ধর্ষণ
ভুট্টাখেতে শিশুর ঝলসানো বিবস্ত্র লাশ, ধর্ষণ সন্দেহ পুলিশের
পাবনার চাটমোহর থেকে নাটোরের বড়াইগ্রামের এক প্রবাসীর ৭ বছরের শিশুকন্যার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় লাশের মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসানো ছিল। শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে অ্যাসিডে মুখ ঝলসে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুটি বড়াইগ্রাম উপজেলার গারফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহেরুল ইসলামের মেয়ে। স্থানীয় মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল সে।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা, নানা-নানীকে কুপিয়ে জখম
পুলিশ জানায়, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গতকাল (সোমবার) শিশুটি বেড়াতে বের হয়। পাশেই দাদিবাড়ি গিয়ে তার সেমাই খাওয়ার কথা ছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিকাল হয়ে গেলেও দুই বাড়ির কোথাও সে না গেলে স্বজনরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। তবে কাল তাকে খুঁজে পায়নি কেউ। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারা শিশুটির পরিবারে খবর দেন, এরপর পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে নাটোর ও পাবনা জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় শিশুটির মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসানো এবং শরীর বিবস্ত্র ছিল। পরে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করে লাশটি পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও শিশুটির প্রতিবেশী এমদাদুল হক বলেন, এলাকার কৃষকরা খেতে কাজ করতে গিয়ে প্রথম তার লাশ দেখতে পায়। পরে পরিবারে খবর দিলে আমরা সেখানে যাই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তার মুখের পুরোটাই পোড়া ছিল। গায়ে কোনো কাপড় ছিল না। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষণ্ড দুর্বৃত্তরা। লাশের মুখ যাতে চেনা না যায়, তার জন্য অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘শিশুটিকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায় (নাটোর) হলেও লাশটি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাবনার চাটমোহর এলাকায় পাওয়া গেছে। ফলে সংঘটিত অপরাধটির মামলা চাটমোহর থানায় লিপিবদ্ধ হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশের তদন্ত দল মাঠে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ লাশের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।’
১ দিন আগে
কিশোরীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা, নানা-নানীকে কুপিয়ে জখম
চট্টগ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে নাজিম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) চন্দনাইশ উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনা দেখে ফেলায় নানা ও নানীকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় নাজিম। নাজিম ভুক্তভোগী কিশোরীর মায়ের চাচাত ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কিশোরী ঈদের ছুটিতে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। মঙ্গলবার রাতে একই বাড়ি বেড়াতে আসেন তার মামা নাজিম। এর পর আনুমানিক দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরীকে মুখে কাপড় গুজে নাজিম ধর্ষণের পর হত্যা করেন।’
বিষয়টি আরজুর নানা আব্দুল হাকিম ও নানী ফরিদা আক্তার দেখে ফেললে তাদেরকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নাজিম পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আহতদের চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তারা থানায় ফিরলে বিস্তারিত বলতে পারব। আসামিকে ধরতে অভিযান শুরু করেছি।’
৭ দিন আগে
নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে নৌকায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. সাদিকুল ইসলাম কনক (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকালে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসি ঘাট এলাকায় যমুনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ কলেজছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় ও ধর্ষককে আদালতে পাঠানো হয়।
মো. সাদিকুল ইসলাম কনক বোয়ালী খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. ইউনুস আলী ছেলে।
ফুলছড়ি থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, কিছুদিন আগে ফেসবুকে সাদিকুল ইসলাম কনকের সঙ্গে কলেজছাত্রীর পরিচয় হয়। ধর্ষিতার অভিযোগ, কনক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বালাসি ঘাটে ডেকে নিয়ে যান। পরে সুযোগ বুঝে তাকে নৌকায় ঘুরতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সে তাকে ফেলে পালিয়ে যেতে থাকলে ঘটনাটি বুঝতে পারে ও তাকে জাপটে ধরে চিৎকার করলে লোকজন এসে গণপিটুনির পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ধর্ষণচেষ্টায় প্রেমিকের বন্ধুকে ব্লেড দিয়ে আঘাত তরুণীর
এদিকে স্থানীয়রা জানান, নৌকা তীরে ভিরলে ধর্ষক সাদিকুল পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় কলেজছাত্রী ধর্ষকের কলার চেপে ধরে চিৎকার করলে স্থানীয়রা সাদিকুল ইসলাম কনক (২৫) নামে এক যুবককে ধরে ফেলে। মেয়েটির মুখে ধর্ষণের কথা জানতে পেরে বালাসীঘাটে অবস্থানরত জনগণ ধর্ষককে গণপিটুনি দেয়। তারা ধর্ষক সাদিকুলের দুই পা পিটিয়ে ভেঙ্গে দেয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফুলছড়ি থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষিতার মা মিরা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ধর্ষক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
