নিহতদের মধ্যে পাঁচজন হলেন- বন্দর উপজেলার কাইতাখালি এলাকার মৃত সফিউদ্দিনের ছেলে মিশর শিকদার (২৫), আব্দুস সামাদের ছেলে বারেক মিয়া, শেফালী বেগম (৪২), সৈয়ব আহমেদ (১৭) এবং সুরুজ মিয়া (৩৮)। একজনের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম জানান, মিঠু নামে এক যুবকের কাছ থেকে মিশর ৫০০ টাকা পেত। এ কারণে সে মিঠুর মোবাইল ফোন রেখে দিয়েছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। পরে মিঠুসহ অন্যরা রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার নোয়ার্দা এলাকায় কাঠমিস্ত্রির বাটাল দিয়ে মিশরকে খুঁচিয়ে গুরুতর জখম করে।
এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় মিশরকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মিঠু (২৭), মঞ্জুর হকের ছেলে মুন্না (১৯), শাহ্ আলমের ছেলে সাকিব (১৮) এবং আলী হোসেনের ছেলে জিসানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে।
অন্যদিকে উপজেলার বালুর মাঠ এলাকা থেকে বারেক মিয়া নামে এক অটোচালকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তিনি একই এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। তবে, কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান আজহারুল।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ফতেপুর ইউনিয়নের বাগদী সিডি মার্কেট এলাকায় সুরুজ মিয়াকে (৩৮) পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এদিকে সদর উপজেলা থেকে নারীসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফতুল্লার লাল খাঁ থেকে তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর শেফালী বেগম নামে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সৈয়ব আহমেদের মৃত্যুর কারণ এখনো তারা নিশ্চিত হতে পারেননি।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামান জানান, নিহত শেফালী বেগম বিভিন্ন স্থান থেকে শাক লতাপাতা তুলে নিয়ে বিক্রি করতেন। গত তিন দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এইচএম জসিমউদ্দিন বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের বসুন্ধরা কয়েল কারখানার পাশ থেকে সকালে অজ্ঞাতনামা (২৫) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের ডান হাতের বৃদ্ধা আঙুলের নখ উপড়ানো। বাম হাতের কব্জির ওপরে এবং নিচে দুটি কামড়ের দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যুবকটিকে অন্য কোথাও মেরে মরদেহটি এখানে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।