এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তাওদর সাহায্য-সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় পাঁচ বছর আগে বীমা কর্মকর্তা প্রতারক আলম ও তার স্ত্রী নিশি দম্পতি পৌরসভার দুর্গাপুর গ্রামে জায়গা কিনে বসবাস শুরু করেন। সেখানে বসবাসের সুবাদে প্রতিবেশিদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। আলম মোল্যার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামে। তিনি পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির নড়াইল শাখা অফিসের কর্মকর্তা। ওই দম্পতি প্রতিবেশি পরিবারের সদস্যদের বিদেশে পাঠানো, ঢাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া, দ্বিগুণ মুনাফা ও বড় ধরনের লাভ দেয়াসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গরিব অসহায় ও সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
দুর্গাপুরের ভুক্তভোগী নিখিল চক্রবর্তী, বাবুরাম বিশ্বাস, রঞ্জিত দাস, খলিল শেখ, আজগর আলী, নাসিমা বেগমসহ আরও কয়েকটি অসহায় পরিবারের সদস্যদের কাজে লাগিয়ে তাদের মাধ্যমে নড়াইলের বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান, ইসলামী ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, নোভা, টিএমএসএস, প্রত্যাশা, আঁশার আলো, ব্র্যাক, পল্লী দরিদ্র ফাউন্ডেশন, বিআরডিবিসহ বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণের টাকা উঠিয়ে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে সব টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক বীমা কর্মকর্তা। এখন এই দম্পতি আত্মগোপন করে আছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ওই সকল এনজিও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে। ভয়ে অনেকে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ইতোমধ্যেই ভুক্তভোগী বিশু বিশ্বাস তার ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পরিবারসহ ভারতে পাড়ি দিয়েছেন।
গ্রামবাসীরা জানায়, প্রতারক আলম মোল্যা লোকদের টাকা খাইয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা নড়াইল সদর থানা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের দারস্থ হয়ে সালিশি করা হলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
অভিযোগের বিষয়ে প্রতারক আলম মোল্যা বলেন, ‘একটি মহল আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। বরং আমি নিজেই পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’