৭ দিন আগে
মানিকগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ছয় দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় মো. হৃদয় হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালজানা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া-আসার সময় আসামি হৃদয় রাস্তাঘাটে ভুক্তভোগীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। এর একপর্যায়ে গত ১৩ মার্চ রাতে ভুক্তভোগীর বাড়ির সামনে তাকে অপহরণের জন্য ওঁৎ পেতে থাকেন হৃদয়। একসময় সে ঘরের বাইরে বেরোলে মুখে চেতনানাশক মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে তাকে অপহরণ করেন।
এ ঘটনার ৬ দিন পর ভুক্তোভোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১৯ মার্চ তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন হৃদয়। এরপর তার ভাই ওই শিক্ষার্থীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
এ ঘটনার পর অসুস্থ অবস্থায় তাকে প্রথমে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে কয়েকদিন ভর্তি থাকার পর তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
এ ঘটনায় শিবালয় পুলিশের পরামর্শে আদালতে মামলা করেন ভুক্তোভোগীর বড় ভাই।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘আমার স্বামী অনেক আগে মারা গেছেন। আমার পাঁচ মেয়ে এক ছেলের মধ্যে এই মেয়েটাই সবার ছোট। এদের নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে দিন কাটাই। আমার মেয়ের এই অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তির সর্ব্বোচ শাস্তি চাই।’
মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করার মতো টাকা নেই বলেও জানান তিনি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার সুজন হোসেন বলেন, ‘গত ২৩ মার্চ নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মিস পিটিশন মামলার পর বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে শিবালয় থানা পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে।’
আরও পড়ুন: যশোরে ফের শিশু ‘ধর্ষণের চেষ্টা’, পুলিশি হেফাজতেও অভিযুক্তের ওপর চড়াও স্থানীয়রা
এতে করে ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সুগম হয়। সেইসঙ্গে তার পক্ষে বিনা খরচে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আইনজীবী।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের বিষয়টি শিকার করেছেন। এ ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
২১ দিন আগে
যশোরে ফের শিশু ‘ধর্ষণের চেষ্টা’, পুলিশি হেফাজতেও অভিযুক্তের ওপর চড়াও স্থানীয়রা
যশোরে তিন দিনের ব্যবধানে আবারও এক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলেও পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে ধোলাই দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম তরিকুল ইসলাম। স্থানীয়রা তাকে আটকের পর পুলিশ তাকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী তাকে ছিনিয়ে নিয়ে ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আটক তরিকুল (২৭) চৌগাছা উপজেলার বাতিবিলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভেকুটিয়া গ্রামে ভাড়া থাকেন এবং এয়ারপোর্ট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় বাবুর্চির কাজ করেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারও একই বাড়িতে ভাড়া থাকে।
আরও পড়ুন: শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, গণপিটুনি দিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ
স্থানীয়রা জানান, রাতে তরিকুল ওই চার বছরের শিশুকে অশ্লীল ছবি দেখায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তরিকুলকে ধরে পিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তরিকুলকে হেফাজতে নেয় এবং যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী বাবুল হোসেন জানান, এর আগেও তরিকুল ওই শিশুকে অশ্লীল ছবি দেখিয়েছে, যা শিশুর পরিবার জানত না। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বিকেলে যশোরে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরের বিরুদ্ধে চার বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে তুলকালাম ঘটে। অভিযুক্ত নিজেও কিশোর।
এর আগে, তিনদিন আগে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত শহরের সার্কিট হাউজপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
২৪ দিন আগে
শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, গণপিটুনি দিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ
ফতুল্লার দাপা এলাকায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে আমানউল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে ওই ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ১১টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আমানউল্লাহ একই বাড়ির ভাড়াটিয়া পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন আমানউল্লাহকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে, তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
