার স্বামীর সঙ্গে আসামিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলছিল।
তিনি জানান, ঘটনার কিছুদিন আগে সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তাদের বিরুদ্ধে। তবে আসামিদের দাবি এটি মিথ্যা মামলা। আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি রাতে ঘর থেকে বের করে বাড়ির উঠানে সেলিনা আক্তারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
আনোয়ার হোসেন আরও জানান, পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগীকে প্রথমে আটপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেলিনা আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের ননদ বেদেনা আক্তার বাদী হয়ে ৮ জানুয়ারি এজাহারনামীয় ১০ জনসহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে জনকে আসামি করে আটপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল। আটক দুইজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা, ২ ভাই গ্রেপ্তার
শিক্ষার্থীকে ট্রেনের কেবিনে ধর্ষণের দায়ে অ্যাটেনডেন্ট গ্রেপ্তার
লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে লালমনি এক্সপ্রেস চলন্ত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিমানে বাড়ি ছেড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।
লালমনিরহাট জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী জানান, রাতে ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই শিক্ষার্থী জয়দেবপুর স্টেশনে অবস্থান করছিল। তবে ভুল করে লালমনি এক্সপ্রেসে উঠে পড়ে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
তিনি আরও জানান, চেকিংয়ের সময় তার কাছে টিকিট না পাওয়ায় ওই অ্যাটেনডেন্ট তার কক্ষে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কেবিন ফাঁকা পেয়ে সকালে তাকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির চেচামেচিতে ট্রেনে থাকা পুলিশ সদস্যরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং আক্কাস আলীকে আটক করে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
শরীয়তপুরে ফিরোজা বেগম নামে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, নিজাম বালী (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ওমর ফারুক বেপারী (২৪), আল আমীন বেপারী (২০) ও ইব্রাহীম মোল্লা (২১)।
আসামিরা ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ সুতলকাঠীর বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর তিন আসামি পলাতক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাজার এলাকার ৫৫ বছর বয়সী ফিরোজা বেগম।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বিষয়ে রায় যেকোনো দিন
২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ওই নারীর ছোট ভাই লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে শরীয়তপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।
আসামিদের মধ্যে পাঁচজন জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পুলিশ। বাকি আসামি চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পায়।
পরে ২৮ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিজাম বালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন। ওই তিনজন আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
আর অন্য দুই আসামি ইব্রাহিম, আল-আমীন পলাতক। পরে ওমর ফারুক জামিনে গিয়ে পলাতক। এ ঘটনায় পরবর্তীকালে পুলিশ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
দীর্ঘ ৫ বছর যুক্তিতর্ক ও ২২ জনের স্বাক্ষগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ হত্যা ও ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
নিহত ফিরোজা বেগমের ছেলে শাহ্ জালাল হাওলাদার বলেন, অভিযুক্তদের পাঁচজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া উচ্চ আদালতে যেন এই রায় বহাল রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হয়।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সানাল মিয়া বলেন, এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।
অভিমানে বাড়ি ছেড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী
সিলেটে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট শহরতলীর পরগনা বাজার সংলগ্ন খুনীরচক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ভিকটিমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট শহরতলীর পীরের বাজারে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে ওই কিশোরী। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী পরগনা বাজার সংলগ্ন খুনীরচক এলাকায় পৌঁছামাত্র চার যুবকের খপ্পরে পড়ে। সেখানে যুবকরা তাকে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভিকটিমের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে।
খুব দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
কক্সবাজারে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
গোসলের ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
রংপুরের পীরগাছায় গোসলের ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ব্রেলভী হোসেন সুমন নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পীরগাছা উপজেলার রাধাকৃষ্ণ গ্রামের মোশাররফ হোসেন মানিকের ছেলে ব্রেলভী হোসেন সুমন এক প্রতিবেশীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
একপর্যায়ে ওই বাড়ির নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে মেয়েটি রাজি না হওয়ায় গোপনে মোবাইল ফোনে গোসলের ভিডিও ধারণ করেন।
সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সুমন।
২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ধর্ষণের সময় বিষয়টি তাদের এক নিকটাত্মীয় দেখে ফেলেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
ওই বৈঠকে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান সুমন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি পীরগাছা থানায় মামলা করতে যান ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নেওয়া পরে আদালতে মামলা করেন।
আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপপরিদর্শক (এসআই) ইকরামুল হক তদন্ত শেষে ওই বছরের ২০ আগস্ট সুমনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
প্রায় চার বছর মামলার বিচারকাজ চলার পর রবিবার রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরের সিংড়ায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী ও শাশুড়িকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সদরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম পর্যায়ক্রমে রায় দুটি ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিংড়া উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের দুলাল চন্দ্র মহন্ত ও তার মা গীতা রানী মহন্ত।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
আদালতের বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ গৃহবধূ রুবি রানী মহন্ত ও তার বাবা তপন চন্দ্র মহন্তকে মারধর করে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রুবির বাবা পালিয়ে বাঁচলেও রুবিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় রুবির বাবার দায়ের করা মামলায় বিচারক রুবির স্বামী দুলাল চন্দ্র মহন্ত ও শাশুড়ি গীতা রানী মহন্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে উভয়কে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে তা বাদীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর একই আদালত নাটোর সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণের অপরাধে ওয়াজেদ আলী নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। ২০১২ সালের ১৪ জুন সদর উপজেলার জালাবাদ গ্রামের প্রতিবন্ধী গৃহবধূ পার্শ্ববর্তী গ্রামে যাওয়ার সময় মাঝখানের ফাঁকা মাঠ থেকে তাকে অপহরণ করেন ওয়াজেদ। পাশের পাট খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে একই এলাকার ওয়াজেদ আলী। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
১৩ বছরের স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ৬ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে এবং বৃহস্পতিবার রাতেই ওই শিশুকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষনের শিকার শিশুর স্বজনরা জানায়, ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর ছেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটিকে খেলার কথা বলে বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। (অভিযুক্তের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হলো না)
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে ভয় দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি এসে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে রাতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্তকে নিয়ে পালিয়েছে তার বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা।
ভুক্তভোগী শিশুটির ভাই বলেন, অভিযুক্তের বয়স যাই হোক না কেন আমি ওর শাস্তি দাবি করছি। সেই সঙ্গে ওর পরিবারের লোকজন যারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদেরও শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ বলেন, ঘটনাটি শোনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড