হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ভার্চুয়াল শুনানিতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আকতার রসুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটনি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.বশির উল্লাহ বলেন, আসামি লাবুসহ কয়েকজন এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। এ কারণে আদালত তাকে জামিন দেননি। ফলে তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
২০১৭ সলের ২৯ নভেম্বর নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার জসিম বাজার দোলাপাড়া মহল্লার একটি ভাড়া বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা শহর সংলগ্ন সরকারপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে মামনুর রশিদ (৩৫) ও একই উপজেলা শহরের পোড়াভিটা গ্রামের মহেবুল ইসলামের মেয়ে সাথীকে (২৭) হত্যা করে। তারা দুজনে মামাতো ও ফুফাতো ভাই-বোন। এছাড়া মামনুর রশিদ পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেল ব্যবসায়ী। আর সাথী রংপুরের একটি কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই আব্দুর রশীদ বাদী হয়ে নীলফামারির সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা করেন। পরে এ ঘটনায় একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিকালে উপজেলার চৌমহনী এলাকা থেকে নূর মোস্তফা সুমন লাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমন সৈয়দপুরের পুরাতন পোড়ারহার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নীলফামারীর তৎকালীন পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান সাংবাদিকদের জানান, ২৯ নভেম্বর সৈয়দপুরের জসিম বাজার এলাকায় সাথী আরাসহ দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ তারই প্রাক্তন কর্মচারী শিবলি সাদিকের ভাড়া বাসায় খুন হন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সুমন জবানবন্দী দিয়েছেন। জবানবন্দী থেকে জানা গেছে, ওইদিন সকালে প্রথমে সাথী আরাকে ও পরে বিএনপি নেতাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ জোড়া হত্যাকাণ্ডে মাদক সেবন করে অংশ নেন ভাড়াটিয়া শিবলি সাদিক (৪০) ও তার ভাই সাগর (৩২)। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি সৈয়দপুরের একটি বাজার থেকে কেনা হয়।