২৭ দিন আগে
রাজধানীতে নারী সাংবাদিককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় এক নারী সাংবাদিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে বলে আজ (মঙ্গলবার) রাতে জানিয়েছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ইউএনবিকে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী দাবি করা ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর আজ সকাল ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে এনামুল হক (৩৮) ও মহিদুর রহমান (৫০) নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজনসহ আটজনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও আটজনসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ডিসি তালেবুর।
২৯ দিন আগে
নরসিংদীতে ৩ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মোবাইলে ভিডিও
নরসিংদীর রায়পুরায় ৪০ বছর বয়সী তিন সন্তানের জননীকে নিজ বাড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে অভিযুক্তরা।
রবিবার (১৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার রহিমাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘একই এলাকার রতন মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় উপস্থিত রাকিবের দুই সহযোগী ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। রাকিব ও তার সহযোগীরা নারীর কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। চলে যাবার সময় হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘যদি এ কথা কাউকে জানায় তবে স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে গলা কেটে হত্যা করা হবে।’
আারও পড়ুন: ১১ বছর আগে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
সোমবার বিকালে ভুক্তভোগী নারী এ বিষয়ে অভিযোগ করতে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কলিমুল্লাহর সঙ্গে দেখা করে ঘটনার বর্ণনা দেন। ঘটনা শুনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ‘অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) (তদন্ত) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তারা গ্রেপ্তার হবে।’
৩০ দিন আগে
১১ বছর আগে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
১১ বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে আরশাদ (২২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আরশাদ কেরাণীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর করেরগাঁও গ্রামের আব্বাসের ছেলে।
আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) বলেন, ‘রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।’
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামি আরশাদ ওই শিশুকে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে সিগারেট ও শ্যাম্পু আনতে বলেন। তার কথামতো সিগারেট ও শ্যাম্পু নিয়ে আসে শিশুটি। পরে তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার করেরগাঁওয়ের এক বাড়ির ফাঁকা ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে সাবেক পিপি-জিপিসহ আ.লীগ নেতাদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে এ ঘটনা জানায়। তাকে প্রথমে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
ঘটনার তিনদিন পর ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা।
সংশ্লিষ্ট থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হামিদুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে একই বছরের ১৬ নভেম্বর আরশাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
৩০ দিন আগে
‘ধর্ষণ’ শব্দ না ব্যবহারে পরামর্শ: ডিএমপি কমিশনারের দুঃখপ্রকাশ
‘ধর্ষণকে’ নারী নির্যাতন কিংবা নিপীড়ন বলার পরামর্শ দেওয়ার পর এবার দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
সোমবার (১৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রসঙ্গে আলোচনাকালে ধর্ষণকে বৃহত্তর পরিসরে নির্যাতন হিসেবে অভিহিত করেছি। আমার বক্তব্যে কেউ মনঃক্ষুণ্ণ হলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
শনিবার এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি দুটি শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো ধর্ষণ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা নারী নির্যাতন বা নিপীড়ন বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।’
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
তবে তিনি এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তার ভাষ্য, ডিএমপি কমিশনার ধর্ষককে সুরুক্ষার উপায় বের করার অপচষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন, যা অগ্রহণযোগ্য। তার (ডিএমপি কমিশনার) এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত, প্রত্যাহার করা উচিত।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যে প্রতিষ্ঠানের ওপর সবচেয়ে বেশি নিশ্চিত করা বা নারীর অধিকার হরণের প্রতিরোধ করার দায়িত্ব, সেই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তথা পুলিশ, পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যখন বলেন ধর্ষণ শব্দটা ব্যবহার না করার জন্য; গণমাধ্যম আপনাদেরকে যখন অনুরোধ করে, তখন আমাদের অবাক হতে হয়। তাদের এই অবস্থানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে হয়।
৩১ দিন আগে