মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জান্নতুল আফরোজকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মো. হোসাইন। তবে কামরুন নাহার মনিকে কোথায় থেকে আটক করা হয়েছে তাৎক্ষণিক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফেনী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান দুই ছাত্রীর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আটক কামরুন নাহার মনির বাবার নাম ছালেহ আহাম্মদ ও জান্নাতুল আফরোজের বাবার নাম আবদুল আজিজ বলে জানা গেছে।
নুসরাত হত্যার অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমের সম্পর্কে ভাগনি হয় আটক কামরুন্নাহার মনি। সেও এ বছরের আলিম পরীক্ষার্থী।
সূত্র জানায়, গত ৬ এপ্রিল সকালে হত্যার দিন এক লিটার কেরোসিন বহন করে মাদরাসায় নিয়ে গিয়েছিল কামরুন্নাহার মনি।
পিবিআই সূত্র ইউএনবিকে জানায়, রবিবার মামলার অন্যতম দুই আসামি শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম ও নুর উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দুই ছাত্রীকে আটক করা হয়।
নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
মামলার এজহারভুক্ত ৮ জনের মধ্যে সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদদৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সিরাজের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ও মো. শামীম।
তবে হাফেজ আবদুল কাদের নামে এজহারভুক্ত আরও এক আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পিবিআই।
গত ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় মুখোশ পরা ৪/৫জন নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। অস্বীকৃতি জানালে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১০ এপ্রিল বুধবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি।