অথচ আগের দিন মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা ঘণ্টা্য় সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫০ ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ/পশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
অথচ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩২৫, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬০, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৩০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ/পশ্চিমে অবস্থা করছিল।
ঘূর্ণিঝড় ফণি আগামী শুক্রবার রাতে উপকুলে আঘাত হানতে পারে বলে বুধবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে। এ সময় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আরও ঘণীভুত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে দক্ষিণ/পশ্চিম ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ/পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দুরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকতে নামিয়ে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়ছে।
একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাজশাহীতে। এছাড়া ছয়টি বিভাগীয় শহর ও দুটি বৃহত্তম জেলার তাপমাত্রা ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৬, খুলনা ৩৭ দশমিক ৬, চট্টগ্রাম ৩১ দশমিক ৬, সিলেট ৩৩ দশমিক ২, বরিশাল ৩৭ দশমিক ৭, রংপুর ৩৫ দশমিক ৯ এবং কুমিল্লায় ৩৫ দশমিক ৭ ও ফরিদপুরে ৩৭.০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক একে রুহুল কুদ্দুস দুপুরে ব্রিফিংয়ে জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণি বাংলাদেশ উপকুলে আঘাত হানবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে এ মুহূর্তে ঘূণিঝড়টির যে গতিবিধি তা পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পাশাপাশি বাংলাদেশ ভূখন্ডে আঘাত হানার সম্ভাবনা ৭ ভাগ। অবশ্য ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধি যে কোনো সময় পরিবর্তনও হতে পারে।