তিনি বলেন, ‘হলি আর্টিজান হামলার পর পদ্মা সেতুতেও হামলার ষড়যন্ত্র ছিল। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি কতটা কাজে লেগেছে তা বাস্তবে হাড়ে হাড়ে আমি টের পেয়েছি। অস্বীকার করার কিছু নেই।’
শনিবার বিকালে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজার কাছে প্রধানমন্ত্রীর সুধী সমাবেশের মঞ্চ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শকরা চলে যেতে চেয়েছিলেন। এই রকম প্রতিকূল পরিবেশে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাহস যুগিয়েছেন। বাস্তবে এই সত্যতা অস্বীকার করার কিছু নেই। অস্বীকার করার কিছু নেই পদ্মা পাড়ের মানুষের অবদান। শিবচর, জাজিরা, লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলার জনগণ, জনপ্রতিনিধি সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করেছেন।
‘পদ্মা সেতু নির্মাণে যে সফলতা, অবদান ও কৃতিত্ব তার সবকিছু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দৃশ্যমান পদ্মা সেতু তার একক সাহসী নেতৃত্বের সোনালী ফসল,’ যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ যুক্ত হচ্ছে, যা জনদাবি ছিল। বহুল প্রতীক্ষিত সেই রেল সংযোগও রবিবার উদ্বোধন হবে। এটাও একটা নতুন মাত্রা। অধীর আগ্রহে এই দিনের জন্য অপেক্ষা করছি।
অত্যন্ত সংকটের সময় দায়িত্ব পেয়েছিলেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি নেত্রীর দেয়া সেই দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি একা নই, এখানে একটি দল কাজ করেছে। এখানে সচিব, পিডি, সেনাবাহিনীর মূল্যবান অবদান ছিল।’
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ও অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।